ফেসবুকের মেসেঞ্জার প্ল্যাটফর্মে চালু হয়েছে বুমেরাং ও সেলফি ফিচার। এর পাশাপাশি মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা এখন থেকে এআর স্টিকার ব্যবহার করতে পারবেন। গত সোমবার ফেসবুকের এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, মেসেঞ্জার ক্যামেরার এখন পাঁচটি মোড পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ভিডিও লুপিং ইফেক্ট দেওয়ার বুমেরাং সুবিধা রয়েছে।
বুমেরাং ফিচারটির কারণে মেসেঞ্জার পোস্ট আরও বেশি মজার হবে। নতুন এই ফিচারে ইনস্টাগ্রামের মতো ছোট, লুপড ভিডিও বানাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এটি অনেকটা অ্যানিমেটেড জিপের মতো হবে। এর বাইরে মেসেঞ্জার ক্যামেরায় সেলফি মোড যুক্ত হচ্ছে। এতে ব্যবহারকারী নিজের বা বন্ধুর পোর্ট্রেট মোড ধারণ করতে পারবে। এতে বোকেহ ইফেক্ট যুক্ত করা যাবে। এতে ছবির বিষয়বস্তুকে প্রাধান্য দিয়ে এর পেছনের বিষয়গুলোকে অনুজ্জ্বল দেখাবে।
ফেসবুক জানিয়েছে, মেসেঞ্জারের বর্তমান ক্যামেরা মোড হিসেবে থাকা নরমাল, ভিডিও এবং টেক্সট আরও সহজে পরিচালনা করা যাবে। মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য অগমেন্টেড রিয়্যালিটি স্টিকার আনা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুব শিগগিরই সম্প্রচার সেবা শুরু করতে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি ৪৮টি টেলিভিশন চ্যানেল। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ৩টিসহ দেশের অন্তত দশটি টিভি চ্যানেল আগামী মার্চ থেকে বাণিজ্যিকভাবে সেবা নেয়া শুরু করবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ডিটিএইচ কোম্পানি রিয়ালভিউ ও বিসিএসসিএল’র সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। স্যাটেলাইট কোম্পানি বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সম্প্রচার সেবা নেয়া রাষ্ট্রীয় তিন চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি চট্টগ্রাম। এছাড়া বেসরকারি চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি, এনটিভি, একাত্তর টিভি, বিজয় বাংলা ও বৈশাখী টিভি। বিসিএসসিএল বলছে, এর বাইরে দুটি স্থানীয় ভিস্যাট কোম্পানির সঙ্গেও দ্রুত চুক্তিতে যাবে তারা। এটি হলে দ্রুততার সঙ্গে আয় করতে শুরু করবে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। চলতি বছরের ১১ মে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসাবে স্যাটেলাইট জগতে নাম লেখায় বাংলাদেশ। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথমে দেশে সেবা দেয়ার প্রস্তুতি নেয় বিসিএসসিএল। এরইমধ্যে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ দেশের বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশন পরীক্ষামূলকভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার সেবা শুরু করতে যাচ্ছে।
তিন ভাঁজ করা নতুন সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স। ২০১৮-র আগস্টেই লঞ্চ হতে পারে এই ফোনটি। গ্যালাক্সি-এক্স ফোনের মূল বিশেষত্ব হলো এটাতে থাকছে ৭.৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি এলইডি স্ক্রিন। গ্যালাক্সি-এক্স এর স্ক্রিনটি ভাজ করা যাবে দুই থেকে তিনবার মুড়ে।
একারণে ফোন ভাঁজ করে রাখা হলেও সম্পূর্ণ খোলার পর ভাঁজের জন্য কোনো রেখা বা দাগ আলাদা করে বোঝা যাবে না গ্যালাক্সি-এক্স Galaxy X-এ। ১ লাখ বার ভাঁজ করে রাখার পরও স্ক্রিন এবং বডি কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্তও হবে না। গ্যালাক্সি-এক্স ফোনে র্যাম থাকবে ৬ জিবি। ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি ১২৮ জিবি-র আশেপাশে রাখা হবে যা ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, কোয়াড কোর প্রসেসর সম্বলিত এই ফোনের সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। উন্নত মানের রিয়ার ক্যামেরাটি ১৮ মেগা পিক্সেল।
এছাড়াও গ্যালাক্সি-এক্স ক্যামেরায় থাকছে একাধিক অত্যাধুনিক ফিচার। এছাড়া ৬০০০ mAh-এর ব্যাটারি থাকতে পারে এই ফোনে।
তবে নতুন পণ্য নিয়ে সদা সতর্ক স্যামসাং তাদের Samsung Galaxy X-এর স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। ভারতে এই ফোনটির দাম ৩৯,৯৯০ টাকা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮-র আগস্টে স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স লঞ্চ হতে পারে বলে কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আবার কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে জানুয়ারি, ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এ ফোনটি লঞ্চ হতে। তবে স্যামসাং এর পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার প্রিন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকাররা। তারা দাবি করছে, তারা চাইলে এসব প্রিন্টার ধ্বংসও করে দিতে পারে। এর আগে গত মাসে প্রথম বারের মতো এই কাজ করে হ্যাকাররা। হ্যাকার গ্রুপের একজন তখন দাবি জানিয়েছিল, যে ৫০ হাজার প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে, সেগুলোতে তাদের প্রিয় এক ভ্লগার (ভিডিও ব্লগার) পিউডাইপাই-র পোস্টার প্রিন্ট করতে হবে! এবারও হ্যাকাররা তাদের প্রিয় ইউটিউবারের জন্য সমর্থন চেয়েছে। তবে একইসঙ্গে যাদের প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে তাদেরকে প্রিন্টারের সিকিউরিটি আরও বাড়াতে বলেছে।
নাম গোপন রেখে হ্যাকারদের একজন বলেছেন, আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে হ্যাকিং কোন খেলনা নয়, এই কাজের একটা গুরুতর পরিণতি আছে। কীভাবে তারা এই হ্যাকিং করেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রিন্টারের ফার্মওয়্যারে একটা দুর্বলতা ছিল। তারা সেটার সুযোগ নিয়ে প্রিন্টারের চিপসে নিজেদের মত করে ডাটা ঢুকিয়ে গেছেন। এসব প্রিন্টার হ্যাকড হওয়ায় এর জন্য কী পরিমাণ আর্থিক মূল্য গুনতে হবে তা স্পষ্ট। কিন্তু এর চাইতেও আরও বড় বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন এই হ্যাকার। তিনি বলেন, যখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রিন্ট হচ্ছে তখন আমরা সেগুলো নিয়ে নিতে পারি বা আমরা এসব দলিল যখন প্রিন্ট হয় সেগুলোতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারি। হ্যাকাররা দাবি করছেন, তারা প্রায় এক লাখ প্রিন্টার থেকে নিজেদের বার্তা প্রিন্ট করেছেন।
এ দাবির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এবং চিলির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম প্রিন্ট আউটের ছবি পোস্ট করেছেন। এতে লেখা, পিউডাইপাই সমস্যায় আছে এবং টি-সিরিজকে পরাজিত করতে আপনাদের সাহায্য তার দরকার। এরপর ইউটিউবে পিউডাইপাই কিভাবে সাবস্ক্রাইব করতে হবে, তার নির্দেশনা আছে। পিউডাইপাই হচ্ছে ইউটিউবে ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইউটিউবার। এখন তার ফলোয়ারের সংখ্যা সাত কোটি সত্তর লাখ। তবে সম্প্রতি ভারতীয় মিউজিক লেবেল এবং মুভি স্টুডিও টি-সিরিজ তার কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোন সময় পিউডাইপাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারে টি-সিরিজ। এ কারণেই পিউডাইপাই এর ভক্তরা এ ধরনের স্টান্ট করছেন নিজেদের এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে।
যানজটসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে এবার উড়ন্ত গাড়ি (ফ্লায়িং কার) নিয়ে আসছে ব্রিটেনের ডাচ সংস্থা পিএএলভি ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ সালের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে এই গাড়ি। এরই মধ্যে ব্রিটেনে প্রি-বুকিং নেওয়াও শুরু করেছে ডাচ প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন প্রথম দিকে শুধুমাত্র ব্রিটেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যাবে এই গাড়ি।
নির্মাতারা জানিয়েছেন, তিন চাকার এই উড়ন্ত গাড়ি চলবে পেট্রলে। এর জ্বালানি ধারণক্ষমতা হবে ১০০ লিটার। একবার জ্বালানি ভর্তি করে সড়কপথে সর্বাধিক ১ হাজার ৩১৫ কিলোমিটার চলতে পারবে। আর আকাশপথে যেতে পারবে ৪৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত। সড়কে সর্বোচ্চ গতি হবে ১৬০ কিলোমিটার, আর উড়ন্ত অবস্থায় ১৮০ কিলোমিটার। ৬৬৪ কেজির ওজনের এই গাড়িতে আসন সংখ্যা থাকবে দুটি। আর মাল বহন করা যাবে ২০ কেজির মতো। ড্রাইভ মোড থেকে হেলিকপ্টার মোডে পরিবর্তনে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। টেক-অফের জন্য লাগবে ৩৩০ মিটার জায়গা।
এটি সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার মিটার বা সাড়ে ১১ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে পারবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিএএলভি জানিয়েছে, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপীয় বিমান সুরক্ষা এজেন্সির নিয়মে চলবে এই গাড়ি। তবে ব্রিটেনে এই গাড়ির জন্য থাকবে আলাদা নিয়ম। ইউরোপ-আমেরিকায় এমন একটি গাড়ির মালিক হতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে বাংলাদেশি প্রায় তিন কোটি টাকা।
Hwasong-7 হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার তৈরি একটি আধুনিক মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল । ১৯৮০ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়া তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি ও উন্নতিকরনের চেষ্টা করতে থাকে
ফলসরূপ তারা তৈরি করে Hwasong-7 ব্যালিস্টিক মিসাইল । এর আগে তারা যা তৈরি করেছিলো তা ছিল সোভিয়েত স্কাড মিসাইল যেগুলার রেঞ্জ ছিল ৩০০-৮০০ কিঃমিঃ । এই মিসাইলটি তে সলিড ফুয়েল রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ।
১৯৯৩ সালে Hwasong-7 এর প্রথম সফল পরীক্ষা চালায় । অবশ্য এর পরেও এটি ৩বার টেস্ট করা হয় । এই Hwasong-7 আরেক নাম Rodong-1 নামে আমেরিকা , জাপান ও দক্ষিন কোরিয়ার কাছে পরিচিত । Hwasong-7 হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার তৈরি প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালিস্টিক মিসাইল ।
Hwasong-7 এ কোন পরমানু ওয়ারহেড বহন করে না । তবে এটি নিখুত ও কার্যকর অ্যাকুরেসি 200-2000CEP মিটার । এক টেস্টে দেখা গেছে Hwasong-7 ১৬০ কিঃমিঃ উচ্চতায় উড়তে পারে । দঃ কোরিয়া ও আমেরিকার দাবী অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার কাছে এরকম ১০০০টি মিসাইল মজুদ রয়েছে ।
মূলত উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে দক্ষিন কোরিয়ার ও জাপানে থাকা আমেরিকার সামরিক ঘাটিগুলো তে আগে থেকেই হামলা করা যায় ।
যদিও জাপানের ও দঃ কোরিয়ার ঘাটিগুলো তে PAC-3 ও THAAD এর মত আধুনিক অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে । তারপরেও এই প্রতিরক্ষা সিস্টেম কতটা কার্যকর তা বোঝার উপায় নেই ।
সে যাই হোক উত্তর কোরিয়ার এই Hwasong-7 এর প্রযুক্তি নিয়ে কপি করে ইরান তৈরি Shahab-3 ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং পাকিস্তান এর কপি করে তৈরি করেছে Hatif-5 ব্যালিস্টিক মিসাইল ।
অংশে প্রথমবারের মতো চীন চাঁদের অদেখা একটি রোবট যান নামানোর অভিযান শুরু করেছে । দেশটির গণমাধ্যমে এই খবর জানা গেছে।
চাং’ই-৪ নামের এই অভিযানে চাঁদে ‘ভন কারমান ক্র্যাটার’ নামের যে অংশে রোবট যানটি নামবে, সেই অংশটি কখনো পৃথিবীর দিকে ঘোরে না। ফলে এই অংশটি নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ রয়েছে। শিচ্যাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রোবটটি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে চাঁদের পাথর আর মাটির নমুনা সংগ্রহের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে চীনের জন্য। তবে জানুয়ারি মাসের আগে এই চন্দ্র রোবটটি চাঁদে অবতরণ করতে পারবে না। ভর কারমান ক্র্যাটার’ নামে চাঁদের ওই অংশটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেকদিনের পুরনো। কারণ এখানে চাঁদের সবচেয়ে পুরনো আর নানা উপাদানে সমৃদ্ধ এলাকা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আইকন বেসিন অবস্থিত। ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর আগে একটি বিশাল উল্কাপিণ্ডের আঘাতের কারণে এই এলাকাটি তৈরি হয়েছিল। এই মিশনের মাধ্যমে ওই এলাকার ভৌগলিক বৈচিত্র্য এবং পাথর ও মাটির বৈশিষ্ট্য বোঝা যাবে বলে বিজ্ঞানীর আশা করছেন।
চাঁদের অন্ধকার দিক
পৃথিবী থেকে সবসময়ে চাঁদের একটি অংশই দেখা যায়। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয়, আবার একই সময় নিজের অক্ষ পথে ঘুরতেও সেই সময় লাগে। ফলে পৃথিবীর দিকে সবসময় চাঁদের একটি মুখই থাকে। যদিও ওই অংশটিকে বিজ্ঞানীরা ‘ডার্ক সাইড’ বা ‘অন্ধকার দিক’ বলে ডেকে থাকেন, কিন্তু সেখানেও আসলে সমান হারে সূর্যের আলো পড়ে। বিজ্ঞানীদের এই ‘অন্ধকার দিক’-এর আসলে এভাবে অর্থ করা যেতে পারে, যে অংশটি পৃথিবীর মানুষ দেখেনি। তবে পৃথিবীর কাছাকাছি অংশের তুলনায় এই দূরের অংশটি বেশ আলাদা। এখানে জমাট পুরনো ভূত্বক রয়েছে, যার চারদিকে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। সেখানে বেশ কিছু অশ্বখুর আকৃতির আগ্নেয়গিরি জাত শিলা রয়েছে, যেরকমটা রয়েছে পৃথিবীর কাছের অংশেও।
যে শক্তির কারণে দক্ষিণ মেরুর আইকন বেসিনের তৈরি হয়েছে, সেটি হয়তো চাঁদের ওপরের আবরণ ভেঙ্গে অনেক গভীরে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে চাং’ই-৪ এর কাজ হবে, এসব উপাদান পরীক্ষা করে পৃথিবীর এই একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের ইতিহাস আবিষ্কার করা।
নেদারল্যান্ডে সম্প্রতি পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম নেটওয়ার্ক ফাইভ জি চালু করা হয়েছে। একটি রেল স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে ওই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। এর পরেই রেল স্টেশনের আশেপাশের পার্কে শত শত মৃত পাখি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শুরুতে এই খবর দেশটির সরকার সুকৌশলে চেপে রেখেছিল। তবে এক সঙ্গে এতো পাখি মারা যাওয়ায় এই খবর আর চেপে রাখা সম্ভব হয়নি। সব মিলে মৃত পাখির সংখ্যা ছিল ২৯৭ টি।
মূলত ফাইভ জি নেটওয়ার্ক সিগনাল কতদূর পৌঁছায় আর পরিবেশে কোন ক্ষতি করে কী না তা জানাই এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু এই পরীক্ষায় পরিবেশে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জন নামে নেদারল্যান্ডসের এক পরিবেশপ্রেমী বলেছেন, এতো পাখি একসঙ্গে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল ইনফেকশনে হঠাৎ মারা যেতে পারে না। ফাইভ জি নেটওয়ার্ক থেকে নির্গত মাইওক্রোওয়েভ পাখির হৃদপিন্ডে আঘাত হানে। এর পরে হৃদযন্ত্র অকেজ হয়ে মারা গেছে পাখিগুলো।
দেশটিতে ইতোমধ্যে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার জন্য ইন্টারনেটে আন্দোলন শুরু করেছেন জন। স্টপফাইভজি ডট নেট ওয়েবসাইট থেকে তিনি ফাইভ জি নেটওয়ার্ক থেকে হওয়া সম্ভাব্য ক্ষতি ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করে চলেছেন।
ওয়ালপেপারে রঙিন ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা
মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপার হিসেবে সবাই অনেক রঙিন এবং উজ্জ্বল ছবি ব্যবহার করেন। এতে করে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যায়। যে কারণে ওয়ালপেপার হিসেবে সাদা-কালো এবং কিছুটা অনুজ্জ্বল ওয়ালপেপার ব্যবহার করা উচিত।
মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য ‘অটো টাইম আউট’ অপশন ব্যবহার করা
অনেকেই তার মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য ‘টাইম আউট’ অথবা ‘স্লিপ’ অপশনটি ব্যবহার করেন না। যে কারণে মোবাইলের স্ক্রিন সব সময় চালু থাকে। এই অপশনের সাহায্যে সময় (১৫ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড) নির্ধারণ করে দিলে নির্ধারিত সময় পরে অটো স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে ব্যাটারি কম খরচ হয়।
কাজ শেষে জিপিএস, ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই বন্ধ করা প্রয়োজনীয় কাজ শেষে অবশ্যই মনে করে এই সব অপশন বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ এসব অপশন চালু থাকলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি খুব বেশি খরচ হতে থাকে।
প্রতি ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারবে, এমন গাড়ি বাজারে নিয়ে আসছে চীন। বিশ্বের দ্রুততম স্পোর্টস কার আসছে আগামী সপ্তাহেই।
দুই সিটের এই ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ১০০ কিলোমিটার গতি পাবে মাত্র ৩.৯ সেকেন্ডে।
ডেট্রয়েট ইলেকট্রিকস নামে ওই গাড়ির প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে এই গাড়ি বিক্রি হবে। গাড়িটির বডি তৈরি কার্বন ফাইবার দিয়ে। এই গাড়ির ইঞ্জিন ২৮৫ হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়া ২১০ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটর রয়েছে SP:01 নামের এই গাড়িতে। এই গাড়ির ব্যাটারি বিশ্বের সবথেকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন বলে দাবি করেছেন সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট ল্যাম। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ভিত্তিক ব্যবস্থা থাকবে এই গাড়িতে।
ব্যবহারকারীরা অ্যাপের মাধ্যমেই খুঁজে নিতে পারবে আশেপাশে কোথায় রাস্তার ধারে চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। গাড়ি থেকে দূরে থাকলেও অ্যাপের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাবে, গাড়ির অবস্থান আর ব্যাটারিতে চার্জের পরিমাণ।
এখনও পর্যন্ত গাড়ির দাম জানানো হয়নি শীঘ্রই তা জানানো হবে। প্রথম কে এই গাড়ির মালিক হচ্ছেন তা খুব শীঘ্রই জানাবে সংস্থা।