চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামের মহান অলিয়ে কামেল, ওস্তাদুল ওলামা হযরত আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আল্লামা হাফিজুর রহমান ( রহ:) এর নামে প্রতিস্টিত রহমানিয়া দরবার শরীফ। উক্ত দরবারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার, সমাজসেবা, শিক্ষা, প্রকাশনা সহ প্রভৃতি কর্মকান্ড পরিচালনায় সহায়ক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে স্বীয় পিতার আদর্শকেই গ্রহণ করেছেন শাহজাদা এম আবু বকর ছিদ্দীকী। তাঁর পৃস্টপোষকতায় সূচারুরুপে পরিচালিত হচ্ছে অধ্যক্ষ আল্লামা হাফিজুর রহমান একুকেশন ফাউন্ডেশন, স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা, ওরশ মাহফিল প্রভৃতি।
অন্যদিকে তিনি অধ্যক্ষ আল্লামা হাফিজুর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছেন এবং পূর্ণাঙ্গ মাদ্রাসা প্রতিস্টার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
শাহজাদা আবু বকর ছিদ্দীকি পেশায় ই্ঞ্জিনিয়ার। প্রবাসে থাকেন। তিনি ১৫ জুন ১৯৭৩ সালে আঁধারমানিক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবাসে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। শ্রদ্বেয় পিতা রাউজান উপজেলার টাইটেল হুজুর নামে খ্যাত অধ্যক্ষ আল্লামা হাফিজুর রহমান ( রহ:) এর স্মৃতির উদ্দেশ্য প্রতিস্টিত রহমানিয়া দরবার শরীফ সংশ্লিস্ট সকল কর্মকান্ডে নিবেদিত থাকতে চান আজীবন। তাঁহার স্বপ্ন আলেম সমাজের সেবা ও সম্মানের জন্য বিশেষ কোন কাজ করা।
★ লেখক : নুর মোহাম্মদ,
নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম।
মাসুদুল ইসলাম মাসুদ।
ধর্মপুরের প্রধান সড়কগুলো বেহাল অবস্থা কাটিয়ে দেখতে শুরু করেছে ভোরের স্নিগ্ধ আলো।
উন্নয়নের ছোঁয়া ছোঁয়া লাগছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীন সড়ক গুলোতে। আগে দেখা গেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলি গলি বা সেন্ট্রাল সড়ক গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক ছিল।
ছোট ছোট ব্রীজ কালবার্ট গুলোর অবস্থাও ভালো ছিলনা। বর্তমানে নতুন নতুন বাজেটে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন সড়কের কাজ। এরি মধ্যে অনেক গুলো রাস্তার কিছু কিছু অংশ সলিন কিংবা ব্রীক সলিন হয়েছে বা কিছু হলেও কিছু বাকি থেকে যাচ্ছে। যা,পরিবর্তী বাজেটের জন্য অপেক্ষায় আছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডে পানি নিষ্কাশনের জন্য নতুন নতুন ড্রেন হয়েছে যা ৩০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা। এছাড়া ব্রীক সলিনের আওতায় এসেছে অনেক গুলো সড়ক।
এই পর্যন্ত কিছু রাস্তা নতুন করে সংস্কার হলেও অনেক গুলো রাস্তা এখনো উন্নয়নের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর কারণ হিসেবে সাধারণ জনগন মনে করে ধর্মপুর বড় ইউনিয়ন হিসেবে বাজেট স্বল্পতার কারণে সবগুলো সড়কে হাত দেওয়া যাচ্ছেনা। সরজমিনে দেখা যায়, ফটিকছড়ির সবচেয়ে জনবসতি পূর্ণ এলাকা ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নে অনেক গুলো প্রধান প্রধান সড়ক ও সেন্ট্রাল
১৯৫২ সালের এ দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা। তাদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, আমাদের মায়ের ভাষা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ তাই বাঙালির কাছে অন্তহীন প্রেরণার প্রতীক।
বাঙালি তরুণদের সেদিনের আত্মদান শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।তা একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন ও অঙ্গীকারে দানা বেধেছিল। সে স্বপ্নই স্বাধীনতা সংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আমাদের পথ দেখিয়েছে, এখনো দেখায়। তারপর আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারির মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি; দিবসটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও বটে। মাতৃভাষা বাংলার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমা ব্যাপ্ত হয়েছে পৃথিবীর সব জাতি-গোষ্ঠীর মাতৃভাষার স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে। এর থেকে বড় গৌরবের আর কি হতে পারে! এ গৌরবময় ইতিহাস অর্জনে আত্মদানকারিদের আল্লাহপাক জান্নাত দান করুন।
-এম এ আক্কাছ নূরী
কলামিস্ট, সংবাদ ও সমাজকর্মী
নুর মোহাম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক- স্বাধীনতার ৫২ বছরে ও মুক্তিযোদ্বার স্বীকৃতি পাননি কচুখাইনের সামশুল আলম
কয়েক যুগ আন্দোলন ও চেস্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্বারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কচুখাইন গ্রামের খলীফা পাড়ার একজন নিভৃতচারী, অবহেলিত মুক্তিযোদ্বার নাম মোহাম্মদ সামশুল আলম। তার পিতার আনু মিয়া সুবেদার। তাহার পিতা সামরিক বাহিনীর অধীনস্হ ছিলেন।
কিন্তু সামশুল আলম জানান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে ও তিনি মুক্তিযোদ্বার কোন রকম স্বীকৃতি পাননি। এ বিষয়ে তিনি কোনদিন কারো সাথে যোগাযোগ ও করেননি।
বর্তমানে তিনি সহায় সম্বলহীন শুধু নিজ স্ত্রী নিয়ে গ্রামের একটি টিনের ছোট ঘরে অনেক অভাব অনটনের মাঝে বসবাস করছেন। সংসারে তাঁর একটি ছেলে ছিল হারিয়ে গেছে গত সাত বছর আগে। তিনটা মেয়ে ছিল অনেক কস্টে ও মানুষের সহযোগীতায় তাদের পাত্রস্হ করেছেন।
তিনি দেওয়ানজি ঘাটের চিত্তরঞ্জন দাশ মাধ্বমে মুক্তিযোদ্বের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
তার পিতা আনু মিয়া সুবেদার ও একজন মুক্তিযোদ্বা ছিলেন।
আনু মিয়া ১৯৯১ সালে ইন্তেকাল করেন।
সামশুল আলম পশ্চিম কচুখাইন গ্রামের আহমদ মিয়া সওদাগরের উঠানে ৬ মাস ম্যান্টেল লাইট জ্বালানো অবস্হয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সে টিমে তাঁর সাথে আরো ৩০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ব অংশগ্রহণ করে ব্যাপক অবদান রাখেন।
উল্লেখ্য তাহার পিতা আনু মিয়া সুবেদার তাদের সহ আরো অনেক টিমের প্রশিক্ষক ছিলেন। সামশুল আলম কালুরঘাট, দেওয়ানজীঘাট, আবুরখীল, কেরানীহাট, কচুখাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্বের যাবতীয় কাজ যেমন বৈঠক, অস্ত্র পরিবহন, খাবার সরবরাহ, শত্রুদের পর্যবেক্ষণ ও যুদ্ব সহ নানাবিষয়ে ভূমিকা রাখেন।
তার প্রতিবেশী সমাজসেবক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ” তিনি ও তার পিতা মুক্তিযোদ্বের অনেক বিষয়ে সক্রিয় দায়িত্বপালন করেছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে তাহাকে মূল্যায়ন, মুক্তিযোদ্বার স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের আন্তরিক দাবী জানাচ্ছি। ”
সামশুল আলমের বর্তমান বয়স ৭৪ বছর। মুক্তিযোদ্বকালীন বয়স ছিল ২২ বছর। বর্তমানে এই বয়সে তাকে অনেক কস্ট, পরিশ্রমে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তিনি অল্পশিক্ষিত তাই কিভাবে কি করতে হবে তা জানেন না। তিনি চান রাস্ট্রীয়ভাবে তাকে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন ও সহযোগীতা প্রদান করা হউক।
★ নুর মোহাম্মদ,
রাউজান।
- বিটিভিতে বাল্যকাল থেকে দেখে আসছিলাম ম্যাগাজিন অনুস্টান ইত্যাদি।
গ্রন্হনা, পরিকল্পনা ও উপস্হাপনা করেন দেশের অন্যতম শ্রেস্ট উপস্হাপক,নির্মাতা হানিফ সংকেত।
ইত্যাদির সব বৈশিস্টের মাঝে যে বিষয়টি বেশী ভাল লাগে এবং সচেতন ব্যক্তি দর্শকদের মুগ্ব করে তা হল ইত্যাদি টিম বা হানিফ সংকেত দেশের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের
আলোকিত, সৃজনশীল, পরিশ্রমী, গুণী অভাবী, প্রতিবন্ধী, অতি প্রতিভাবান পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেন এবং স্টুডিওতে তাকে বা তাদের ডেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে, উৎসাহ দিতে লাখ, পাঁচ লাখ, দশলাখ এমনকি আরো ব্যাপকভাবে সেইসব ব্যক্তিদের প্রতিপর্বে আর্থিক প্রনোদনা দান ও নানারকম সম্মাননা প্রদান করেন।
সাবাস ইত্যাদি, সাবাশ গুণীজন হানিফ সংকেত।
এরকম আরো হাজার, লাখ মানুষ শত প্রতিভা, সাধনা, গুণ ও সৃজনশীলতা নিয়ে সুযোগের অভাব, দারিদ্র্যতা ও অবহেলার কারণে দেশে – বিদেশে নিজেদের সঠিক মেধা- মননের বিকাশ প্রকাশ ঘটাতে পারছে না।
হানিফ সংকেতের মত এ সমস্ত মানুষের প্রতিফা বিকাশ, প্রকাশ ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনয়নে সমাজ ও রাস্ট্রের বিভিন্ম ব্যক্তি ও প্রতিস্টান চাইলে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২২ রাত ৯ টা হতে ৯- ৫০ বিটিভিতে প্রচারিত ইত্যাদিতে এক প্রতিবন্ধী মহসীন আলী নামক একজনকে নিয়ে প্রতিবেদন দেখানো হয়েছে। তাকে রিকশাচালনার মত ঝুকিপূর্ণ কাজ ছেড়ে দোকান দেয়ার পুঁজির জন্য কেয়া কসমেটিকস এর সৌজন্য এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
একজন প্রতিবন্ধী ও দারিদ্রপীড়িত ব্যক্তির জন্য এটা অনেক বড় সহযোগীতা ও ভালবাসা।
আর দর্শক পর্বে ইত্যাদিতে পুরস্কার হিসিবে অনেক টাকার অনেক মূল্যবান বই উপহার ও প্রদান করা হয়।
বইকে ইত্যাদিতে বার বার মহামূল্যবান বলা হয়। এটা ও লেখক, সাহিত্যিক ও পাঠকদের জন্য বড় সম্মান।
ইত্যাদি’র উপস্হাপক, গুণীজন, ফাগুন অডিও ভিশন এর পরিচালক শ্রদ্বেয় হানিফ সংকেত এর এরকম মানবিক কার্যক্রমে তিনযুগ ধরে পরিবার, সমাজ ও জাতিকে আলোকিত, সচেতন ও সমৃদ্ধ করার ব্যপক ভূমিকা পালন করতেছে।
★ লেখক : নুর মোহাম্মদ,
চট্টগ্রাম।
কোরবানির ঈদে অনেক অপেশাদার সাধারন মানুষ পশুর মাংস প্রস্তুতে নিযুক্ত হন। কাটাকাটির অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন। বিশেষ করে ভারি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোরে হাড় কাটার সময় কারো পুরো আঙ্গুল হয়ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কোরবানির ঈদে এই ঘটনা বিরল নয়। প্রতি বছরই বড় ঈদে দেশের প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে এমন অনেক কেইস আসে। কিন্তু সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে না আনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয় না।
শুধু কোরবানির কাটাকাটি ছাড়াও মারামারি বা রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টেও কারো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ কেউ পুণঃসংযোজন করতে চাইলে আসতে হবে মাইক্রোসার্জারিতে পারদর্শী একজন প্লাস্টিক সার্জনের কাছে। আমরা সাধারন মানুষ বিচ্ছিন্ন অঙ্গের সংরক্ষন পদ্ধতি জানিনা এবং কত সময়ের মধ্যে আসতে হবে তাও জানিনা।
বিচ্ছিন অঙ্গটি(আঙ্গুল, হাত বা পা) প্রথমেই নরমাল স্যালাইন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। শিরায় দেয়ার নরমাল স্যালাইন পাওয়া না গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব দ্রুত পরিষ্কার করে নিলেও চলবে। তারপর একটি পরিষ্কার জীবানুমুক্ত কাপড় বা টিস্যু দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে। শুকনো অঙ্গটি একটি পরিষ্কার জীবানুমুক্ত পলিথিনে ভরে পলিথিনের মুখ ভালভাবে আটকে নিতে হবে। অতপর একটি আইস বক্সে বরফ দিয়ে সেখানে পলিথিনে ভরা অঙ্গটি সংরক্ষন করতে হবে। যদি আইস বক্স না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে অন্য একটি পলিথিনে বরফ নিয়ে তার ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অঙ্গটি সংরক্ষন করা যাবে। বরফ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো দীর্ঘ সময় যেন সতেজ থাকে অঙ্গটি। তাই পরিবহনের সময় প্রয়োজনে মাঝপথে বরফ সংযোজন করা যাবে।
অঙ্গহানির ৬ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে। এই ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সবচে ভাল হয় যদি রওয়ানা দেয়ার পুর্বেই মাইক্রোসার্জারিতে অভিজ্ঞ একজন প্লাস্টিক সার্জনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে রওয়ানা দেয়া যায়, যাতে সেই সময়ের মধ্যে সার্জন তার টিম ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করে ফেলতে পারে।
এই সার্জারি মাইক্রোস্কোপ এর নীচে করা হয় অথবা সার্জন একটি মাইক্রোস্কোপ সংবলিত বিশেষ চশমা পরিধান করেন যাকে লুপ বলা হয়। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সাধারন ভাবে পুর্বের যায়গায় সেলাই করে সংযোজন করে দিলে কোনভাবেই টিকবেনা। রক্তনালীর সংযোজন যা এই সার্জারির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পার্ট। এছাড়াও স্নায়ু, মাংশপেশীর টেন্ডন এই সবই জোড়া লাগাতে হয়।
✍️
ডা.ইকবাল আহমেদ
স্পেশালিষ্ট প্লাস্টিক এন্ড এস্থেটিক সার্জন
সহকারি অধ্যাপক
বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
একজন রোগী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হযে পড়েছে। ডাক্তারের চিকিৎসার শেষ নেই, তারপরও রোগীর ভিতর লুকিয়ে থাকা মনে ভয় কাটছে না। দুর্ঘটনাটি যেন বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। যতবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে ততবার জ্ঞানহারা হয়ে পড়ছে। এবার ডাক্তার তার শেষ চিকিৎসায় বলছে আর হাসপাতালে নয়, দূরে কোথাও ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হোক রুগীকে। প্রকৃতির দৃশ্যই তার মনের গহীন থেকে দূর্ঘটনার স্মৃতি মুছে দিতে পারে। ঠিক স্রষ্টার সৃষ্টি প্রকৃতির মাঝে ফিরে পায় নিজের জীবনের বাঁচার আকুতি। আজ সেই বাঁচার আকুতি নিয়ে নগরবাসী ছুটে আসে চট্টগ্রাম ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রাণের স্পন্দনের সিআরবি নামক জায়গাটিতে।
ভালোবাসা তো আরেক জনমের ফিরে পাওয়া অক্সিজেন। ভালোবাসার উপর মাথা রেখে দীর্ঘ নি:শ্বাস নিয়ে পথচলা হয় জীবনের অন্তকাল তাও আবার প্রকৃতির টানেই বাইরের ছায়ার তলেই ভালোবাসার উপর মাথাটুকু রাখার ঠিকানা তৈরি হয়। তোমার আমার ভালোবাসার স্মৃতি, তোমার আমার পথচলা তোমার আমার অটুট বন্ধন তৈরি করা, আবার হারিয়ে যাওয়া হাজারো স্মৃতি ফিরে পাওয়া এই সবি যেন শতবর্ষী বটবৃক্ষরাই কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসাম- মেঘালয় থেকে ছায়া-রশ্মি সোজা চট্টগ্রামে কেন্দ্রবিন্দু পরিণত। ছোট ছোট বিন্দু সিন্ধুতার খুঁজে অপরূপ সেজে আছে বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি। ভুল করেনি আসাম তার স্মৃতি তৈরি করেছিল সেইদিন এই সিআরবি নামক জায়গাটিকে।
আসাম বেঙ্গল তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় রেল দপ্তর। সেদিন খুঁজে পেয়েছিল তাঁরা তাদের বাঁচার প্রাণ কেন্দ্র। হতে পারে এই প্রকৃতির অভায়রন্যর জায়গাটি। মনের মাধুরিতে সাজিয়ে তুলেছিল সিআরবিতে। উঁচু পাহাড় না কেটেও প্রকৃতির সৌন্দর্য্য স্বকীয়তা রেখে তৈরি করেছিল ইট পাথরের লাল রঙ্গের নীড়। পাখির কল-কাকলীতে, বাঘের হুংকার, শিয়ালের হুক্কা-হুয়া ডাকে রাঙ্গিয়ে তুলতো পুরো চাটিগাঁওকে। নিরব বিস্তব্ধতায়, হঠাৎ করে ভেসে আসতো ঝক্ ঝকা ঝক্ ট্রেনের আওয়াজ। মনের মাধুরী বলছে এই শুনছো এই শুনছো তোমার ট্রেন আসছে, প্রস্তুত হও ছুটে যেতে হবে ট্রেনের কাছে। ট্রেনের ঝক্ ঝকা ঝক্ শব্দটাও যেন ভালবাসার কথা বলে। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ার সেই কয়লার ইঞ্জিন চালিত ট্রেনে শব্দ আজ হারাতে বসছে। শুরু হলো বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন। ইংরেজদের শাসন আর শোষণের বিরুদ্ধে জবাব দিতে আমাদের বিপ্লবী দামাল ছেলেরা গর্জে উঠেছিল সেইদিন। এক দফা, এক দাবী ইংরেজ তুই কখন যাবি, ইংরেজ হঠাও বাংলা গড়ো এই স্লোগানে বিপ্লবী সোনার ছেলেরা ফিরে পেয়েছিল বেঁচে থাকার প্রাণ। ইংরেজ হটিয়েও দমেনি এই বাংলার দামাল ছেলেরা। তেইশটি বছরের একতরফা শাসনের বিরুদ্ধে আবারও রুখে দাঁড়ালো এই বাঙলার আবাল-বৃদ্ধ একাত্তরের রনাঙ্গণের হাতিয়ার গর্জে উঠলো সিআরবি থেকে ৯ মাসের স্মৃতি বিজড়িত মুক্তিযোদ্ধাদের অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়েছে তাদের অনেক সহপাঠীদের। বৃট্রিশ আন্দোলনে প্রীতিলতার স্মৃতি থেকে স্বাধীনতার মুক্তিকামী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ১১টি সমাধীস্থল রয়েছে এই সিআরবিতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাকসু’র প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সহ ১১টি সমাধিস্থল আজ অবহেলিত পড়ে আছে। রেল ভবন নির্মাণ শুরু থেকে আজ অবধি দুইশত বছর কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রাণের স্পন্দন চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবি। চট্টগ্রামবাসীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে পথচলা আজ অবলীলায় ধ্বংস করতে ঘাপটি মেরে থাকা দেশ ও জাতির শত্রু মাফিয়া চক্র আগ্রাসী থাবায় গ্রাস করতে চায় অক্সিজেন ডিপো খ্যাত সিআরবিকে। লোক চক্ষুর আড়ালে সমাজের মধ্যে এখনো রয়েছে আলবদর দোসরের চক্র যা চিহ্নিত করতে সরকারের দরজা খুলে যেতে পারে বলে চট্টলবাসীর ধারণা। এখন কাঁটা বেঁধে আছে গলার মাঝ বরাবর। স্বাদটুকু আগেই গ্রহন করে ফেলেছিলো। হঠাৎ করে কাঁটা বেঁধে যাওয়ায মহাশয়রা কালো বিড়ালের চরণ ধুলো নিতে ব্যস্ত বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামবাসী তা মেনে নিবেনা। চট্টগ্রামবাসী মুরালী বাঁশির সুর ভালো করেই তুলতে পরেন। স্বার্থ রক্ষার জন্য চট্টগ্রামবাসী ঐক্য হতে দল মতের তোয়াক্কা করে চলেন না। তাই, চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি নি:শ্বাস বন্ধ করে দিয়ে দেহের উপর হাসপাতাল নির্মাণের নামে ভবিষ্যত ফাইভস্টার হোটেল বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
আমাদের বাঁচার আকুতির জায়গায় যেনো লোহার পেরাক ঠুকা না হয়। আমরা বাঁচতে চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাঁচাতে চায়, ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে চাইবে। নি:শ্বাসটুকু কেড়ে নিয়ে দেহের উপর বড় লোকদের হাসপাতাল নির্মাণ চাই না।
লেখক: ব্যুরো প্রধান
দৈনিক আমাদের নতুন সময়
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার প্রাচীন স্হাপনা বখশী হামিদজামে মসজিদ।
মসজিদ টি উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পশ্চিমে ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে অবস্থিত।
মোগল স্হাপত্য কৌশলে নির্মিত এ মসজিদ টি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট পুরনো ভবন আকারে বেশ প্রশস্ত এবং শক্ত ভিত্তির উপর দন্ডায়মান। এটি নির্মিত হয়েছে ইট,পাথর ও সুরকি ব্যবহার করে।ইসলামী সভ্যতা সাংস্কৃতির বিকাশে তৎকালীন সময়ে এই মসজিদটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুসলমানদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতির ভীত রচনা করে এ মসজিদ টি। মসজিদের প্রধান গেইট প্রবেশ পথে রক্ষিত ফলকে আরবিতে লেখা আছে,
বানাল মসজিদুল মোকারম ফি আহমিদ- মূলক ইসনাদুল মিল্লাতি ওয়াদ্দিনী সুলতানুল মুয়াজ্জমু সুলাইমান, সালিমা ফিহি আনিল ওয়াফাত ওয়াল ব্যায়িনাতী মুবেখান জিসমুর রমজান, খামছান ওয়া সাবয়িন ওয়া তিসআতু মিইআত হিজরী আলাইহিমুস সালাম।
অর্থাৎ এই পবিত্র মসজিদ খানা জাতি ও ধর্মের অন্যতম খুটি। সুলতান সম্রাট সোলাইমান সময়ের আমলে নির্মিত হয়েছে মসজিদ টি। যাকে তৎকালীন যুগে উপাধি দেওয়া হয়েছে দ্বীন ও মিল্লাতের সুলতানুল মুয়াজ্জম তথা মহান সম্রাট হিসাবে।তিনি আজ থেকে ৪৫০ বছরের আগে নির্মান করে এ মসজিদ টি। কেউ কেউ মনে করেন, এটি আল্লাহ নিজেই তার ফেরেসতাদের মাধ্যমে নির্মাণ করেছেন, যা ভূর্গত থেকে উপরে উঠে এসেছে।আবার এলাকায় লোকে মুখে বখশী হামিদ জামে মসজিদ বলে বেশ পরিচিত। স্হানীয় এলাকাবাসী ও সাধারন মুসল্লীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বখশী হামিদের পুরো নাম মুুহাম্মদ আবদুল হামিদ। বখশী তার উপাধী। ১৫৬৮ সালে নির্মিত বখশী হামিদ মসজিদটির প্রতিষ্টাতা তৎকালীন সময়ে কালেষ্টর তথা প্রশাসক ছিলেন। তিনি মসজিদ টি নির্মাণ করার পর এলাকার শিক্ষা সাংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। তৎকালীন সময়ে উক্ত এলাকাটি ছিল প্যারাবন রুপে।ইউচুফ ও কুতুব নামে দু- জনই আমির শাহ আব্দুল করিম নামক জনৈক সূফীর সঙ্গে গৌড় পেলে উপযুক্ত বাসস্হানের সন্ধানে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বাঁশখালীর এই উপকূলিয় জায়গায় অবতরন করেন।তারা তৎকালীন যুগে বাঁশখালীর ইলশা দারগা বাড়ির সামনে পৌছলে শাহ সাহেব ইলা- হা শব্দ উচ্চারন করে তার ছড়ি পুঁতে রাখেন এবং সেখানে বসবাসের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তার সেই নামানুসারে এর নামকরন করা হয় বখশী হামিদ জামে মসজিদ। ধারনা করা হয়, এই উপমহাদেশে ধর্ম প্রচার করতে আসা নবী ও রাসুল(সা:) এর সাহাবী ছিলেন তিনি।সেই থেকে এ এলাকার নাম করন করা হয় ইলশা গ্রাম হিসেবে।
অলি বুর্জুগের আবাদকৃত এ গ্রামে বহু দ্বীনদার – পীর মাশায়েকের আবির্ভাব হয়েছিল।এর মধ্যে শাহ চাঁন মোল্লা অন্যতম,তিনি এ মসজিদ নির্মানের সম- সাময়িক বলে অনেকে মনে করেন।তবে এ মসজিদ টির নামকরন নিয়ে দেশ জুড়ে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে। মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে প্রাচীন কালের সান বাঁধানো একটি সু – বিশাল পুকুর রয়েছে,পুকুরে মাছ চাষ করা হয় এবং পানি ব্যবহার করে মুসল্লিরা অজু করে। মসজিদের পশ্চিমে কবরস্হান পূর্বে উত্তরে গড়ে উটেছে সু বিশাল মাদ্রাসা ও এতিমখানা সহ ইসলামী কমপ্লেক্স।এ কমপ্লেক্সের নাম রাখা হয় দারুল কোরআন মুহাম্মদিয়া শাহ আব্দুল হামিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানা।প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লি সমাবেত হয়।বর্তমানে মসজিদ টি খুব সুন্দর করে নতুন সাজে সজ্জিত করে গড়ে পীরে কামেল হযরত মাওলানা আব্দুল মজিদ সাহেব (দা:বা:)। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনা মসজিদটি পরিদর্শনে মন্ত্রী,এমপি থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন আসেন ||
সংগ্রহীতায় :-মোঃ আরিফ বিল্লাহ্ চৌধুরী||
স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে । সে সময়ে শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়া ও রেডিও’র মাধ্যমে দেশের আম-জনতা দেশ -বিদেশের খবর পেতেন । যদিও রেডিওর সহজলভ্যতা বর্তমান সময়ের মত এত ব্যাপক ও বিস্তৃত ছিল না । তৎকালীন প্রেক্ষাপটের আলোকে রেডিও তথা বেতারকে বর্তমানের স্যাটেলাইট এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে । সে সময়ে বিশেষ করে মফস্বল ও জেলা শহরগুলোতে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে দৈনিক পত্রিকা পৌঁছাতে বিকেল গড়িয়ে যেত । এতদসত্ত্বেও আম-জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়তো দেশ- বিদেশের খবর নিতে । শহর-বন্দর -গ্রাম- গঞ্জের হাট-বাজারগুলোর টি – স্টলে দৈনিক পত্রিকার খবর একজন পড়ত এবং সেখানে উপস্থিত দেশ বিদেশের খবর জানতে আগ্রহী উৎসুক অসংখ্য পাঠকরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করতেন এবং পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদ এর আলোকে নিজেদের মতো বিচার-বিশ্লেষণ করতেন । দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রদ্ধেয় মরহুম জনাব তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, প্রয়াত জনাব নির্মল সেন , চারণ সাংবাদিক খ্যাত মরহুম জনাব মোনাজাতউদ্দিন , বিবিসি বাংলা বিভাগের তৎকালীন দায়িত্বরত মরহুম জনাব আতাউস সামাদ , মরহুম এম আখতার মুকুল সহ আরো অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিকের নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হতো সমগ্র বাংলাদেশে ।
সময়ের বিবর্তনে আকাশ সংস্কৃতির প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বিশ্বব্যাপী আবির্ভাব ঘটে স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের , স্বাধীন বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে তার ঢেউও । এরই ধারাবাহিকতায় ৯০ দশকের একেবারে শেষের দিকে বিপুল বিস্ময় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আবির্ভাব ঘটে স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের । একুশে টিভি ও এটিএন বাংলা রীতিমতো সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় । এরই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই, এনটিভি, চ্যানেল ওয়ান, মাই টিভি, সিএসবি নিউজ , ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, এটিএন নিউজ, সময় টিভি সহ আরো অনেক স্যাটেলাইট গণমাধ্যম এর আবির্ভাব ঘটে । উক্ত স্যাটেলাইট গণমাধ্যমসমূহ ব্যাপক সাড়া ফেলে জনমানসের হৃদয়ে ।
বর্তমানে চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর সাথে সাথে প্রযুক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতায় ( ফেসবুক ,টুইটার, মেসেঞ্জার , হোয়াটসঅ্যাপ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ও ব্যাপকভাবে আবির্ভাব ঘটে অনলাইন গণমাধ্যমের। ” মুহুর্তের খবর মুহূর্তের মধ্যে” জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে রীতিমতো বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে গণমাধ্যম জগতে এই অনলাইন গণমাধ্যম । কাজের আধিক্য ও যান্ত্রিক জীবনের ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জনগণের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই অনলাইন গণমাধ্যম এর । স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের সাথে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশে বেশকিছু অনলাইন গণমাধ্যম ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আস্থা অর্জন করে নিয়েছে জনগণের হৃদয়ে । তবে সঠিক নীতিমালা ও স্বচ্ছ জবাবদিহিতার অভাবে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থের পাশাপাশি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে । এছাড়া রুচি ও মানহীন সংবাদ পরিবেশন, যাচাই-বাছাই বিহীন সংবাদ প্রকাশ ও দুষ্কৃতিকারীদের শিরস্ত্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । তবে এদের সংখ্যা মুষ্টিমেয় । এই মুষ্ঠিমেয় সংখ্যাধিক্যের কারণে জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে না । ইতিমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন গণমাধ্যমকে নীতিমালায় আনার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এরই ধারাবাহিকতায় , সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অসংখ্য অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করেছে এবং তা বর্তমানে যাচাই বাছাই এবং প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে । এতদসত্ত্বেও ঈর্ষাপরায়ণতা অথবা ব্যক্তি বিদ্বেষের কারণে সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইট গণমাধ্যম ঢালাওভাবে অনলাইন গণমাধ্যম এর প্রতি ব্যাপক বিষেদাগার করেছে , যা অনভিপ্রেত । কারণ অনলাইন গণমাধ্যমগুলো নীতিমালায় আসার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তারা যথাযথ কাগজপত্র জমা তথা পরীক্ষা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ে, যেভাবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণে । অনলাইন গণমাধ্যমগুলো পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি ……. ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার আগে এই ধরনের ঢালাও বিষাদাগার কাম্য নয় মোটেও । এছাড়া কতিপয় গণমাধ্যমকর্মী একে অপরকে বারিধারা, উত্তর ধারা ও মূলধারা বলে কটাক্ষ করে থাকে । যা সত্যিই দৃষ্টিকটু ও লজ্জাজনক । গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তবে অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয় । কোলের বাচ্চা শিশু যখন মল-মূত্র ত্যাগ করে তখন সে বাচ্চার কাপড় পরিবর্তন করা হয় , শিশু বাচ্চাটিকে ফেলে দেওয়া হয় না । ঠিক তেমনি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না । দৃষ্টিকটু ও লোক হাসানো কাঁদা ছোড়াছুড়ির অবসান ঘটিয়ে স্যাটেলাইট ও অনলাইন গণমাধ্যম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ সাধারণ জনগণের ।
তানভীর আহমেদ
( গণমাধ্যমকর্মী )
বাংলাদেশী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দিলিপ রাস্তোগি ৭০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন, যদিও তিনি এখনও শরীর ও মনের দিক থেকে নিজেকে অল্পবয়সী ভাবেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ তাকে অপছন্দ করেন কারন এই মুহুর্তে তার বয়স ১০৯ বছর। তবে তিনি তার বয়স ৬০ বছর মনে করেন। মিঃ রাস্তোগি বলেছেন যে দীর্ঘায়ুর গোপনীয়তা রক্তনালীতে নির্ভর করে। যদি রক্তনালী সুগঠিত এবং স্বাস্থ্যকর হয়, তবে আপনি ১২০ বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন, এমনকি অনুভব করবেন সম্পূর্ণ সুস্থ। কার্ডিওলজিস্টরা সম্পূর্ণরূপে এই বিবৃতি নিশ্চিত করেছেন।
এটা সাধারন ব্যাপার যে, দেহের অঙ্গ ও সিস্টেমের কার্যকারিতা রক্তের মানের উপর নির্ভর করে সঞ্চালিত হয়। রক্ত সঞ্চালনের অর্থ অভ্যন্তরীণ অঙ্গ গুলিতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি কার্বনডাই অক্সাইড এবং বিপাকীয় দ্রব্য সংগ্রহ। শৈশব, কৈশোরে, যৌবনে, আমরা বেশী চলাচল করি ফলে রক্তনালী গুলি নতুন, স্থিতিস্থাপক, সুগঠিত – তখন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পুষ্টি সর্বাধিক থাকে। বয়সের সাথে সাথে আমরা কম চলাচল করি তখন আমাদের রক্তনালী গুলি মলিন হতে শুরু করে। অনেক গুলি কারণেই এটা হয়ে থাকে। সবকিছু ক্ষতিকারক নয় কিন্তু ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার, নিম্ন পরিবেশ, আলস জীবনধারা সমস্যা তৈরী করে। তবে প্রাকৃতিক লিপিড ব্লক তৈরি বা জমা করা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া যা সব প্রাণীর মধ্যে বিদ্যমান।
‘খারাপ’ রক্তনালী অর্থ কী?
কল্পনা করুন মরিচা পূর্ণ কিছু পাইপ। কি হচ্ছে? পানির চাপ বাড়ছে তাতে পানির প্রবৃত্তি খারাপ হয়। রক্তের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে রক্তনালীর উপর যখন কোলেস্টেরল বা অন্যান্য পদার্থ জমা হয় তখন রক্তচাপ বাড়ে। (খারাপ’ রক্তনালী গুলি উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ!), তখন রক্তে অপরিশোধিত দ্রব্য থাকে, রক্ত সঞ্চালন কমে যায় ফলস্বরূপ শরীরের সমস্ত অঙ্গ এবং সিস্টেমে পরিবর্তন ঘটে এমনকি ত্বকও একটি সিস্টেম। আপনি যদি যত্নবান হন এবং আপনার রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করেন তবে আপনার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি দিন বেঁচে থাকার। অঙ্গ বা জয়েন্টে ব্যথা অনুভব না করে শরীর কাজ করবে দুর্দান্তভাবে। অন্য কথায়, রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করে আপনার জীবন এবং স্বাস্থ্যকে দীর্ঘায়িত করতে পারেন।
রক্তনালীর অপরিশোধিত দ্রব্য নিম্নলিখিত রোগগুলির উপস্থিতির কারণ হতে পারে:
অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস : রক্তনালী ভালভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, ছোট ছোট রক্তনালী গুলি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়, এবং মূল রক্তনালী গুলিতে কোলেস্টেরল উচ্চ মাএায় জমে থাকে।
ইসকেমিক হৃদরোগ : এটি করোনারি রক্তনালির নিয়মিত রক্তের ঘাটতির কারণে ঘটে। যা রক্তনালি থেকে অপরিশোধিত দ্রব্য বহন করে।
স্ট্রোক : সেরিব্রাল টিস্যুতে রক্ত সরবরাহের দুর্বলতা গুলি স্নায়ুবিক সংবেদনশীলতা অনুভবে মৃত্যু ঘটায়, যা কিছু নির্দিষ্ট ফাংশন কে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ : রক্তনালী গুলি থেকে অপরিশোধিত দ্রব্যর কারনে লুমন সংকীর্ণ এবং বৃদ্ধি ঘটায় রক্তচাপের।
ভেরিকোজ শিরা : এগুলি শরীরের অভ্যন্তরে আবির্ভূত হয় কেবল পায়ে নয় (যা মহিলাদের জন্য উদ্বেগজনক)। হেমোরয়েড এর পরিণাম হলো শিরা প্রসারণ ।
ভেনাস এবং ধমনী থ্রোম্বোসিস : রক্তনালীতে জমে থাকা অপরিশোধিত দ্রব্যগুলি থ্রোম্বি গঠন করে রক্তনালীর মৃত্যু ঘটায়, যা কোনও অঙ্গ থেকে কোষের একটি গ্রুপের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদি থ্রোম্বাস শিথিল করে এবং রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে তবে হৃদয়ের রক্তনালী গুলি ব্লক হতে পারে, কার্ডিয়াক সিস্টেম গতিরোধ হতে পারে, যা ৭০% ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর ঘটাতে পারে।
রক্তনালীর জমাট বাধা সম্পর্কে উপলব্ধির প্রধান লক্ষণগুলি
(ক) মাইগ্রেন (মাথার তীব্র ব্যথা)
(খ) স্মৃতিশক্তি প্রতিবন্ধকতা
(গ) দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
(ঘ) অনিদ্রা
(ঙ) অন্তরঙ্গ সমস্যা
(চ) দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণ বন্ধকতা
(ছ) উচ্চ রক্তচাপ
(জ) শ্বাসকষ্ট এবং বুক ব্যাথা
(ঝ) পায়ে ফ্যাকাশে চামড়া
(ঞ) পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা
আপনার এই লক্ষণগুলির মধ্যে যে কোন একটি লক্ষণ থাকুক বা নাথাকুক, ৩০ বছর বয়সের পরে, কমপক্ষে ৫ বছরে একবার রক্তনালী পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এইভাবে আপনার স্বাস্থ্য দৃঢ় থাকবে। রক্তনালী গুলির অপরিশোধিত দ্রব্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা রয়েছে, বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে। এই জন্য দিনভর বার্গার বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার দরকার নেই। সসেজ বা ভাজা ডিম খাওয়ার পরেও নির্দিষ্ট পরিমাণে কোলেস্টেরল রক্তের কোষে জমা হবে, যা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে।
রক্তনালী গুলি পরিষ্কার করার পদ্ধতি :
অনেক দেশে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এইটি। এই রোগের প্রধান ঝুঁকি হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক, যা ধমনী বাধাপ্রাপ্ত বা উচ্চ মাত্রায় খারাপ কোলেস্টেরলের দরুন হয়। কম চলাফেরা করা বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য হৃদরোগের দিকে পরিচালিত করে। কিন্তু যদি আপনার খাদাভ্যাস সামান্য পরিবর্তন করেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমাতে পারেন।
হৃদপিণ্ডে রক্তসরবরাহকারী ধমনী পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এমন কিছু খাবার ও পানীয় এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো :
১। কমলার রস : বিশুদ্ধ কমলার রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ধমনীর জন্য উপকারী। এছাড়া এটা সকলেরই জানা যে, কমলার রস রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন ২ কাপ কমলার রস পান, আপনার শরীরে সাধারণ ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ, ভিটামিন এবং মিনারেল সরবরাহে যথেষ্ট।
২। বাদাম : বাদামে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর চর্বি বিদ্যমান, বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অসম্পৃক্ত চর্বি। বাদাম শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল স্তর কমায়, এছাড়াও শরীরের জয়েন্টগুলো এবং মস্তিষ্কের স্মৃতির জন্য দরকারী। খাদ্যতালিকায় আখরোট এবং কাজুবাদাম রাখতে ভুলবেন না।
৩। হলুদ : হলুদে কারকুমিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা অত্যধিক চর্বি জমা প্রতিরোধ এবং টিস্যুর প্রদাহ হ্রাস করে। হলুদ দিয়ে চা পান কিংবা তরকারিতে মশলা হিসেবে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন হলুদ।
৪। কফি : এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ২-৪ কাপ কফি পান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, কফি আপনার পাকস্থলীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন ভালো নয়।
৫। স্যামন মাছ : সুস্থ হার্টের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবারগুলো একটি হচ্ছে, স্যামন মাছ। এই মাছে অনেক স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে, প্রদাহ প্রতিরোধ করে। এছাড়া হার্টের জন্য অন্যান্য ধরনের মাছও উপকারী। যেমন টুনা, হেরিং এবং ম্যাকেরল।
৬। পারসিমন : ফাইবার সমৃদ্ধ ফল পারসিমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৭। গ্রিন টি : গ্রিন টিতে শক্তি এবং শান্তি উভয় প্রভাব রয়েছে। চা পাতায় টিসেটাহিনু নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। দিনে এক বা দুই কাপ গ্রিন টি পান রক্তনালীর উপকারে যথেষ্ট।
৮। তরমুজ : গ্রীষ্মের এই ফলটি শরীরকে শুধু সতেজ করে তোলে না, পাশাপাশি শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিড উত্পাদনে অবদান রেখে রক্ত বাহন প্রসারিত করে। এমনকি এক টুকরো তরমুজ অনেক আশ্চর্য কাজ করে।
৯। পনির : মাঝারি পরিমানে পনির রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১০। ক্র্যানবেরি : পটাসিয়ামের একটি দারুন উত্স ক্র্যানবেরি। আপনি যদি নিয়মিত ক্র্যানবেরি জুস পান করেন তাহলে সুস্থ কোলেস্টেরল স্তর বৃদ্ধি এবং খারাপ কোলেস্টেরল স্তর হ্রাস পাবে। এটা প্রমাণিত যে, দিনে ২ গ্লাস ক্র্যানবেরি জুস পান করলে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে।
১১। দারুচিনি : দারুচিনি শুধু দারুন মশলা চা বা রান্নার স্বাদ বাড়াতে সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়াও এটি উচ্চ কোলেস্টরলের সঙ্গে সংগ্রাম করে ধমনী সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বাস্তব প্রভাব পেতে, প্রতিদিন ১ চা-চামচ যথেষ্ট।
১২। ডালিম : ডালিমে রয়েছে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যাল, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে স্বাভাবিক নাইট্রিক অক্সাইড উত্পাদনে অবদান রাখে।
১৩। পালংশাক : ধমনী পরিষ্কার এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে পালংশাক। এটি পটাসিয়াম এবং ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই উভয় উপাদান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস এবং পেশী টিস্যু বজায় রাখে।
১৪। অলিভ ওয়েল : ইতালীয় এবং গ্রীকদের দীর্ঘকাল সুস্বাস্থ্যের গোপন রহস্য হচ্ছে- উচ্চ মানের অলিভ ওয়েল। খাদ্যতালিকায় অলিভ ওয়েল রাখলে, শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কোলেস্টেরল হ্রাস পাবে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪১ শতাংশ কমাতে পারে অলিভ ওয়েল।
১৫। ব্রোকলি : এই সবুজ সবজিটি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ, আপনার ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমা প্রতিরোধ করবে, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকারী। ব্রোকলি খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি সবজি হিসেবে পরিচিত।
১৬। অ্যাভোকাডো : পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো একটি। এই ফলের মধ্যে থাকা ফ্যাট, ভালো এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে, যা আমাদের ধমনীর জন্য অত্যাবশ্যক।
১৭। অ্যাসপারাগাস : এই সবজিটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে। শ্বাসকষ্ট এবং ধমনীর প্রদাহ রোধ করে।