মোস্তাফা কামাল পাশা ঃ বঙ্গোপাসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোচার আপডেট। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) সৃষ্টি যাহা ১৩ থেকে ১৬ ই মে এর মধ্যে সরাসরি বাংলাদেশের উপকুলে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ৮ থেকে ৯ ই মে এর মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে ১০ ই মে এর মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ও ১১ ই মে পুর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ % সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে ১০মে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) সৃষ্টির।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাষ অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) ১৪ ই মে মধ্যরাতের পরে থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে স্থলভাগে আঘাত করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) স্থল ভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) যে স্থানে (দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগর) উৎপত্তি হওয়ার কথা নির্দেশ করতেছে ও যে পথে ( উত্তর-পূর্ব দিকে) অগ্রসর হওয়ার কথা নির্দেশ করতেছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল তাতে করে এই ঘূর্ণিঝড়টির কারণে সবচেয়ে বড় হুমকি হবে জলোচ্ছ্বাস। ১৪ ই মে (চাঁদ এর ৮১% অন্ধকার থাকবে) সন্ধ্যার পর থেকে যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থাল ভাগে আঘাত হানা শুরু করে তবে কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো। ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি ও স্থাল ভাগে আঘাত করার সময় যদি মাত্রা ৩ দিন পিছিয়ে ১৭/১৮ তারিখ হয়ে তবে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কারণ ১৮মে আমাবস্যার রাত।
মনে রাখা দরকার পুরো এপ্রিল মাস উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোন লঘু চাপ/ নিম্নচাপ/ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় নি। ফলে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রের পানিতে। ফলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোচা খুবই শক্তিশালী হবে। মে মাসের ৩ তারিখের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ % ও মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০% নিশ্চিত হওয়ার যাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোচা ঠিক কোন শক্তিতে উপকূলে আঘাত হনতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা মোটামুটি নিশ্চিত যে এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে জামালখানের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান।
সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন হোসেন দুলাল, দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান জীবক বড়ুয়া, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম ও প্রতিনিধি ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সোহেল সরওয়ার, টিভি ইউনিটের ডেপুটি চিফ তৌহিদুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আহবমান কাল ধরে শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রাম চলে আসছে। শ্রমিক শ্রেণির এই সংগ্রাম চলবেই। শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন করতে পারলেই মালিকপক্ষ সফল। শ্রমিক শেণি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে মালিকপক্ষ বিভাজন তৈরি করতে পারবে না।
জীবনধারণে সাংবাদিকদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যুগে যুগে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে আসছে। ঐক্যের মধ্যে আলাদা শক্তি আছে। ঐক্য, সহমর্মিতা অধিকার আদায়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
আলোচনা সভায় মে দিবস নিয়ে আবৃত্তি সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জের সদস্যরা বৃন্দ আবৃত্তি ‘ক্ষুধা’ পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, সিইউজের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মঞ্জু, যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, নির্বাহী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ ও মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, সিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশ, সিইউজের সদস্য দেব প্রসাদ দাশ দেবু, মাখন লাল সরকার, পঙ্কজ দস্তিদার, সুভাষ কারণ, রোকসারুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন, তাপস বড়ুয়া রুমু, প্রদীপ কুমার শীল, মিহির কে চক্রবর্তী, মোহাম্মদ ফারুক, তুষার দেব, সান্টু কুমার দাশ, সাইদুল আজাদ, আবুল ফজল বাবুল, গোলাম মর্ত্তুজা, সুবল বড়ুয়া, রাহুল দাশ নয়ন, চম্পক চক্রবর্তী, যীশু রায় চৌধুরী, শাহরিয়ার হাসান, বিষু রায় চৌধুরী, কাজী মুনজুরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম চৌধুরী, আহসান হাবিবুল আলম, মো. ফরিদ উদ্দিন, রনি দাশ, সহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সুরেশ কুমার দাশ, আজিজুল কদির, আবদুল হান্নান কাজল, বিশ্বজিৎ পাল, গোলাম সরওয়ার, চৌধুরী আহসান খুররম, অনুপম বড়ুয়া, কাঁকন দেব, কাউসার আলম, শফিকুল ইসলাম, হাসান উল্লাহ, কমল দাশ, শিহাব জিসান অনিক, শরীফুল ইসলাম রুকন, বাচ্চু বড়ুয়া, রুমন ভট্টাচার্য, ইমরান এমি, আসাদুজ্জামান লিমন, বাংলা টিভির রিপোর্টার বিপ্লব দে প্রমুখ।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস, ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা মাননীয় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব ড. আজিজ আহমদ ভূঞা মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মাননীয় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমী মহোদয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সকল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহোদয়গন এবং জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে কর্মরত সকল পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ।
অনুষ্টানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষাধিক শহীদের প্রাণ ও ২ লক্ষাধিক মা- বোনের সম্ভ্রম আত্মত্যাগ, যুদ্ধাপরাধীদপর বিচারে বিচার বিভাগের অবদান এবং স্বাধীনতা রক্ষায় স্বাধীন বিচার বিভাগের ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী, চট্টগ্রাম কর্তৃক জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ করছেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমী।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী, চট্টগ্রাম কর্তৃক জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সিজেএম আদালতের সম্মূখে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সকাল ১০টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমী’র নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহাম্মদ খোন্দকার, বেগম নাজমুন নাহার, বেগম জিহান সানজিদা, আবু সুফিয়ান মোঃ নোমান, ফারজানা ইয়াছমিন, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদ, শাহরিয়ার ইকবাল, ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির মোহাম্মদ আবু তাহের, বেঞ্চ সহকারী মোঃ জয়নুল আবেদীন, মোঃ নাজিম উদ্দীন, ক্যাশিয়ার শফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, প্রসেস সার্ভার এম এ হাসান, রানা সিংহ, ওয়াছকরুনী মেহেদী, আনোয়ার হোসেন, মোঃ ইয়াছিন, ছোটন বড়ুয়া প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক-জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী, চট্টগ্রাম কর্তৃক শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিজেএম আদালতের সম্মূখে শহীদ মিনারে সকাল ০৯ ঘটিকায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী’র নেতৃত্বে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহাম্মদ খোন্দকার, মাইনুল ইসলাম, বেগম নাজমুন নাহার, বেগম জিহান সানজিদা, আবু সুফিয়ান মোঃ নোমান, ফারজানা ইয়াছমিন, আবদুল্লাহ খাঁন, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদ, শাহরিয়ার ইকবাল, ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, সিজেএম আদালতের কর্মচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির মোহাম্মদ আবু তাহের, জয়নুল আবেদীন, শফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান, এম এ হাসান, জাহিদুল আলম চৌধুরী, রানা সিংহ, বোরহান উদ্দিন, বিধান ঘোষ,ছোটন বড়ুয়া প্রমূখ।
তিন দিনব্যাপী এই ডায়াবেটিক মেলা ও সেমিনারের ঘোষণা করেন, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী।
আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের একটি হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই মেলার ঘোষণা দেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এস এম শওকত হোসেন, সহ-সভাপতি মিসেস আবিদা মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লায়ন জাবেদ আফসার চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম জাফর, সদস্য প্রিন্সিপাল লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ডাঃ মোঃ পারভেজ ইকবাল শরীফ, মোঃ শহীদুল আলম, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, এডভোকেট জয়শান্ত বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন, ডাঃ নওশাদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে ডায়াবেটিক রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৩ ২০২৩ ইং খুলশীস্থ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে তিনদিন ব্যাপী ১১তম ডায়াবেটিক মেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি উক্ত মেলার আঙ্গিকে মেলার ১ম দিন (১১ই ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে,
১. “MANAGEMENT OF CHARCOT ARTHROPATHY” ২. “DIABETES RELATED COMPLICATIONS IN PREGNANCY” ৩. “DIABETES MELLITUS AND KIDNEY DISEASES” 8. “RECOMMENDATION FOR FASTING DURING RAMADAN FOR PEOPLE WITH DIABETES” বিষয়ক সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিগত ২০১১ সাল থেকে ব্যতিক্রমধর্মী ডায়াবেটিক মেলা শুরু করেন। মহামারী করোনার কারণে ২ বছর পর নব উদ্যমে এবারের ১১তম ডায়াবেটিক মেলায় ৪০টির মতো স্টল দিয়ে মেলাকে সাজানো হয়েছে।
“আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখি। ডায়াবেটিসের ভয়, সচেতন হয়ে করব জয়”
এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে, সচেতনতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এই মেলার আয়োজন।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা অপারাপর রোগগুলোকে ত্বরান্বিত করে থাকে। তাই ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। সেই সচেতনতার পদক্ষেপ হিসাবে আজকের এই ১১তম ডায়াবেটিক মেলা এবং এই মেলায় সকলের সার্বিক সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন।
উল্লেখ্য বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ এবং সারা বিশ্বে ৫৩ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত । বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ১ জন ডায়াবেটিস রোগী। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ কোটিতে পৌঁছাবে। এজন্য সম্প্রতি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালকে ঢাকা বারডেম হাসপাতালের আদলে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি এবং যাতে স্বল্প খরচে সকল রোগের চিকিৎসা অত্র হাসপাতালের মাধ্যমে প্রদান করা যায়। মেলায় বিভিন্ন ধরণের ডায়াবেটিস সম্পর্কিত খাবার, বই, ডায়াবেটিস মাপার মেশিন, পায়ের চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ ইনসুলিন সম্পর্কে ধারণা, ইনসুলিন নেয়ার কৌশল জানা যাবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল নিরলসভাবে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সময়ের পরিক্রমায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল এখন একটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি বর্তমান সময়ে একজন ডায়াবেটিক রোগীকেও চট্টগ্রামের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয় না কারণ ডায়াবেটিক হাসপাতালে আউটডোর-ইনডোর বিভাগ, আইসিইউ বিভাগে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের চলমান সেবা সমূহ :
আউটডোর বিভাগ : ডায়াবেটিস থাইরয়েড ও হরমোন রোগ কিডনী রোগ কিডনী ডায়ালাইসিস বিভাগ হৃদরোগ •মেডিসিন বিভাগ •স্ট্রোক ও নিউরো কেয়ার বিভাগ ও ফিজিক্যাল মেডিসিন •প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ •চক্ষু •চক্ষু সাজারী ও দন্ত •চর্ম, যৌন ও এলার্জি •ফুট (পা) কেয়ার •খাদ্য ও পুষ্টি •জেনারেল ও অর্থোপেডিক সার্জারী অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার •সমাজকল্যাণ অত্যাধুনিক ডায়াগনষ্টিক ল্যাব •ফ্রি শিশু ডায়াবেটিক ক্লিনিক শিশু রোগ •ভ্যাকসিনেশন এক্সরে ও ইসিজি ইকোকার্ডিওগ্রাফী আল্ট্রাসনোগ্রাম তথ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম রোগীসংযোগ •ফিজিওথেরাপী ফার্মেসী বিভাগ •সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস •জীবন সদস্যদের বিশেষ সেবা বিভাগ •ফ্রাইডে সার্ভিস (৭.৩০-১২.০০ পর্যন্ত খোলা) সহ রোগী সেবা চলমান
আছে সাশ্রয়ী মূল্যে এক্সিকিউটিভ চেক আপ। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত সেবাসমূহ ডায়াবেটিক ও নন-ডায়াবেটিক সকলেই, অতি স্বল্প মূল্যে বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্টদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।
ইনডোর বিভাগ ঃ ২০০টি বেড, ৩৫টি ভিআইপি কেবিনসহ অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, মেট্রন সহ সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।আছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার যেখানে নরমাল ডেলিভারী, সিজারিয়ান অপারেশন, জরায়ু অপারেশন সমূহ অভি ইনোকোলজি দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।
ডায়াবেটিক ও নন-জায়াবেটিক রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন সহ জটিল চোখের অপারেশনর অভিজ্ঞ চক্ষু সার্জনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিসের কারণে চোখে যে অটিলতা হয় (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথী) তা নিরূপনে অত্যাধুনিক যন্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।
• ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের জটিল অপারেশন এবং জেনারেল ও অর্থোপেডিক সার্জারীো অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা করা হয়। এছাড়াও জেনারেল সার্জনের মাধ্যমে হার্নিয়া, পাইলস, গলব্লাডার সহ অন্যান্য অপারেশন অত্যন্ত যত্নের সাথে করা হয়।
এছাড়া ইনডোর বিভাগে অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ দ্বারা প্রত্যেক ভায়াবেটিক রোগীর জন্য ৫ বেলা ব্যালেন্স ডায়েট তথা সুষম খাবার সরবরাহ করা হয়। যা ভায়াবেটিক রোগীর রোগ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। যারা অতিরিক্ত ওজনাধিক্যে ভুগছেন এবং কম সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আছে আলাদা ডায়েটের ব্যবস্থা। চাকুরীজীবিদের কথা বিবেচনায় এনে “ওয়ান ডে সার্ভিস” চলমান। পাশাপাশি “শুক্রবার খোলা” সার্ভিস চালু আছে খুলশী, ইপিজেড, এনায়েত বাজার শাখায়। এক কথায় সপ্তাহের প্রতিদিন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদের দোরগোড়ায পর্যন্ত সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১) এনায়েত বাজার শাখা, ২)ইপিজেড শাখা, ৩) অক্সিজেন শাখা এবং ৪) বহদ্দারহাট শাখা চালু আছে।
উল্লেখ্য যে, একমাত্র ভায়াবেটিক হাসপাতালেই সিসিইউ / আইসিইউ / এইচডিইউ বিভাগে স্বল্প খরচে সার্বক্ষণিক সেবা দেয়া হয়।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা দ্রুততম সময়ে নার্সিং ইনষ্টিটিউট, ৫০০ বেডের ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ এবং জেলা উপজেলায় সাব-সেন্টার প্রতিষ্ঠা ।
সকল ধরণের সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এসে আন্তরিকতার সাথে আমর আমাদের মানবসেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রথম দিন, আগামীকাল সকাল ১১ টায় ১১ তম ডায়াবেটিক মেলা ও সাইন্টিফিক সেমিনারের শুভ উদ্বোধন।
মেলার ২য় দিন ১২ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টায় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
৩য় দিন সমাপনী অনুষ্ঠান দুপুর ১২ ঘটিকায় হাসপাতাল প্রাঙ্গন।
দীর্ঘ দশ বছর পর জনসভায় যোগ দিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে পুরো চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব। নগরজুড়ে চলছে প্রচার-প্রচারণার কাজও। নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চলছে জনসভার আয়োজন। নৌকার আদলে প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ। যেখানে প্রায় ২শ অতিথি একসঙ্গে বসতে পারবেন। সেই মঞ্চ তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেলের কাজও চলছে। ইতোমধ্যে পুরো আয়োজনের ১০০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন তিনি। এ উপলক্ষে শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, নগরের টাইগারপাস, লালখানবাজার, কাজীর দেউড়ি, নিউমার্কট এলাকা তোরণে ছেয়ে গেছে। একই সঙ্গে চলছে সড়ক মেরামত, রাস্তার দুপাশে সৌন্দর্য্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পলোগ্রাউন্ড মাঠের প্রবেশমুখ থেকে ভেতরের রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। সারা মাঠে চলছে বাঁশ দিয়ে বেস্টনী তৈরির কাজ। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভেতরে বসানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ স্ক্যানিং মেশিন। একই সঙ্গে মাঠের চারপাশে বসানো হচ্ছে ৩৫টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠের চারপাশের প্রাচীরের সংস্কার ও রংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো মাঠ। মাঠের আশেপাশে এলইডি লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হলেও ভেতরে এখনো মাইক বসানো ও সাউন্ড সিস্টেমের কাজ বাকি। গত ১৫ নভেম্বর থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তা এখনও চলমান। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি সার্বক্ষণিক।
‘চল চল পলোগ্রাউন্ড চল’, ‘দলে দলে যোগ দিন সফল করুন’, ‘শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’, ‘নেত্রী তুমি জনতার, উন্নয়ন রুখে সাধ্য কার’, ‘পলোগ্রাউন্ড ময়দানে গণতন্ত্রের মানসকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’, ‘চট্টলবীরের চট্টলায় প্রিয় নেত্রী আপনাকে স্বাগতম’সহ নানা স্লোগানে ভরপুর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পলোগ্রাউন্ড।
পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশেপাশে পোস্তার পাড় উচ্চ বিদ্যালয়, আসমা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়, রেলওয়ে বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে পরীক্ষা চলছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হবার কথা রয়েছে। তবে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
মঞ্চ তৈরির কাজে নিয়োজিত সাহাবউদ্দিন ডেকোরেটার্সের স্বত্বাধিকারী হাজী মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী সবশেষ ২০১২ সালে এই পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা করেছিলেন। তখনও আমি জনসভার মঞ্চ তৈরি করেছিলাম। এবারো দায়িত্ব পেয়েছি। আমি বার বার মাঠে এসে সবকিছু তদারকি করছি। পুরো মাঠে আমার ডেকোরেশনের ১শ লোক কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চটি হবে নৌকার আদলে। মঞ্চটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৬০ ফুট। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। এর মাঝখানে ৪০ থেকে ৮০ ফুটের মধ্যে দুইশ অতিথি বসবেন। মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। পলোগ্রাউন্ড ও আশপাশ এলাকায় বসছে বিখ্যাত মাইক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কলরেডির ৩শ মাইক। মঞ্চের মাঝখানে ৮০ ফুটের এলইডি লাগানো হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। নেতাকর্মীরা দিন-রাত প্রচারের কাজ সামলাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীরা মাঠ পরিদর্শনেও আসছেন।
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের নেত্রী আসবেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আমরা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। আমাদের যাবতীয় প্রচারের কাজ চলমান। সারাদিন ট্রাকে করে প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করছেন নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চ থেকে শুরু করে সব কাজই প্রায় শেষের দিকে। মাইক বসানোর কাজও শেষ। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। তাই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সভা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এরমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো চট্টগ্রাম মহানগরে আমাদের ৬ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরো জোরদার করতে বাইরে আরো দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় উৎসব। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজন ভাল। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, পুরো শহর জুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আপডেট
আপডেট, ২৪ শে অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ঃ৩২ মিনিট।
উত্তর মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও কিছুটা উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এখন উত্তর বঙ্গপোসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এবং এটি আজ ২৪ শে অক্টোবর সন্ধ্যা ৫ টা বেজে ৫০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছিলো। এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো এবং এটি উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের অগ্রভাগ, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি উপকূলে হিট করা শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাগর ঔ স্থানে প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে, সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নাম্বার বিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নাম্বার বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত : এই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ রাত ৯ টার পর, বরগুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম শুরু করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় টি উপকূল অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার এর ভেতরে থাকতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম কালে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী নোয়াখালী, ফেণী, চট্টগ্রাম উপকূলে ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওড়া বয়ে যেতে পারে।
জলোচ্ছ্বাস : ঘূর্ণিঝড় টি অতিক্রম কালে বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেণী, চট্টগ্রাম এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, যেহেতু সেইসময় অমাবস্যা থাকবে।
বৃষ্টি : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে, এবং সেই সঙ্গে দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।, সময়ের সাথে সাথে বৃষ্টি এবং বাতাস দুটোই বাড়তে পারে। এদিকে আজ বিকেল সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘন্টার ভেতরে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, নোয়াখালী পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেণী, চট্টগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে, এবং সেইসঙ্গে, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, ময়মনসিংহ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারি বর্ষণ হতে পারে ও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অধিকাংশ এলাকা ব্যাতিত দেশের বাকি এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
পাহাড়ধ্বস : এই ভারিবৃষ্টির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড়ধ্বস হতে পারে।
সতর্কতা! ছোট হোক এটা যেহেতু ঘূর্ণিঝড় আকারে দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে, তাই উপকূলে যারা আছেন, আপনারা সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখুন, এবং যারা বেশি ঝুকিপূর্ণ এলাকায় আছেন তারা আজই সময় থাকতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করুন, এবং আগামী ২৬ শে অক্টোবর পর্যন্ত সকল প্রকার মাছধরা নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ৪% সুদে ঋণ পাবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশ সুদ হারে আরো ৪০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে যাতে তারা সবাই করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে। এ প্রকল্পের আওতায় একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এ লক্ষ্যে ১৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন অংশীদার ১৫টি ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনা মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরূদ্ধার ত্বরান্বিতকরণ এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ঋণদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের নিমিত্ত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে দুই ধাপে ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়, যা ইতোমধ্যেই উদ্যোক্তা পর্যায়ে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থ বিভাগের পরামর্শ মতো প্রত্যাবর্তন অর্থ এবং নিজস্ব তহবিল দিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন একটি ‘রিভলভিং ফান্ড’ গঠন করেছে।
রিভলভিং ফান্ড থেকে এসএমই উদ্যোক্তা, ক্লাস্টার, ক্লায়েন্টেল গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সদস্য ও নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কর্মসূচির আওতায় রিভলভিং ফান্ড পরিচালনার পলিসি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পলিসি গাইডলাইন অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
অগ্রাধিকারভুক্ত এসএমই সাব-সেক্টর, ক্লাস্টার এবং ভ্যালু চেইনের আওতাভুক্ত উদ্যোক্তা। সারাদেশের নারী-উদ্যোক্তা। নতুন উদ্যোক্তা অর্থাৎ যারা এখনো ব্যাংক থেকে ঋণ পাননি। পশ্চাদপদ অঞ্চল, উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ট্রেডবডি, এসএমই অ্যাসোসিয়েশন, নারী-উদ্যোক্তা সংগঠন, নাসিব এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এমন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশকৃত উদ্যোক্তা।
গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর, ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। মোট ঋণের ২৫ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে এবং ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তার ঋণ ১০ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম পরিমাণের হতে হবে। ক্লাস্টার ও সেক্টরের ভ্যালু চেইন যেমন, টেক্সটাইল খাতের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, সুতা, রং, স্ক্রিন প্রিন্ট, প্যাকেজিং, খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রেতা, সরবরাহকারী এবং উৎপাদিত পণ্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা অগ্রাধিকার পাবেন।
ভ্যালু চেইনের উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ ব্যবসা (ট্রেডিং) খাতে প্রদান করা যাবে। ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্ক ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫জন উদ্যোক্তার অনুকূলে গ্রুপভিত্তিক ঋণ বিতরণ করা যাবে। ফাউন্ডেশন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটরিং করবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রণোদনা প্যাকেজ রিভলভিং ফান্ড থেকে ঋণ বিতরণ নীতিমালার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার।
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’
ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২০ হাজার শিশু- সিভিল সার্জন।
সারাদেশের ন্যায় আগামী ১২ জুন রোববার থেকে ১৫ জুন বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামেও অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২২। ঐ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ জন শিশুকে একটি করে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯১ হাজার ৮৬২ জন শিশু খাবে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫১৩ জন শিশু খাবে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ)। ২০২১ সালের ১১-১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮’শ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ।
এ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা আজ ৯ জুন ২০২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দার চৌধুরী ও ডিএসএমও (যক্ষা) ডা. প্রমিতি কর্মকার।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী এ ক্যাম্পেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা বর্তমান সময়ে খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণ সম্ভব হবে। সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধানসহ হাত ধোয়ার বিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাসপূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার থেতে দিতে হবে। চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিতব্য সকল জাতীয় কর্মসূচীসমূহ শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপাওে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, মসজিদ-মন্দির-উপাসনালয়, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড ও নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও মাইকিং করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এ কর্মসূচী সফল করতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ড, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮’শ কেন্দ্র, বিমান বন্দর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে ১২-১৫ জুন তারিখে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৩৯ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৩৬ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৬৮৬ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৫৩ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫০৯ জন সিএইচসিপি ও ৮২ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দায়িত্বে নিয়োজিত থধাকবে।