গাউছুল আজম হযরত শাহসূফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী( ক:) এর বেলায়েতে সিক্ত, আলোকিত জনপদ চট্টগ্রাম এর রাউজান উপজেলার উরকিরচর মইশকরমস্থ ‘দরবারে কামালিয়া শরীফ জ্ঞান ও আত্মশুদ্ধির বহুমুখী এক প্রতিষ্ঠান। মাইজভান্ডারী শরাফতের অন্যতম পরিচায়ক এই দরবারে কামালিয়া শরীফ।
সেই দরবারে কামালিয়া শরীফের একজন সৃজনশীল, আলোকিত ও কৃতী ব্যক্তিত্ব হলেন সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহ্সূফী সৈয়দ সিদ্দিক রেজা (ম.জি.আ.)। তিনি নিজেই ইলমে তাসাউফ সহ আরো বহুমুখী বিষয়ের একজন সুদক্ষ, সচেতন ও গুণী লেখক ও কলামিস্ট।
এই কৃতী লেখকের গবেষণা, লেখালেখি, পরিশ্রমের মননশীল রুপায়ন হল একে একে তা’র প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রন্হ। হল তাঁর হযরত মওলানা ছৈয়দ কামাল শাহ্ (রহ.) এর জীবন চরিত গ্রন্থ, ইরফান-ই-কামালিয়াত, হব্বে রাসূল (স.), বেলায়তের আলোময় ভূবন মাইজভান্ডার শরীফ, আত- তাসাউফ গ্রন্হগুলো বহুল প্রচারিত ও পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হল আরও একটি তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি নতুন গ্রন্থ যিকরুল্লাহ ( আল্লাহর স্মরণ- ই আত্মার প্রশান্তি।
গ্রন্থটি প্রকাশনায় আছেন শাহ্জাদা মওলানা সৈয়দ মাসুম কামাল আযহারী, শাহ্জাদা সৈয়দ মোরশেদ কামাল, শাহ্জাদা ডা. সৈয়দ জাহেদ কামাল। গ্রন্থটির প্রকাশকাল হল ৭ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার। উক্ত গ্রন্থটিতে প্রসঙ্গ কথা, যিকরুল্লাহ’র স্বাদ ও ফজিলত, যিকরুল্লায় আহলুল্লাহদের সুহবতের গুরুত্ব, ফরজ
ও অত্যাবশ্যকীয় যিকির প্রসঙ্গ, জীবন সংগ্রামে বিজয় অর্জনে যিকরুল্লাহ, যিকরুল্লাহ মানব চিত্তের তৃপ্তি, লতীফাসমূহের যিকরুল্লাহ’র অনুভূতি ও তাছির, মোরাকাবা, সুসংবাদ ও সাবধানবাণী, যিকরে মাহফিলের প্রেক্ষাপট, মাহফিলে যিকির- আদব,তরতীব ও পরিচ্ছন্ন আত্মায় আল্লাহপ্রেমের অনূভুতি বিষয়ে বিস্তারিত ও তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে।
১৯৫ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। উক্ত গ্রন্থটি পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার উরকির ইউনিয়নের দরবারে কামালিয়া শরীফের হুজরা শরীফের যোগাযোগ করা যাবে।
পাশাপাশি রেজা- এ কামালিয়া’র অনলাইন পেইজে গিয়ে বইটি কেনার জন্য বুকিং বা প্রি- অর্ডার দেয়া যাবে।
ইউসূফে সানী হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারী ( ক:) এর খলীফা হলেন কুতুবুল আকতাব, অলীয়ে কামেল হাজত রাওয়া হযরত শাহসূফী মওলানা ছৈয়দ কামাল শাহ্ (রহ.)।
এই মহান আউলিয়ার স্নেহধন্য ও খেলাফতপ্রাপ্ত বড় শাহজাদা শাহসূফী সৈয়দ সিদ্দিক রেজা (ম.জি.আ)। এই গুণী লেখক দরবারে কামালিয়া শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মোন্তাজেম, সাজ্জাদানশীন ও পীরে ত্বরীকত। বাবাজান (রহ.) যেভাবে কাদেরীয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়া ও মাইজভান্ডারীয়া ত্বরীকার মনোনীত খলিফা ছিলেন
তেমনিভাবে তাঁর প্রিয়পুত্র শাহসূফী সৈয়দ সিদ্দিক রেজা (ম.জি.আ)কেও ও উপরোল্লেখিত ত্বরীকা সমূহের খেলাফতের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন।
লেখক গ্রন্হটি মুর্শিদে বরহক, অলিয়ে কামেল, পীরে মোয়াজ্জেম, কুতুবুল আকতাব হযরত শাহসূফি আলহাজ্ব মাওলানা ছৈয়দ কামাল শাহ ( রহ:) এর পবিত্র করকমলে উৎসর্গ করেছেন।
★ লেখক : নুর মোহাম্মদ,
উপদেস্টা সম্পাদক : সূফীকথা,
সদস্য : রাউজান প্রেসক্লাব।
কদলপুর হামিদিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্বক্ষ, উস্তাদুল উলামা অধ্যক্ষ আল্লামা আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ( রহ:) এর ৩৫ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ গত ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২২ দিনরাত ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের দ্বারা রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধারমানিক গ্রামের রহমানিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে শাহজাদা মাওলানা মেহাম্মদ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুস্টিত হয়।
ওরশ মাহফিলে প্রধান অতিথী ছিলেন চান্দঁগাও আবাসিকস্হ হাজী মিন্নাত আলী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা সেকান্দর হোসেন আলকাদেরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিস্ট সংগঠক, সমাজসেবক এডভোকেট এম আবু নাছের তালুকদার।
বিশেষ বক্তা ছিলেন রহমানিয়া দরবার শরীফের এর শাহজাদা হাফেজ মাওলানা আবুল হায়াত,
আধারমানিক ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মুদারিস মাওলানা মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন বদরী।
অতিথী ও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন নক্সবন্দীয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা কাজী মমতাজুল হক,
মাওলানা জাহেদুল ইসলাম,
মাওলানা জসীম উদ্দিন নূরী, শাহজাদা মোহাম্মদ আবু তাহের,মাওলানা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধূরী, শাহজাদা মোহাম্মদ হোসেন শাহ, হাফেজ মোহাম্মদ জহির, শাহজাদা মোহাম্মদ হাসান, মাওলানা মোহাম্মদ তসলিম, মাওলানা মোহাম্মদ ফোরকান, সংগঠক নুর মোহাম্মদ, মাওলানা এস এম সামসুদ্দীন নঈমী, মাওলানা মাহবুবুল আলম, শিক্ষানুরাগী এম হারুন বিএ, শাহাজাদা সাইুফুল ইসলাম মিনহাজ, শাহাজাদা তারেকুল ইসলাম, মাওলানা মোহাম্মদ কবির, হাফেজ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মাওলানা রেজাউল হক প্রমুখ।
অনুস্টানে কর্মসূচিতে ছিল খতমে কোরআান, খতমে খাজেগান, হুজুরের জীবনি আলোচনা, আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল, আখেরী মোনাজাত, তবরুক বিতরণ। উক্ত ওরশ শরীফ এর সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আওলাদেপাকগণ ও ওরশ এন্তেজামিয়া কমিটি।
কদলপুর হামিদিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্বক্ষ উস্তাদুল উলামা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ( রহ:) এর ৩৫ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২২ দিনরাত ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের দ্বারা রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধারমানিক গ্রামের রহমানিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে অনুস্টিত হবে।
এতে কর্মসূচিতে থাকবে খতম কোরআান, খতমে খাজেগান, হুজুরের জীবনি আলোচনা, আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল, আখেরী মোনাজাত, বাদে এশা তবরুক বিতরণ।
উক্ত ওরশ শরীফে সকল ভক্ত, আশেকান ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্হিত থাকার জন্য দরবারের
আওলাদেপাকগণ ও ওরশ এন্তেজামিয়া কমিটি আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্যোসাল ক্লাব ওমানের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এস.এম. জসিম উদ্দিন প্রথমবারের মতো সিআইপি মনোনীত হওয়ায় সংবর্ধিত করলেন রাউজান প্রেস ক্লাব।
২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) বেলা ২ টায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে রাউজান প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী জয়নাল আবেদীন যুবায়ের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহেদুল আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন মিয়াজি, সহ সম্পাদক জাহানগীর সিরাজ তালুকদার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হোসেন রবি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান,আইন বিষয়ক সম্পাদক একে বাবর, দপ্তর সম্পাদক ইরফাত হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। সভা শেষে এস.এম. জসিম উদ্দিন সিআইপিকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২০ সালের জন্য ৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন) নির্বাচিত করেছে সরকার।
গত ১৪ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এর মধ্যে ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৫৭ জন ও ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ১০জন সিআইপি হয়েছেন। তাদেরই একজন ওমান প্রবাসী ব্যবসায়ী এস. এম. জসিম উদ্দিন। তিনি রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদীয়া সমাজে সৈয়দ মতিউল্লাহ মিয়াজির বাড়ি মৃত হাজী সৈয়দ আবদুল হাকিমের ছেলে। ৩ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি ১৯৯০ সালে ২১ বছর বয়সে জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে ওমান গমন করেন।
১৯৯৪ সালে ফারিদ আল হাজরি ট্রেড. এলএলসি নামে নিজের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি এলাকার সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্হানরত বাংলাদেশের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াপাড়ার বিশিস্ট ব্যবসায়ী, ২০০৯ সালে বিসনেস এওয়ার্ড় প্রাপ্ত, নোয়াপাড়ার ইতিহাসের প্রথম সিআইপি অর্জনকারী আলহাজ্ব আবদুল হালিম সিআইপির আজ ২৪ ডিসেম্বর শনিবার ২০২২ শুভ জন্মদিন।
তাহার এই স্মরণীয় মূহুর্তে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য সাময়িকী বিশ্ববন্ধন এর প্রকাশক, পৃস্টপোষক, উপদেস্টা ও সম্পাদকীয় পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
নিভৃতচারী, পরিশ্রমী ও প্রযুক্তিবিদ আবদুল হালিম সিআইপি নিজেকে গতানুগতিক ধারার বাইরে পরিচালিত করেন।
প্রচারবিমুখ এই আলোকিত ব্যক্তিত্ব নিজের কাজ নিয়েই বেশীরভাগ সময় অতিবাহিত করেন। তিনি মেধাবী গুণীজনদের বেশী সম্মান করেন।
তাহার প্রতি শ্রদ্বা, ভক্তি, স্মৃতি ও প্রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সুন্দর মনের মানুষটির সার্বিক সমৃদ্বি ও দীর্যায়ু কামনা করছি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ( সা:), ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম ও মহান ১০ পৌষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ( ক:) এর খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ নোয়াপাড়া কচুখাইন শাখার ব্যবস্হাপনায় এক আজিমুসশান মিলাদ মাহফিল ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২০২২ বাদে মাগরিব হতে
রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামে মুহাম্মদীয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে শাহজাদা মোহাম্মদ হোসাইন শাহ ছাহেব এর সভাপতিত্বে ও সংগঠক নুর মোহাম্মদ এর সঞ্চালনায় অবুস্টিত হয়।
উক্ত অনুস্টানে কর্মসূচিতে আরো ছিল খতমে কোরআন, তাওয়াল্লেদে গাউছিয়া শরীফ ও তবরুক বিতরণ।
মাহফিলে প্রধান মেহমান ছিলেন উম্মুল আশেকীন মনোয়ারা বেগম হেফজখানা ও এতিমখানার সুপার হাফেজ আবুল কালাম।
প্রধান বক্তা ছিলেন, গোমদন্ডী দরবার শরীফের শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভান্ডারী ( ম: জি: আ:)।
বিশেষ বক্তা ছিলেন পূর্ব কচুখাইন জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এতে অতিথী ও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন
মাদ্রাসায়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী’র সাবেক শিক্ষার্থী শায়ের হাফেজ মাওলানা মাসূদ পারভেজ, সমাজসেবক নূর আহমদ মাইজভান্ডারী, শাহজাদা মোহাম্মদ ছালে আহমদ, ইউপি সদস্য খোরশেদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শাহিনুর হক,
রাউজান গ জোনের সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন কালু, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ খসরুল আমিন চৌধূরী, কচুখাইন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস শুক্কুর সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জহির আহমদ,
কাগতিয়া শাখার সভাপতি তানভীর আকবর চৌধূরী, পাহাড়তলী শাখার সভাপতি আহমদ হোসেন সেলিম, বদুপাড়া শাখার সভাপতি দীন মোহাম্মদ, দক্ষিণ নোয়াপাড়া শাখার সভাপতি এয়ার মোহাম্মদ, শায়ের বুরহান উদ্দিন মাইজভান্ডারী, সমাজসেবক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, নুরুল আবছার, নুরুল হুদা, জামাল উদ্দিন,
মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, হাফেজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন,
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, হাফেজ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আবুল কালাম , হাফেজ শাহাদাৎ হোসেন, গিয়াস উদ্দিন নয়ন, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ মোরশেদ, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ আরাফাত, মোহাম্মদ নাছের, মোহাম্মদ খোরশেদ প্রমুখ।
৫১ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা, বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সিরাজ কলোনীর প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব মুহাম্মাদ আলাউদ্দীনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দৈনিক আমার বার্তা পএিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় পরিচালক সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মোরশেদ আলম, এডভোকেট নঈম উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেখতে দেখতে ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে বিজয়ের। এবছর বাঙালিরা উদযাপন করছে বিজয় অর্জনের ৫২ তম জন্মদিন। এই বিষয়ে অর্জন করতে বাঙ্গালীদের কি পরিমাণ তাজা প্রাণ আর মা-বোনেদের ইজ্জত ও সম্ভ্রম বলে দিতে হয়েছে তা ইতিহাস ঘাটলেই পাওয়া যায়। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এ ধরনের বিজয় লাভের ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়। যে বাঙালিরা মননে মগজে সহজ সরল, হৃদয় ছিল না যাদের সামান্য কুটকৌশল তারাই মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। আর হয়তোবা আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলশ্রুতিতেই অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তাইতো বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা মেতে ওঠে নানান উৎসবে।আজকের দিনে স্মরণ করতে হয় বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথা তিনি দেশের জনগণের জন্যই শাসনতন্ত্র তৈরি করেছিলেন।আর বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে প্রতিষ্ঠা ও শত্রুমুক্ত করে যাননি; মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা- অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কতটা জনকল্যাণমুখী ছিলেন বর্তমান সময়েও আমরা তা ভেবে অবাক হয়ে যাই।জাতির জনক চিন্তা-চেতনা আমাদের চিন্তা-চেতনার চেয়ে বহুগুণে অগ্রসর ছিল। বঙ্গবন্ধু তখন একটা রেফারেল সিস্টেমের কথা বলেছিলেন। প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ডে একজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন।
যে স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেবেন। অসুস্থ লোক থাকলে তাকে চিহ্নিত করে ইউনিয়ন সাব সেন্টারে নিয়ে যাবেন। সেই ইউনিয়ন সাব সেন্টারে একজন ডাক্তার থাকবেন, একজন নার্স থাকবেন, একজন প্যারামেডিক থাকবেন এবং সেখানে রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করতে না পারলে রোগীকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাবেন।থানা কমপ্লেক্সে রোগী সুস্থ না হলে তাকে মহকুমা হাসপাতালে বা জেলা হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এভাবে একটি রেফারেল সিস্টেমের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। জাতির জনক বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন সাবজেক্ট, সাবস্পেশালিস্ট সাবজেক্ট পর্যন্ত চালু করেছেন। প্রফেসরের পদ তৈরি করেছেন।তাই আগামী প্রজন্মের জন্য নিরোগ ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।আমরা জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য জনসচেতনতা তৈরি ও প্রতিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
আজকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহান বীর শহীদদের স্মরণ করে চট্টগ্রাম ফেনী ঢাকায় বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। দেশের প্রত্যেকটি ডাক্তার যদি রোগীদের কল্যাণ চিন্তা করে তাহলে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা খুব সহজ। আগামীর দিনগুলোতে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,ফেনী জেলা শাখার সদস্য সচিব
ডা.মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, মাস্টার পারভিন আক্তার,মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম ও হযরত মাওলানা সৈয়দ আমিনুল হক হারবাংগীরি স্মরণে মিলাদ মাহফিল, জিকিরে ছেমা মাহফিল ও ফাতেহা শরীফ গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব চরণদ্বীপ গ্রামের নাজেরাপাড়ায় হাজী খলিলুর রহমানের বাড়ীতে সমাজসেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোরশেদ আলীর ব্যবস্হাপনায় বাদে এশা থেকে অনুস্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথী ছিলেন চরণদ্বীপ হারবাংগীরি দরবার শরীফের পীরজাদা শাহসৃফি মাওলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ মিঞা শাহ আল হারবাংগীরি ( ম: জি: আ:)
বিশেষ অতিথী ছিলেন আওলাদে গাউছে হারবাংগীরি শাহজাদা সৈয়দ রহমান মিয়া আল হারবাংগীরি আল মাইজভান্ডারী।
অতিথী ও অন্যান্যাদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন
গাউছে হারবাংগীরি জামে মসজিদের খতীব মাওলানা কুতুব উদ্দিন রেজবী, পুলিশ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাবেক অর্থ ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আল সিরাজ ভান্ডারী, লেখক, সংগঠক নুর মোহাম্মদ,
সমাজসেবক মোহাম্মদ জানে আলম, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাৃ, কাজী সেকান্দর আলম, মরমি শিল্পী মোহাম্মদ মুসলিম ভান্ডারী,সৈয়দ মোহাম্মদ আরাফাত মোহাম্মদ সজিব, মোহাম্মদ আবু ছিদ্দিক প্রমুখ।
অনুস্টানে, বক্তারা বলেন, মাইজভান্ডারী ত্বরীকা সর্ববেস্টনকারী ত্বরীকা। সকল ধর্ম- বর্ণ ও সকল ত্বরীকার মানুষকে ভালবাসার শিক্ষা দেয়।
দেশে – বিদেশে মাইজভান্ডার দরবারে হাজার হাজার খলীফার দরবার, খলীফা, খানকা, প্রতিস্টান ও কমিটি রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার আমিরাবাদ উপজেলার বণিকপাড়া নিবাসী সমাজসেবক পল্লী চিকিৎসক অজিত চক্রবর্তী (৭০) পরলোকগমন করেছেন।
গতকাল ১৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বিগত ১১ দিন পূর্বে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি পরবর্তী চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র, পুত্রবধু, জামাতা, নাতি- নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরামের সদস্য রাজীব চক্রবর্তী ও ব্যবসায়ী নিহার চক্রবর্তীর গর্বিত পিতা। গতকাল রাতেই গ্রামের বাড়ি উত্তর আমিরাবাদের বণিক পাড়াস্থ পারিবারিক শ্মশানে প্রয়াতের সৎকার সম্পন্ন করা হয়।
বুড়িশ্চরে হযরত কবির আহমদ শাহ’র ওরশ ২২ নভেম্বর
অলিয়ে কামেল হযরত শাহসূফি সৈয়দ ছালেহ আহমদ শাহ মাইজভান্ডারী ( ক:) এর একমাত্র শাহজাদা হযরত সৈয়দ কবির আহমদ শাহ মাইজভান্ডারী (রহ:) এর
নবম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ৭ অগ্রহায়ণ, ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার ২০২২ হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের মীরপাড়ায় ছালে ভান্ডার দরবার শরীফে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের দ্বারা অনুস্টিত হবে।
এতে কর্মসূচি রয়েছে ৬ অগ্রহায়ণ ২১ নভেম্বর গোছল শরীফ, ৭ অগ্রহায়ণ ২২ নভেম্বর খতমে কোরআন, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, জিকিরে ছেমা মাহফিল, আখেরী মোনাজাত ও তবরুক বিতরণ।
উক্ত ওরশ শরীফে সকল ভক্ত, আশেকান ও সংশ্লিস্টদের যথাসময়ে উপস্হিত হওয়ার জন্য শাহজাদা সৈয়দ আবু ছালেহ মাইজভান্ডারী আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছেন।