তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:
জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের জন্মদিন আজ ১৪ মে। ১৯৮৪ সালের ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের হোয়াইট প্যালেসে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এই উদ্যমী তরুণ। বিশ্বের এই অন্যতম ধনী ব্যক্তির আজ ৩৬ তম বছরে পা দিলেন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় মাত্র ২০ বছর বয়সেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক চালু করেন মার্ক জুকারবার্গ। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বাড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা। আর ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মার্ক জুকারবার্গও ব্যক্তি জীবনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সাল অব্দি জুকারবার্গের সম্পদ ছিল ৭১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আর এখন তার বর্তমান সম্পদের পরিমান ৭১.৮ বিলিয়ন ডলার। তবে তার এই বয়সে বিশ্বের অনেক তরুণের চেয়ে কয়েক গুণ এগিয়ে রয়েছেন তিনি। বিশেষ করে প্রতিদিন তার যে পরিমান আয় হয় তা নিঃসন্দেহে তার বয়েসী অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১২ সালে দীর্ঘদিনের বান্ধবী প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করেন তিনি। ২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে মার্ক জুকারবার্গ ও তার বন্ধুদের হাতেই ফেসবুকের জন্ম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই প্ল্যাটফর্মে রাখার চিন্তা থেকেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তারা। আর এর নাম দেন ফেসম্যাশ।
ফেসম্যাশ চালু করা হয়েছিল সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছবি বা মনের ভাব অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারার লক্ষ্য থেকে। শুরু দিনই চার ঘণ্টায় ৪শ ৫০ ভিজিটর ২২ হাজার ছবি তুলে সেদিন ডাউন করে দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার। অবশ্য সার্ভার হ্যাক ও ডাউন করার দায়ে মার্ক জুকারবার্গকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে থেমে থাকেনি ফেসম্যাশ। শুরু হয় নিজস্ব কোডিং তৈরির চেষ্টা। মার্ক জুকারবার্গকে সহায়তা করেন তারই বন্ধু কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থী অ্যাডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিতস এবং ক্রিস হিউজেস।
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হার্ভার্ডের ডরমিটরিতেই দি ফেসবুক নামে আরেকটি সাইট চালু করা হয়। এরপর দি উঠে গিয়ে থাকে শুধু ফেসবুক। বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫০ কোটিরও বেশি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
সেই থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি থাকে।
দারুণ ক্যামেরা, উন্নত চিপসেট আর প্রিমিয়াম নকশার ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন যদি ৬৪৯ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়? একে সাশ্রয়ী দামের ফোন বলা যেতে পারে। বিশেষ করে তা যদি আইফোনের এবং নতুন কোনো মডেল হয়। অ্যাপল এ ধরনের সুবিধাযুক্ত সাশ্রয়ী দামের একটি আইফোন বাজারে আনতে চলেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।এবার ৬৪৯ মার্কিন ডলার দামের নতুন আইফোনের তথ্য ফাঁস করেছেন তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষক জন প্রসের। তাঁর দাবি, আইফোন ১২ মডেল ৬৪৯ মার্কিন ডলার দামে পাওয়া যাবে।
নতুন আইফোন সংস্করণ ভেদে ৬৪৯ মার্কিন ডলার থেকে ১ হাজার ৯৯ ডলারে কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। অর্থাৎ, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইফোনের দাম কমিয়ে দিচ্ছে অ্যাপল। প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে সাধারণ মানুষের কাছে যেমন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে তেমন দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রে তাই সবকিছুর বিবেচনা করে এই কোম্পানিটি আইফোনের দাম কমিয়ে নিচ্ছে বলে জানা যায়।
প্রসের দাবি করেন, ৫ দশমিক ৪ ইঞ্চি মাপের আইফোন ১২ পাওয়া যাবে ৬৪৯ মার্কিন ডলারে। ২৫৬ জিবি মডেলটির দাম হবে ৭৪৯ মার্কিন ডলার। ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি মাপের আইফোন ১২ ম্যাক্সের দাম শুরু হবে ৭৪৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১২প্রো ও ১২ প্রো ম্যাক্সের দাম আইফোন ১১প্রো ও ১১প্রো ম্যাক্সের সমান ৯৯৯ ও এক হাজার ৯৯ ডলার হবে।প্রসের দাবি ঠিক থাকলে ৫জি সুবিধাযুক্ত ৮০০ মার্কিন ডলার দামে দুটি নতুন আইফোন বাজারে ছাড়বে অ্যাপল যা সরাসরি স্যামসাং, ওয়ানপ্লাস, গুগলের স্মার্টফোনকে টক্কর দেবে।
অ্যাপলের সাশ্রয়ী দামের আইফোনের জন্য ওএলইডি ডিসপ্লে তৈরি করেছে চীনের বিওই টেকনোলজি আর দামী প্রো ও প্রো ম্যাক্সের ডিসপ্লে তৈরি করেছে স্যামসাং।বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, আগে থেকেই দেখা যায়, অ্যাপল স্মার্টফোনের দামের যুদ্ধে নামে না। তারা বরাবরই বেশি দামে ডিভাইস বিক্রি করে। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারী করোনা ভাইরাসের পরবর্তী বিশ্বে বেশি দামের পরিকল্পনা কাজ নাও করতে পারে। এ ছাড়া অ্যাপলকে আসন্ন আইফোনগুলো উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। ফলে অ্যাপল এবার কৌশল বদলাতে পারে। তথ্যসূত্র: ফোর্বস জানা যায়।
বর্তমানে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। হোক সেটা এনড্রয়েড কিংবা উইন্ডোজ কিন্তু ডিভাইস একই। ডিভাইসটি কেনার আগে আমরা আগে যাচাই করি স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন। চার্জ কতক্ষণ থাকবে।
বেশ ভালোমানের ব্যাটারি ব্যাকআপ দেখেই আমরা সেই ডিভাইসটি কিনে থাকি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছুদিন ব্যবহারের পর অর্থাৎ ৫-৬ মাস ব্যবহারের পরই দেখা যায় সেটির ব্যাকআপ আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গেছে। আবার অনেক ডিভাইসের ব্যাটারি তো ফুলে ফেপে ঢোল। মোবাইলটি ঠিক আগের মতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
আপনার ফোন চার্জ হতে বেশি সময় নেয় না। ১২টায় মোবাইলে চার্জ শুরু করলে ২-৩ ঘণ্টায় ফুল চার্জ হয়ে যায়। কিন্তু আরও ৩ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় আপনার ফোনটি ওভারচার্জ হয়। আর এই অতিরিক্ত চার্জ সার্কুলেশন করতে আপনার ফোনের মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, বডি গরম হয়ে এর উত্তাপ পড়ে ব্যাটারি সেলের উপর। তার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি ফুলে ওঠে।
তবে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করলে এ সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। জেনে নেয়া যাক ব্যাটারি ফুলে ওঠা রোধে কী করণীয়।
সারা রাত ফোন চার্জে রাখা যাবে না।
অতিরিক্ত ব্যবহার অর্থাৎ একটানা ফোনের সব অপশন চালু রেখে মোবাইল চালানো যাবে না।
৩জি/৪জি অপ্রয়োজনে চালু/এনাবল করে রাখা যাবে না।
ফোনের ব্রাইটনেস সবসময় ফুল রাখা যাবে না।
পাওয়ার সেভ মোড ব্যবহার করতে হবে।
এক্সট্রা ফিচার যেমন স্যামসাংয়ে স্মার্ট স্টে এই ধরনের ফিচার অফ রাখতে হবে।
ফোনের ডে-ড্রিম ফিচারটি এনাবল থাকলে সেটি ডিসেবল করে রাখতে হবে।
একটানা গেমস খেলা, নেট ব্রাউজিং করা যাবে না।
ফোনের রুট এক্সেস থাকলে অনেক অ্যাপস একসঙ্গে চালু করা হয়। এতে ফোনের উপর প্রেসার পড়ে। এটি করা যাবে না।
রোদ বা উত্তাপ হতে যতটা সম্ভব ফোনকে দূরে রাখতে হবে।
যত প্রকার ব্যাটারি অ্যাপস আছে তা থেকে দূরে থাকতে হবে। এটি যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চয় করে তার চেয়ে দ্বিগুণ শক্তি অপচয় করে।
ব্যাগে কিংবা পকেটে রেখে ব্যবহারকারীকে স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা দিতে জাবরা টক ৪৫ ও ৫৫ মডেলের মাইক্রোফোন বাজারে এনেছে টেক রিপাবলিক। ব্লু-টুথ ৪.২ এবং এনএফসি প্রযুক্তি মাইক্রোফনটিকে দিয়েছে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি।
জাবরা ৪৫ মডেলের মাইক্রো ফোনে টানা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলা যায়। দুই ঘণ্টায় পুরোপুরি চার্জ হয়। এই ডুয়াল নয়েজ ক্যান্সেলিং মাইক্রোফোনটি এক চার্জে ৮ দিন পর্যন্ত সচল থাকে। এয়ারফোনটির দাম পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে জাবরা টক ৫৫ মডেলের মাইক্রোফোনটির সঙ্গে বাড়তি একটি বহনযোগ্য চার্জার রয়েছে।
উভয় মাইক্রোফোনেই রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। -বিজ্ঞপ্তি
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিরেক্টর) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জাহিদ সবুর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় জাহিদ নিজেই তার এ অর্জনের কথা জানান।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) সাবেক এ শিক্ষার্থী ২০০৭ সালে যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানিটিতে।
সারাবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটিতে এখন ফুলটাইম কর্মী আছেন লাখখানেকের মতো। এদের মধ্যে আড়াইশ’ জনের মতো আছেন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার। জাহিদ এদেরই একজন।
নিজের এতোদূর আসার পেছনে অনুপ্রেরকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদ বলেন, আপনাদের হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়া ছাড়া আমি এতোদূর আসতে পারতাম না।
ফোন ট্যাপ করার বিষয়টি আজকের দিনে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ফোন ট্যাপ করে হ্যাকাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হিসেবে যে কোনো সময় আপনিও বিপদে পড়তে পারেন। কিন্তু, আপনার ফোন ট্যাপ হচ্ছে কিনা বুঝবেন কিভাবে?
ফোন ট্যাপ করা হলে আপনি, নিচের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে পারেন—
ক) হয়তো আপনি কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন কিন্তু মাঝে মধ্যেই সন্দেহ জনক শব্দ শুনতে পাচ্ছেন ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে। বিষয়টি কখনই হালকাভাবে নেবেন না। এমন হলে ফোন ট্যাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খ) আবার হয়তো দেখলেন, মোবাইলের ব্যাটারি ঠিক ঠাক কাজ করছিল কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করলেন, যতই চার্জ দিন না কেন, বেশিক্ষণ চার্জ থাকছে না। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন।
গ) ফোন বন্ধ করার সময় কোনো সমস্যা হচ্ছে নাকি খেয়াল করুন। ফোন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু হচ্ছে না এমন বিষয় বেশ সন্দেহজনক। এ রকম হলে সাবধান হন। আপনার ফোন হ্যাক হতে পারে।
ঘ) আপনি কি কোনো সন্দেহজনক এসএমএস পাচ্ছেন? বা আপনার ফোন মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেবেন না। ফোন কোনো ‘উদ্ভট’ আচরণ করলে তা অবশ্যই সন্দেহের।
ঙ) আপনি ফোন ব্যবহার করছেন না এমন সময় ফোনের কাছাকাছি থাকা কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ হঠাৎই কাঁপতে শুরু করলে, বিষয়টি অবশ্যই সন্দেহজনক। আপনার ফোন হ্যাক করে কেউ ব্যবহার করছেন নাতো?
চ) আপনার ডেটার ব্যবহার কি অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে? ইন্টারনেট ব্রাউজ কম করেও ডেটা বাঁচাতে পারছেন না কোনোভাবে? এ রকম হলে সতর্ক হন। প্রয়োজনে সার্ভিস প্রোভাইডার বা ফোন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ছ) আর অবশ্যই নজর রাখুন ফোনের বিলের দিকে। সন্দেহজনক বিল দেখলেই সার্ভিস প্রোভাইডার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
দেহের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইডস আক্রান্ত একজন ব্যক্তিকে এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা জানান, এইডস আক্রান্ত রোগীর দেহের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা এ সাফল্য পেলেন।
লন্ডনের ওই রোগীকে ক্যানসারের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গত আঠারো মাস ধরে তার শরীরে এইচআইভি খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং এইডসের জন্য এখন আর তিনি কোনও ওষুধ খাচ্ছেন না।
গবেষকরা বলছেন, ওই ব্যক্তির এইচআইভি ‘নিরাময়’ হয়েছে, এমনটা বলার জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচআইভি আক্রান্ত বেশির ভাগ লোকের চিকিৎসার জন্য এটা উপযুক্ত বা বাস্তবস্মমত পদ্ধতি নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে এই রোগ নিরাময়ের অন্য কোনও পন্থা উদ্ভাবনে এই পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।
লন্ডনের পুরুষ ওই রোগীর নাম গোপন রাখা হয়েছে। ২০০৩ সালে তার শরীরে এইচআইভি পাওয়া যায়। এবং ২০১২ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
ওই রোগীকে ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছিল এবং একই সঙ্গে এইচআইভি নেই এমন এক ব্যক্তির অস্থিমজ্জা তার শরীরে স্থাপন করা হচ্ছিল। এই চিকিৎসার ফলে তিনি এখন এইডস এবং ক্যান্সার দু’টি থেকে আরোগ্য লাভের পথে আছেন।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত আছেন।
বহু বছর আগে বিখ্যাত বন্দুক ‘একে ৪৭’ তৈরি করেছিল রাশিয়ার কালাশনিকভ কোম্পানি। যুদ্ধকে একেবারে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল এই অস্ত্র। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এবার ‘সুইসাইড ড্রোন’ বা আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করতে চলেছে, যা আবারও বদলে দিতে যাচ্ছে প্রচলিত সমর কৌশল। এই সপ্তাহে আবুধাবির এক অস্ত্র প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো এই আত্মঘাতী ড্রোন বা কেইউবি-র একটি ছোট সংস্করণ হাজির করেছে কালাশনিকভ গোষ্ঠী। দুই বছর পরপর আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয় বিশ্বের সেরা অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলো। কালাশনিকভ রাইফেলের মতোই যুদ্ধের ধরন বদলে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে ‘দক্ষ ও অল্প দামের’ এই ড্রোনের। এটির নাম রাখা হয়েছে কালাশনিকভ ড্রোন বা কেইউবি-ইউএভি ড্রোন। নির্মাতা সংস্থার দাবি, এই ড্রোন সমসাময়িক ড্রোনগুলোর তুলনায় সস্তা। যুদ্ধকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে এটি। চার ফুট চওড়া এই ড্রোন প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক সঙ্গে নিয়ে ঘণ্টায় ৮০ মাইল বেগে ৩০ মিনিট উড়তে পারবে। একটা কফি টেবিলের আকারের এই ড্রোন লক্ষ্যবস্তুকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দূরে নিক্ষেপ করতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ও ‘ড্রোনস অ্যান্ড টেরোরিজম’ বইয়ের লেখক নিকোলাস গ্রসম্যানের মতে, ‘এই অস্ত্র হাতে পেলে বড় আধুনিক সামরিক বাহিনী ও ছোট মাপের বাহিনীর মধ্যে ফাঁরাক মুছে যাবে।’ এটি একেবারে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এটির ‘হাইডিগ্রি অ্যাকিউরেসি’ বা অতি উচ্চমানের অভ্রান্ত ধ্বংস ক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য তার। মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের বদলে সিরিয়া ও আফগানিস্তানের সেনাদের জন্য সেকেন্ডহ্যান্ড কালাশনিকভ কিনেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনও। প্রস্তুতকারক সংস্থা জানাচ্ছে, একে ৪৭-এর মতোই কালাশনিকভ ড্রোন বা কেইউবি-ও নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ। তবে, সুইসাইড ড্রোন যে নতুন তা নয়। সিরিয়ার মসুল ও রাকা দখলের সময়ে ইসলামিক স্টেট এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছিল। অবশ্য সেগুলো ছিল অন্যভাবে তৈরি। সাধারণ ড্রোনে বিস্ফোরক বেঁধে এই সুইসাইড ড্রোন তৈরি করেছিল আইএস জঙ্গিরা। সিরিয়াতে রুশ বাহিনীকে এই ধরনের ড্রোন দিয়েই আঘাত হেনেছিল আইএস। কম দাম, সহজ-সরল ব্যবহার পদ্ধতি, সর্বোপরি তুখোড় দক্ষতার জন্য খুব দ্রুত বিশ্বের অস্ত্রবাজার দখল করে নিয়েছিল কালাশনিকভ। কখনও সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে, কখনও সরকারের হয়ে লড়তে এক কথায় বেছে নেয়া হয়েছে একে ৪৭। সংস্থার দাবি, জিপিএস যুক্ত নতুন ধরনের কেইউবি ড্রোন হবে আরও দ্রুতগতিসম্পন্ন, নিখুঁত। প্রথম পর্যায়ের ড্রোনগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বিস্ফোরক বহনে সক্ষম এগুলো। তবে, এই ড্রোন কারা কিনতে পারবে, কাদের কিনতে দেয়া হবে, সেই রাজনীতি নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে এই ড্রোন-বোমা গেলে তা কতটা মারাত্মক, সেটা নিয়ে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপরে হামলার জন্য এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয় বলে দাবি তাদের। কিছুদিন আগে লন্ডন, ডাবলিন, নিউইয়র্ক বিমানবন্দরের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ড্রোনের ঘোরাফেরা দেখে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয়া হয় বিমানবন্দর। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, ড্রোনের সাহায্যে হামলার হুমকি রুখতে প্রস্তুত নয় পশ্চিমা সেনারা।
ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রোন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্বর্ণ গলানোর অভিনব পদ্ধতি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। স্বর্ণের অণু নিয়ে গবেষণা করার সময় এ ধাতুর ছোট টুকরা ইলেক্ট্রোন মাইক্রোস্কোপের মধ্যে রাখেন সুইডেনের চালমার্স প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। সেই স্থানের তড়িৎ ক্রিয়া বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় করে দেন তারা। এরপরই গলতে থাকে স্বর্ণের টুকরার উপরিভাগ। যা বিজ্ঞানীদের জন্য অনেক বড় আবিষ্কার। সাধারণত তাপ এবং বিদ্যুতের সংমিশ্রণ ছাড়া গলানো যায় না স্বর্ণ। স্বর্ণ গলাতে প্রয়োজন পড়ে ১ হাজার ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার।
নেপালে প্রথমবারের মতো রেস্তোরাঁয় রোবট ওয়েটার খাবার পরিবেশন করেছে। ক্ষুধার্ত কাস্টমারদের টেবিলে গরম পুডিং পরিবেশন করে দেশটির প্রথম রোবট ওয়েটার জিনজার কাস্টমারদের উদ্দেশ্য করে বলছে, ‘খাবার উপভোগ করুন।
নেপাল উঁচু পর্বতমালার জন্যই বিশেষ পরিচিত। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশটি অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু একদল উদ্ভাবনী যুবক দেশটিতে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।
স্থানীয় কোম্পানি পাইলা টেকনোলজি পাঁচ ফুট লম্বা রোবর জিনজার প্রস্তুত করেছে। রোবটটি ইংরেজি ও নেপালি উভয় ভাষা বুঝে। জিনজার নামের এই মানবাকৃতির রোবটটি অ্যাপেল’স সিরি অথবা অ্যামাজোনের অ্যালেক্সার মতো কৌতুক করতে পারে। নেপালের রান্নায় ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ আদার নামে রোবটির নামকরণ করা হয়েছে।
রোবট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিনয় রাউত বলেন, ‘আমরা এখন পরীক্ষামূলকভাবে রোবটগুলোকে কাজে লাগিয়েছি। আমরা রোবটের সেবা সম্পর্কে কাস্টমারদের মতামতের অপেক্ষায় আছি।’ ২৫ জন তরুণ প্রকৌশলী কয়েকমাস পরিশ্রম করে রোবটটি প্রস্তুত করেছে। বিনয় (২৭) তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র।