বিশ্বের ৩০টি মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম ও আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বড় ধরনের রাজনৈতিক অপরাধ বলে মনে করেন হামাস।
গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার লেখা ওই চিঠিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কারণে দখলদার ও ইহুদিবাদী সেনারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়ার সাহস পেয়েছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকার ওপর তাদের অবরোধ অব্যাহত রেখেছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের এসব তৎপরতার উদাহরণ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা জোরদার, ভূমি দখল, নতুন নতুন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন, পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইহুদিকরণ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিভক্তি করণের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া সুস্পষ্ট করে বলেন, বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায পুরো মুসলিম উম্মাহর স্বার্থের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম ও আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলেও মন্তব্য করেন ইসমাইল হানিয়া।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান গ্রেগ বার্কলে। চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটিং হয়েছে দুইবার। প্রথমবার ১০ ভোট পেয়েছিলেন বার্কলে কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত হওয়ার জন্য দরকার ছিল ১১টি ভোট। দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণের পর ১১টি ভোট নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গ্রেগ বার্কলে।
বার্কলের বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন পাকিস্তানের ইমরান খাজা। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই গত জুলাইয়ের ১ তারিখ টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আইসিসি’র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান শশাঙ্ক মনোহর। এরপর থেকেই প্রায় চার মাস ধরে খালি রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রধানের পদ। যদিও নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্তবর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেপুটি ইমরান খাজা।
নিয়ম অনুযায়ী মোট ১৬টি দেশ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারবেন চেয়ারম্যান। তবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ১৬ ভোটের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ (১১ ভোট) পেলে জয়ীর খেতাব পাওয়া যাবে। যে কারণে প্রথম দফার ভোটে ১০-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বিজয়ী হননি বার্কলে। পরে দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ আফ্রিকার ভোট পেয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান।
পেশাগতভাবে একজন আইনজীবী হলেও ২০১২ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদে রয়েছেন গ্রেগ বার্কলে। সর্বশেষ কিউই বোর্ডের প্রধানও ছিলেন তিনি। তবে এখন স্বাধীনভাবে আইসিসি’র দায়িত্বগ্রহণ করায় নিউজিল্যান্ডের পদ ছাড়তে হবে তাকে। শশাঙ্ক মনোহারের পর আইসিসির দ্বিতীয় স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বার্কলে।
আইসিসির ১২ পূর্ণ সদস্য দেশ, দুই সহযোগী সদস্য, একজন স্বাধীন নারী সদস্যের পাশাপাশি আরেকটি ভোট খাজার নিজের—যিনি আইসিসি’তে কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন না, এই হলো ১৬টি ভোটের হিসাব।
অবশেষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অবমাননায় মুসলমানদের অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। তিনি তার ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্য থেকে পিছু হটেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি।শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাকরন বলেছেন, ইসলাম অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের ফলে মুসলমানদের অনুভূতিতে যে আঘাত লেগেছে তা তিনি উপলব্ধি করছেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা ইসলাম ধর্মের বিকৃতি ঘটাচ্ছে এবং এই ধর্মের নাম নিয়ে এটি রক্ষার ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়েছে।ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানকারী ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ কোনও সরকারি প্রকল্প নয় বরং এমন কিছু পত্রিকা এ কাজ করেছে যাদের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।ইমানুয়েল ম্যাকরনের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ার পর নিজের বক্তব্য থেকে সরে গেলেন তিনি।এমন সময় তিনি নতুন এ বক্তব্য দিলেন যখন সম্প্রতি তিনি ফরাসি পত্রিকা শার্লি এবদোতে প্রকাশিত ইসলাম অবমাননাকর কার্টুনের পক্ষ সমর্থন করে কথা বলায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সম্প্রতি স্যামুয়েল প্যাটি নামক ফ্রান্সের একজন শিক্ষক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর চিত্র প্রদর্শন করেন। এরপর এক হামলায় তিনি নিহত হন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য তার দেশের মুসলমানদের দায়ী করেন এবং দাবি করেন মুসলমানরা ফ্রান্সকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়।ম্যাকরন আরও ন্যাক্কারজনক বক্তব্যে ঘোষণা করেন, ফ্রান্সে ইসলামের নবী (সা.)-কে অবমাননাকর চিত্র প্রকাশ অব্যাহত থাকবে। তার এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফ্রান্স’সহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইসলাম অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা রিয়ানোভোস্তি জানিয়েছে, দেশটি বলেছে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অনুভুতিতে আঘাত হানা রাশিয়ার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। খবর পার্সটুডেররুশ প্রসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার মস্কোয় সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামের নবীর (সা.) অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সে সহিংসতা বেড়ে গেছে। কাজেই সবার আগে এ ধরনের অবমাননাকর কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।
সম্প্রতি স্যামুয়েল প্যাটি নামক ফ্রান্সের একজন শিক্ষক তার ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-র ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করার পর এক হামলায় নিহত হন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য তার দেশের মুসলমানদের দায়ী করেন এবং দাবি করেন, মুসলমানরা ফ্রান্সকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়।ম্যাকরন আরো ন্যাক্কারজনক বক্তব্যে ঘোষণা করেন, ফ্রান্সে ইসলামের নবীর (সা.) ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত থাকবে। তার এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ, ভারত ও ইরানসহ গোটা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ জোরদার হওয়ার পরও ফরাসি প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, ফ্রান্সে এই ধরনের কার্টুন ছাপানো কখনোই বন্ধ হবে না। পাশাপাশি তিনি একথাও বলেন, সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম সংকটের মধ্যে রয়েছে।বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ফরাসি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
বেতন কম, এই কারণে অনেকেই এক চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু এই কারণে কেউ যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথা বলেন! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।বেতন কম।যে টাকা পান, প্রধানমন্ত্রী না থাকলে তার থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। এত কম টাকায় সংসার খরচ চালাতে পারছেন না এই প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘনিষ্ঠমহলে এমনই নাকি বলেছেন জনসন। তারপরই জানিয়েছেন ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবনাচিন্তা করছেন তিনি।এক প্রতিবেদনে জনসনের দলের এক এমপি’কে উদ্ধৃতি করে বলা হয়েছে, আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে চান না জনসন।
বর্তমানে তার বেতন বছরে দেড় লাখ পাউন্ডের কাছাকাছি। অথচ এর আগে একটি পত্রিকায় কলাম লিখেই তিনি বছরে আয় করতেন ২ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড।এছাড়া মাসে দু’টি সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে তিনি আয় করতেন ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সত্যিই তার উপার্জন কমে গেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৬ ছেলে মেয়ের পড়াশোনা, প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোষ বাবদ প্রতি মাসে অনেক অর্থই খরচ করতে হয় জনসনের। আর তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি।
তবে এখনই নয়, ব্রেক্সিট সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যার সমাধান এবং করোনা পরিস্থিতি দূর হলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন জনসন।এদিকে, জনসনের পরিবর্তে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যে উঠে আসছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটেনের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকের নাম। সেদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এমনকি বুকিদের কাছেও অন্যতম ফেভরিট ঋষিই।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা করোনায় আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে গতকাল শুক্রবার একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। ওই বার্তায় তিক্ত রাজনৈতিক লড়াইয়ের বিষয়টি দূরে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ওবামা।ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানের শুরুতে ওবামা বলেন, বড় রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে থাকলেও এবং আমরা এটি অনেক গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছি।
আমরা আন্তরিকভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির মঙ্গল কামনা করছি।তিনি বলেন, ‘মিশেল ও আমি আশা করছি যে ট্রাম্প ও মেলানিয়াসহ সারা দেশের করোনা রোগীরা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন। আর এ সেবার কারণে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। সকলে সুস্থ ও ভাল থাকুক আমরা এমনটা দেখতে চাই। সূত্র : এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমস।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অপমৃত্যুর সঙ্গে মাদকের গভীর যোগসূত্র আছে বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। এই মামলার তদন্তে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে জানান যে ২০১৬ সালে সুশান্ত ‘কেদারনাথ’ ছবির সেট থেকে মাদক নিতে শুরু করেন। ছবিটিতে সুশান্তের সঙ্গী ছিলেন একই সিনেমার নায়িকা সারা আলী খান। রিয়া জানিয়েছেন, এই ছবির অনেক সহশিল্পী শুটিংয়ের সময় মাদক নিতেন।
ব্যস, আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ল। সরাসরি মাদক কেলেঙ্কারিতে উঠে এল সাইফ আলী খানের কন্যা সারা আলী খানের নাম। যে কারণে আজ মুম্বাইয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তদন্ত কমিটির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে পতৌদি পরিবারের মেয়েকে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় পৌঁছানোর কথা ছিল সারার। কিন্তু বেলা একটায় মুম্বাইয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর ব্যালাড এস্টেটের অফিসে হাজির হন তিনি। সারার পরনে ছিল গোলাপি সালোয়ার ও সাদা পালাজো, মুখে মাস্ক।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত বাবা সাইফ আলী খান। জানা গেছে, সারাকে নিয়ে আলাদা করে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন সাইফ আলী খানও। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর অফিসে যাওয়ার আগে আইনি পরামর্শও নিয়েছেন সাইফ আলী খান। মেয়েকে সেভাবে প্রস্তুত করে পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটির কাছে।এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে একটি সাক্ষাৎকারে সাইফ আলী খান বলেছিলেন, সুশান্তের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শোকস্তব্ধ হয়ে গেছেন সারা। তিনি বলেন, ‘সারা সুশান্তকে বেশ পছন্দ করত, তাঁর ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে খুব গল্প করত। আমাকে একদিন জানিয়েছিল, সুশান্ত খুব মেধাবী।
দর্শন আর প্রকৌশলের বিভিন্ন দিক নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভালোবাসেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালো মানের অভিনেতা ছিলেন সুশান্ত।’কেদারনাথ’ সিনেমায় সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে ছিলেন সারা আলী খান। শুটিংয়ের সময় সারা ও সুশান্তের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় বলে জানা গেছে। গত মাসে সারা ও সুশান্তের প্রেমের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সুশান্তের সাবেক ব্যবস্থাপক সাবির আহমেদ। সাবির জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুশান্তের সঙ্গে ব্যাংককে ছিলেন সারা। টানা তিন দিন হোটেলের রুম থেকে বের হননি দুজনের কেউ।
সুশান্ত সিং রাজপুতের আরেক বন্ধু স্যামুয়েলও সারা-সুশান্তের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। সুশান্তের প্রেম নিয়ে কথা বলেছেন। স্যামুয়েল তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘কেদারনাথ’-এর প্রচারের সময় সারা আর সুশান্ত যেন প্রেমের সাগরে ভাসছিলেন। দুজন একে অপরকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালোবাসতেন। তাঁদের সম্পর্কটা খুব সুন্দর ছিল, নিরেট প্রেম।অবশ্য সারা আর সুশান্তের ব্যাংককে ভ্রমণের প্রসঙ্গটি প্রথমে এসেছিল অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকারে। সুশান্তের ফার্ম হাউসেও নাকি সারার নিয়মিত আনাগোনা ছিল। তবে আচমকাই তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে।
দুটি মার্কিন জঙ্গিবিমান জর্দানের আল-আযরাক বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে এসে ইরানের লেবাননগামী যাত্রীবাহী বিমানকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দিয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের লেবাননগামী যাত্রীবাহী বিমানকে যে দুটি মার্কিন জঙ্গিবিমান সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দিয়েছিল তারা জর্দানের আল-আযরাক বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে এসেছিল বলে খবর দিয়েছে ইরানের প্রেস টিভি।
সূত্র অনুযায়ী, সিরিয়ার কৌশলগত আল-তান্ফ এলাকার আকাশ পাড়ি দেয়ার সময় আমেরিকার প্রথম জঙ্গিবিমানটি ইরানি বিমানকে বাধা দেয়। সিরিয়া ওই এলাকাটি ইরাক ও জর্দান সীমান্তে অবস্থিত। সূত্র বলছে, দ্বিতীয় হয়রানির ঘটনা ঘটে লেবানন-সিরিয়া সীমান্তে। ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুইবার মার্কিন জঙ্গিবিমান ইরানি বিমানকে হয়রানি করে।
জর্দানের আল-আযরাক বিমানঘাঁটি থেকে গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন ড্রোন ওড়ে এবং ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান গতকাল (শনিবার) বলেছেন, মার্কিন জঙ্গিবিমান থেকে ইরানি যাত্রীবাহী বিমানকে ভয় দেখানোর কারণে আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেছেন, এটি দণ্ডনীয় অপরাধ এবং মার্কিন জঙ্গিবিমানের ভীতি প্রদর্শনের কারণে বিমানের যেসব যাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার পক্ষ থেকে এই মামলা করা হবে।
সুপ্রশিক্ষিত ও দক্ষ নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (NYPD)র দক্ষতায় অতিদ্রুত ধরা পড়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহের খুনী তারই ৪ বছরের ব্যক্তিগত সহকারী ২১ বছর বয়েসী টাইরেস ডেভন হাসপিল। ১৭ বছর বয়স হতেই একসাথে কাজ করা টাইরেসকে অনেক বিশ্বাস করে তার অন্যতম একটি উদ্যোগ এডভেঞ্চার ক্যাপিটালের দায়িত্ব দিয়েছিলো ফাহিম। এডভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকেই মূলতঃ ফাহিমের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রিত হতো। ফাহিমের সরলতার সু্যোগ নিয়ে ২১ বছরের এই ধূর্ত কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপে। ৯০,০০০ ডলারের চেয়ে বেশী পরিমাণ অর্থ সে আত্মসাৎ করে। এই ঘটনা জানতে পারার পর সঙ্গত কারেনেই ফাহিম টাইরেসকে বরখাস্ত করে। তবে,পুরনো সহকর্মী হিসেবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ জানায় না। বরং তাকে সংশোধিত হবার সুযোগ দেয়,আত্মসাৎ করা টাকা কিস্তিতে শোধ করার সুযোগ দেয় তাকে।
এটাই ছিলো ফাহিমের সবচেয়ে বড় ভুল,যার কারণে তাকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে টাইরেস ডেভন হাসপিল নামের তারই নুন খাওয়া এই অকৃতজ্ঞ ও বেঈমান কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের হাতে। পুলিশে রিপোর্ট করা থাকলে টাইরেস ওর ক্ষতি করার সাহস করত না।
করোনা মহামারী আর লক ডাউনের এই বাজারে এক লাখ ডলার অনেক বড় অংক। টাইরেস ডেভন হাসপিল ভাবে,ফাহিমকে মেরে ফেলতে পারলে তাকে আর এই টাকা দিতে হবে না,ঘটনাটাও ধামাচাপা পড়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। পারসোনাল সেক্রেটারী হবার সুবাদে ফাহিমের গতিবিধি তার জানা ছিলো।
ফাহিম লকডাউনের শুরু থেকে নিউইয়র্কের অন্য প্রান্তে মা-বাবার সাথে কোয়ারান্টাইনে ছিলো। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় নিউইয়র্কে লকডাউন শিথিল হলে,ফাহিম তার লাক্সারি এপারট্মেন্টে ফিরে আসে। নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে নিরাপদ ও বিত্তশালীদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডে এই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। ফাহিমের এই লাক্সারী ফ্ল্যাটে লিফট দিয়ে ঊঠতে হলে হাইলি সিকিউর চাবি দিয়ে উঠতে হতো।সেই চাবি লিফটের বিশেষ জায়গায় রাখলে চাবিটির মাধ্যমে সয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় লিফটটি চাবির মালিকের ফ্লোর চিনতে পারতো ও তাকে সেখানে পৌঁছাত। ঘটনার দিন,১৬ই জুলাই ২০২০ য়ে ফাহিম যখন লিফটে ওঠে,খুনি টাইরেস তার মুখ মাস্ক পরে,মাথা হুডিতে ঢেকে,ফাহিমের সাথে একই লিফটে ওঠে। সে অন্য একটা ফ্লোরের চাবি লিফটের বিশেষ জায়গায় পাঞ্ছ করার ভান করে। অতঃপর সে ফাহিমের সাথে সপ্তম ফ্লোরে যায়। সি সি টিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ ধারণা করছে ফাহিমের পেছনে পেছনে সপ্তম ফ্লোরে নামার পর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। টাইরেস টেসার গান পাঞ্চ করে উচ্চমাত্রার বৈদ্যুতিক শক দিলে ফাহিম সালেহ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তারপর খুনি টাইরেস অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সমাধা করে জঘন্য হত্যাকাণ্ড।
অজ্ঞান ফাহিম সালেহকে এপার্টমেন্টের ভিতরে নিয়ে গলা আর ঘাড়ে কয়েকবার ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। সেদিন টাইরেস চলে গিয়ে পরদিন লাশ গুম করে দেয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে আবার ফিরে আসে। ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে কেটে ব্যাগে ভরার সময় ফাহিমের বোন এসে কলিং বেলের বাটন চাপলে টাইরেস ওভাবেই সব ফেলে পেছনের ফায়ার এক্সিট সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়।
নিউইয়র্কের পুলিশ খুনির সাথে ফাহিমের মোবাইলের এস,এম, এস, পড়েই প্রথমে জানতে পারে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি। তারপর, টাইরেসের কেনাকাটার রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, সে একটা চেইন স কিনেছে,যা ফাহিমের মৃতদেহকে গায়েব করার উদ্দেশে টুকরো টুকরো করতে ব্যবহার করা হয়েছিলো।তখন পুলিশের সন্দেহের অবকাশ থাকে না কে প্রকৃত খুনি। অতঃপর খুনি টাইরেসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবশেষে তাকে পালিয়ে থাকার জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
টাইরেস যে খুনী তার আরেকটা প্রমাণ হিসেবে ওর কাছ থেকে ফাহিমের ক্রেডিট কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই কার্ড ব্যবহার করে টাইরেস ইতিমধ্যে প্রচুর কেনাকাটাও করেছে।
যে মানুষটা ওকে চুরির দায়ে জেলে না দিয়ে আরেকটা সুযোগ দিয়েছিল, তাকেই হত্যা করল টাইরেস। এজন্যই বলা হয়, মানুষের চাইতে নিষ্ঠুর আর অকৃতজ্ঞ প্রাণী আর নেই।
টানা চার দিনের চেষ্টায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডের আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির নৌবাহিনী।
অগ্নি নির্বাপন বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য রাত-দিন চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে এর আগে খবর এসেছিল। আগুন নেভাতে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে রণতরীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে, চার দিন ধরে আগুনে জ্বলার কারণে এটিকে হয়তো আর মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যাবে না। মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করার সময় এতে আগুন লাগে। মেরামত শেষে রণতরীটির এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে যাওয়ার কথা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
গত রোববার সান ডিয়াগো শিপইয়ার্ডে ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর তাতে আগুন ধরে যায়। আগুন ধরার পর অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছে। আগুন দ্রুতগতিতে জাহাজের টাওয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন নৌ কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল ফিলিপ সোবেক। ইউএসএস বোনোহোম রিচার্ডে নৌবাহিনীর ১ হাজার সদস্য থাকার কথা কিন্তু মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করায় জাহাজটিতে মাত্র ১৬০ জন ক্রু ছিলেন। মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে আগুন লাগার পর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।