গোলের পর গোল করে রেকর্ডের খাতা শুধু বড়ই করেছেন। গতবারও জিতেছেন স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি। এছাড়া ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন শু’ও জিতেছেন ছয়বার।তবে মাঠে নামলেই গোল করতে হবে, সেই নেশাটা আগের মতো আর নেই মেসির। ক্লাব বার্সেলোনা হোক কিংবা জাতীয় দল আর্জেন্টিনা, মেসি জানালেন-গোল নিয়ে মাথাব্যথা নেই তার। বরং ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে একজন ‘টিম প্লেয়ার’ হতে চান।
বার্সার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। ৭৩৪ ম্যাচে করেছেন ৬৩৫ গোল। সেইসঙ্গে আছে ২৫৬টি অ্যাসিস্টও। আর্জেন্টিনার জার্সিতেও তার গোলের রেকর্ড সমৃদ্ধ। সেখানেও গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে, ১৩৯ ম্যাচে করেছেন ৭১ গোল। যার সর্বশেষটি এসেছে ইকুয়েডরের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে।তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বশেষ ম্যাচে দল জিতলেও বলিভিয়ার বিপক্ষে জালের দেখা পাননি মেসি। চলতি মৌসুমে বার্সার হয়ে তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র এক গোল।
তাই আবারও প্রশ্ন উঠছে, মেসির সেই ফর্মটা কি আর নেই!স্প্যানিশ ম্যাগাজিন ‘গারজান্ডা পেদোরোসা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন খুদেরাজ রাখঢাক না করেই বললেন, ‘আমি আর এখন গোল নিয়ে ভাবি না। আমি চাই দলের জন্য যতটা পারা যায় অবদান রাখতে। আমার কাছে দলের প্রয়োজনই সবার আগে।’
শুধু মাঠের খেলাই নয়, করোনার এই সময়টায় মাঠের বাইরের কঠিন পৃথিবীর খোঁজও রাখছেন মেসি। ১ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হাসপাতালে। কঠিন এই সময়টায় আর্জেন্টিনায় কিছু মানুষ যেভাবে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে জন্মভূমির প্রশংসাই করলেন বার্সা সুপারস্টার। তিনি মনে করেন, এই সময়টায় সবাই মিলেই কাজ করা উচিত।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩২২ রানের লক্ষ্যে তিন ম্যাচ সিরিজের ১ম ওয়ানডেতে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে, টসে জিতে মাশরাফীর দল ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মোহাম্দ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ।
প্রায় দেড় বছর পর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আবারও ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এই ম্যাচে ওপেনিং জুটিকে তামিম-লিটন জড়ো করেন ৬০ রান। তামিম ফিরে যান ২৪ রান করে। এরপর, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-শান্ত করেন ৮০ রান। শান্ত আউট হন ২৯ রান করে। তারপর মুশফিক বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। তবে, অপরপ্রান্তে খেলতে থাকেন লিটন, সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তবে, দলীয় ২০৬ আর ব্যক্তিগত ১০৫ বলে ১২৬ রানে রিটায়ার্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন।
এরপর, মাহমুদউল্লাহ’র ২৮ বলে ৩২ রান ও মিঠুনের ৪১ বলে ৫০ রানে তিনশো পার করে টাইগাররা।
দীর্ঘদিন পর রানের দেখা পেলেন মোহাম্মদ ফোরকান। সেটাও তার স্বাভাবিক পজিশন ছেড়ে ওপেনিংয়ে নেমে। কিছুক্ষণ ধৈর্য ধরলে হয়তো সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যেতেন। কিন্তু ৫৬ রানেই থেমেছেন তিনি। ফোরকানের দুর্দান্ত ফিফটি ওপর ভর করে শাহা বু-আলী কালন্দর ক্রিকেট একাদশকে ৩৪ রানে হারিয়ে টুর্ণামেন্টের শুরুটা জয় দিয়ে মাতালেন ।মরহুম জহিরুল ইসলাম বাচ্চু ফাউন্ডেশন এর ১০৭ রানের টার্গেট-এ নেমে মাত্র ৭৩ রানে ম্যাচ সমাপ্তি করে শাহা বু-আলী কালন্দর ক্রিকেট একাদশ।ম্যাচটি শুরু হয় রাত ৯:২০ মিনিটে বোয়ালখালী আহল্লা সদরপাড়া এন এ নুরুল হক স্কুলের মাঠে। ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ ফোরকান।ওপেনিংয়ে নেমে ফোরকানের ফিফটি,
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম ইনিংস মিঠুন-তাইজুলের জুটিতে দু’শো ছাড়ালেও দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬৩ রান করে শেষ পর্যন্ত আউট হন ইনিংসে একমাত্র ফিফটি হাঁকানো মোহাম্মদ মিথুন। ১৩৭ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন মিঠুন। এরপর মাত্র তিনটি বল খেলে একটি ছয় ও এক চারে ১০ রান যোগ করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন মিঠুন। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শাহিন শাহ আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট দখল করেন। এছাড়াও হারিস সোহেল এবং মোহাম্মদ আব্বাস দুটি করে এবং নাসিম শাহ একটি উইকেট তুলে নেন।
এর আগে দলীয় স্কোর দুইশো পার করেই আউট হয়ে ফেরেন চার বাউন্ডারিতে ২৪ রান করে মিঠুনকে সঙ্গ দিতে থাকা তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে সপ্তম উইকেট গড়েন মূল্যবান ৫৩ রানের জুটি।
এদিন চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে লিটন কুমার দাসকে হারায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর পর নামজুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ ফিরলে তারপর ভালোই এগুচ্ছিলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।
কিন্তু পার্ট টাইম বোলার হারিস সোহেলের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় এই জুটি। লিটন ৪৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন। এ সময় দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
এর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। সেই রেশ না কাটতেই মোহাম্মদ আব্বাসের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে চাপে পড়ে যায় মোমিনুল হকের দল।
পরে অধিনায়ক মোমিনুল হককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধীরে ধীরে মেলবন্ধন গড়ে তোলেন দুজন। ইনিংস মজবুত করতে শুরু করেন তারা। কিন্তু হঠাৎ পথচ্যুত হন মোমিনুল। শাহিন আফ্রিদির বলে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক। ফেরার আগে ৫ চারে ৩০ রান করেন প্রিন্স অব কক্সবাজার। তাতে শান্তর সঙ্গে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।
টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে চাপেই থাকে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। ভালো সঙ্গও পান তিনি। তবে একপর্যায়ে হার মানেন এ টপঅর্ডারও। উইকেটের পেছনে তাকে ক্যাচ বানান মোহাম্মদ আব্বাস। ফেরার আগে ৬ চারে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন শান্ত।
৯৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন রিয়াদ। ফেরার আগে ৪ চারে ২৫ রান করেন সাইলেন্ট কিলার।
এদিকে, এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে সাইফের। একাদশে রয়েছেন এক স্পিনার ও তিন পেসার। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন রুবেল হোসেন।
অন্যদিকে, এ নিয়ে ১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০০৩ সালে দেশটি সফরে টেস্ট খেলেন টাইগাররা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৯টিতেই পরাজিত হতে হয়েছে। বাকি ম্যাচটি ড্র।
এভিন লুইসের চাওয়া তখন কেবলই ছক্কা। উড়িয়ে মারলেন তিনি ব্যারি ম্যাককার্থির বল। ডানা মেলে দিয়ে বল উড়ে চলল সীমানার দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ল সীমানার একটু ভেতরে। অল্পের জন্য হলো না ছক্কা, একটুর জন্য পারলেন না লুইস। নাহ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারেনি। বরং ওই শটেই নিশ্চিত হয়েছে জয়। কিন্তু বাউন্ডারিতে বরং বেড়েছে লুইসের আক্ষেপ। ১ রানের জন্য যে পেলেন না সেঞ্চুরি!
ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে প্রতি বছর চার জাতি টুর্নামেন্টে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সংস্থাটির সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী দুদিন আগে জানিয়েছেন নতুন এই টুর্নামেন্টের কথা। চার জাতি সিরিজের চতুর্থ দলটি কারা হবে তা এখনো জানা যায়নি। সৌরভের এ প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তাঁর ভাষায়, এ পরিকল্পনা অতীতের ‘তিন মোড়ল’ তত্ত্বের মতোই ‘ফ্লপ’ করবে।
লিভারপুলের সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন জেমস মিলনার। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সাল পর্যন্ত লিভারপুলের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে এই তারকাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মিলনারকে দলে ভেড়ায় লিভারপুল। সেই থেকে ক্লাবের ৭ নাম্বার জার্সির মালিক বনে গেছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার হয়ে ১৯৮টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মিলনার। আর লিভারপুলের হয়ে ৫টি ফাইনালে খেলেছেন তিনি ।
নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করার পর লিভারপুল এফিস. কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলনার জানান, ‘এই ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে পেরে আমি গর্বিত। ক্লাবের বদলে যাওয়ার অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।’
জেমস মিলনার বলেন, ‘প্রতিদিন ট্রেনিংয়ে আসা আমি উপভোগ করি। আমার সতীর্থ, কোচ এবং সকল সমর্থকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্লাব আমার প্রতি ভরসা দেখানোয় এখন আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে ক্লাবকে সফলতা এনে দিতে চেষ্টা করে যাব।’
ইমার্জিং কাপের ফাইনালে স্বাগতিকরা ৭৭ রানে হেরেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। রোহাইল নাজিরের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দল। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তরা। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের শিরোপা জয় হলো না খুব কাছে গিয়েও।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ইমার্জিং কাপের ফাইনালে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৯টায়। টসে জিতে বোলিংয়ে এসে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দলীয় ১৮ রানে ওপেনার ওমর ইউসূফকে (৪) সাজঘরে ফেরান সুমন খান। এরপর আরেক ওপেনার হায়দার আলীকে (২৬) দ্বিতীয় শিকার বানান তিনি। তবে শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেয় নাজির ও ইমরান রফিকের ব্যাট। দুজনে গড়েন ১১৭ রানের জুটি।
দলীয় ১৫৮ ও ব্যক্তিগত ৬২ রানে মাহাদী হাসানের বলে ইমরান ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজির। ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক এলবিডব্লিউ’র শিকার হোন হাসান মাহমুদের বলে। ইনিংসের শেষদিকে অধিনায়ক সৌদ শাকিল (৪২), খুশদিল শাহ’র (২৭) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। আমাদ বাট (১৫) ও সাইফ বদর (০) অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সুমন। হাসানের শিকার ২টি।
বঙ্গমাতা এশিয়ান সিনিয়র ওমেন্স সেন্ট্রাল জোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-০ সেটে হেরে গেছে কিরগিজস্তানের কাছে।
অথচ এই দলের বিরুদ্ধেই আগের দিন ৩-২ সেটে দুর্দান্ত এক ম্যাচ জিতেছিল সাবিনা-ডলিরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি একপেশে বানিয়ে কিরগিজস্তান প্রথম সেট ২৫-১৩, দ্বিতীয় সেট ২৫-১৪ পয়েন্টে ও তৃতীয় সেট ২৫-১২ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে নেয়।