করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতে লাগবে টেস্ট কিট। আর টেস্ট কিট হলো কান পরিষ্কারের কটন বাডের মতো একটা জিনিস আছে যার নাম ’সোয়াব’। এর সাথে আছে লেবেল আঁটা একটা ছোট শিশি (ভায়াল), বা একটা জিপলক ব্যাগ।
যার টেস্ট করাতে হবে, প্রথমে সোয়াবটা তার নাকের ভেতর দিয়ে গলা পর্যন্ত ঢুকিয়ে সেখান থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। গলার এই অংশটার নাম ন্যাসোফ্যারিংক্স, সেই জন্য এই সোয়াবটিকে বলা হয় ন্যাসোফ্যারিঞ্জিয়াল সোয়াব।
সোয়াবটি ঢুকিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ন্যাসোফ্যারিংক্সের নমূনা সংগ্রহ হয়ে গেলে সোয়াবটি ভায়ালে ঢুকিয়ে রোগির সনাক্তকরণ আইডি লেবেলে লিখে ব্যাগে ভরে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হয়। তবে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই সোয়াবটি কোন একটি ল্যাবে পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
যদি ৭২ ঘন্টায় সোয়াবটি ল্যাবে পৌঁছানো সম্ভব না হয় বা ল্যাবে পৌঁছার পরও দীর্ঘ জটের কারণে পরীক্ষায় দেরী হবার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সোয়াবটিকে শুরুতেই -৭০ (মাইনাস) ডিগ্রী তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে শুধু নাক থেকে এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে সর্দি সংগ্রহ করলেও কাজ হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
এর পরের কাজটাই হলো আসলে করোনাভাইরাসের টেস্টিং। এটি করার জন্য ল্যাবরেটরীতে একটি পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশান) যন্ত্র লাগবে। প্রথমে সোয়াবটির স্যাম্পল থেকে একটি জলীয় দ্রবণ বানানো হয়। এই স্যাম্পলে যদি ভাইরাস থাকে তা জলীয় দ্রবনেও আসবে।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় পলিমারেজ এনজাইমের সাহায্যে পিসিআর যন্ত্রে একটি ভাইরাসের আরএনএ থেকে অসংখ্যা আরএনএ তৈরী করা হয়, প্রক্রিয়াটির নাম অ্যাম্পলিফিকেশান – অনেকটা ফটোকপি করার মতো ব্যাপার। অসংখ্য কপি তৈরী হবার ফলে আরএনএ-টিকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়।
আরএনএ-র বৈশিষ্ট্য থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় এটি করোনাভাইরাসের আরএনএ, নাকি অন্য কিছু। অল্প কথায় এটিই হলো করোনার টেস্ট। সকালে স্যাম্পল ল্যাবে পৌছালে বিকেলের মধ্যেই জানা যেতে পারে রেজাল্ট
এখন প্রশ্ন হলো যে কেউ, যে কোন ল্যাব কি এই কাজটি করতে পারবে?
উত্তর: না। এর জন্য যথেষ্ঠ প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অবশ্যই লাগবে। প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতাহীন মানুষের কাছে সব আরএনএ-ই দেখতে একই লাগবে। অনেকটা আপনাকে এক্স-রে বা আল্ট্রাসনোগ্রামের সামনে বসিয়ে দিলে আপনি যেমন বুঝতে পারবেন না কোনটা কী জিনিস, এর জন্য প্রশিক্ষিত রেডিওলজিস্ট ও মেডিক্যাল ইমেজিং স্পেশালিস্ট লাগবে।
একবিংশ শতাব্দির এক নতুন চ্যালেঞ্জ করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এখন সারাবিশ্ব ব্যাস্ত। বিশ্বের সকল প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র যারা সকল দিক থেকে রোল মডেল হিসাবে ভূমিকা রাখছে তারাও এই ভাইরাস মোকাবিলায় আজ হিমশিম খাচ্ছে ।
স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সামাল দিতে পারছেনা এই ভাইরাসে আক্রান্তদের। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এই করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে কমিউনিটিতে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। ব্যাপকভাবে আক্রান্তের কারনে হাসপাতালগুলো রুগী জায়গা দিতে পারছেনা। ফলে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে রুগী মারা যাচ্ছে রাস্তায়, বাসায় বা অপ্রত্যাশিত কোন জায়গায়। দায়ী করছি হাসপাতালকে, স্বাস্থ্যকর্মীকে সরকারকে। আসলে কি তাই। আসলে এই ভাইরাসকে না জানা, চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ভূল ধারনা, সময়মত সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা, সর্বোপরি ভয় আমাদের এই পরিণতিতে নিয়ে এসেছে।
করোনা ভাইরাস কি?
করোনা ভাইরাস, সেই সকল ভাইরাস পরিবারের সদস্য যারা আমাদের স্বাভাবিক ঠান্ডা কাশি থেকে শুরু করে SARS( Severe Acute Respiratory Syndrome) ও MERS(Middle East Respiratory Syndrome) করে থাকে। এই ভাইরাস পরিবারের সর্বশেষ আবিষ্কৃত সদস্য হচ্ছে কোভিড ১৯ যেটা মানব দেহে কখনো আগে দেখা যায় নাই।
কারা এই ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে আছেন?
১। প্রথমত সবাই, কারন এই ভাইরাস আগে মানব দেহে সংক্রমন হয় নাই।
২। সংকটপূর্ণ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাক্তি যেমন এইডস, ক্যান্সারের রুগী, জন্ম থেকে হরমন স্বল্পতার রুগী, যাদের জীবন ধারনের জন্য স্টেরয়েড অপরিহার্য ।
৩। কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাক্তি যেমন বয়স্ক, গর্ভবতী মা , লিভার ও কিডনী সমস্যাগ্রস্থ রুগী।
৪। যারা বেশি বেশি ভাইরাসে সংস্পর্শে আসছে যেমন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ, সংবাদ কর্মী ।
সংক্রমণ রোধে করনীয় কি?
১। অফিস আদালতে বা চাকুরী ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পোশাক বাসায় প্রবেশের সাথে সাথে সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে দিন বা পোশাকগুলো একটি ব্যাগে দুই দিন পর্যন্ত রেখে দিন ।
২। বাহিরে ব্যবহৃত বেল্ট, ধাতব পয়সা, আংটি, ঘড়ি ও অন্যান্য ধাতব পদার্থ একটি ব্যাগে তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত রেখে ব্যবহার করুন।
৩। প্যাকেট বা কার্টুন আদান -প্রদানে সতর্ক থাকুন। স্পর্শ লাগার পর দ্রুত হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪। টাকা লেনদেনে যারা জড়িত তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে । বাহিরের টাকা চার দিন পর্যন্ত আলাদা জায়গায় রেখে পরে ব্যাবহার করুন।
৫। বাহিরে বার হলে মাস্ক ব্যাবহার করুন। মাথায় পাতলা ক্যাপ ব্যাবহার করুন। বাসায় প্রবেশের পূর্বে এগুলো ঢাকনা যুক্ত বিনে ফেলে দিন।
মাস্ক ব্যাবহারের সাধারণ নিয়ম?
১। কাপড়ের মাস্ক ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।
২। এক দিনের জন্য একটি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্কের বাহিরের বা ভিতরের অংশ স্পর্শ করবেন না । দুই পাশের ব্যান্ড ধরে মাস্ক পড়ুন এবং খোলার ক্ষেত্রে ব্যান্ড ধরে খুলুন।
৩। যারা কে এন -৯৫ বা এন-৯৫ মাস্ক ব্যাবহার করতে চান এবং পুনরায় ব্যাবহার করতে চান,তারা ছয় টি মাস্ক ব্যাবহার করবেন। প্রথম থেকে ৬ষ্ঠ দিন পর্যন্ত পর পর ছয়টি মাস্ক ব্যাবহারের পর ছয়টি কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণ করুন। সপ্তম দিনে প্রথম দিনের মাস্ক ব্যাবহার করতে পারবেন। এভাবে দুই মাস পর্যন্ত ব্যাবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই খোলা ও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে ২ এর নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কোভিড ১৯এর উপসর্গ বা লক্ষন গুলো কি কি ?
১। জ্বর
২। কাশি
৩। তীব্র মাথাব্যথা
৪। ঘ্রান শক্তি লোপ পাওয়া
৫। শ্বাস কষ্ট
৬। আস্বাভাবিক দুর্বল লাগা বা কাজে আগ্রহ হারানো ।
৭। ডায়রিয়া
৮। স্কিনের বিভিন্ন জায়গায় ঘা হওয়া
উপসর্গ দেখা দিলে কি করব?
উপরে উল্লেখিত উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে আইসোলেশনে যান। আইসোলেশনে যাবার ব্যাবস্থা না থাকলে বাসায় মাস্ক ব্যাবহার করুন। কিছু সময় পর পর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। বাচ্চা ও বয়স্কদের থেকে দূরে থাকুন। আপনার কাপড় আলাদা রাখুন। মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যে সকল মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বাচ্চা ধরার আগে বা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে হাত ধুয়ে নিন ও মুখে মাস্ক পরে নিন। বাচ্চাদের খাওয়ার পাত্রগুলো ধরার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
আইসোলেশনের প্রয়োজনীয় জিনিস
১. ইলেক্ট্রিক কেটলি
২. কাপ, গ্লাস, প্লেইট
৩. টি ব্যাগ
৪. ছুরি
৫. যে কোন মিনারেল ওয়াটার,১/২লিটার ও ৫ লিটার সাইজ
৬. মধু
৭. কালিজিরা
৮. আদা
৯. চিনি
১০. লবন্গ
১১. লেবু
১২. লবণ
১৩ মাল্টা, কমলা, আপেল এবং অন্য সিজোনাল ফ্রুটস
১৪. প্লাস্টিক / পলি ব্যাগ
১৫. স্যান্ডেল
১৬. টিস্যু
১৭. হাদিস, কুরআন, সাহিত্য বই
১৮ মোবাইল, চার্জার , ল্যাপটপ, মাল্টিপ্লাগ
১৯. এক্সট্রা কাপড়, টাওয়েল,
২০. সাবান –লাক্স, চাকা, ডিটারজেন্ট
২১. সিভিট ফোরট ট্যাব্লেট, ভিটামিন ডি — যদি খেয়ে না থাকে।
২২. প্যারাসিটামল, এন্টিহিস্টামিন, ইনহেলার, পিপিআই, Zinc tablet (pep-2)
২৩. ভিনেগার– গারগল করার জন্য
২৪. এরোসল,
২৫. শুকনো খাবার– মুড়ি, চিড়া, কলা, খেজুর
২৬. আয়না, কাচি
২৭. mask, gloves, hand sanitizer
২৮. মগ, বালতি
২৯. Pulseoxymeter
৩০. খাবার স্যালাইন ১০ প্যাকেট।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় সাধারণ চিকিৎসা
জ্বরের জন্যঃ
Tab. Napa extend
1+1+1
কাশির জন্য
Tab. Fenadin 120 mg
0+0+1 15 days
Tab. Monas 10 mg (যারা শ্বাস কষ্টের জন্য পূর্বে থেকে খেয়ে আসছেন। )
0+0+1 15 days
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
Tab. Vasco / ceevit
1+0+1 15 days
Tab. Xinc/ Pep
1+0+1 15 days
Cap. Vital D 20000 IU
0+0+1 5 days
সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যেস যা আইসোলেশনে করে উপকার পাওয়া যাবে
১। হালকা গরম পানিতে লবন দিয়ে গড়্গড়া করা। হালকা গরম ভিনেগার দিয়েও গড়্গড়া করা যায় দিনে ৩-৪ বার
২। আদা, রং চা চিনি ছাড়া প্রয়োজন মত।
৩। গরম পানির ভাব নেয়া দিনে ২-৩ বার।
৪। মধু, লেবুর হালকা গরম পানি পান করা।
৫। অতিরিক্ত গরম পানি অনেক সময় গলার ক্ষতি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হালকা কাশিতে রক্ত আসতে পারে।
৬। ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা, বড় করে শ্বাস নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখা, এরপর ছাড়া। এভাবে ৫ বার শ্বাস নিয়ে ৬ষ্ঠ বারে শ্বাস নিয়ে দুটি কাশি দেয়া । এভাবে দিনে ৪-৫ বার করার অভ্যাস করা ।
৭। ঘরের সাধারন ব্যায়াম করা। অধিকক্ষণ শুয়ে না থাকা। নিজের ঘর নিজে পরিস্কার করা ।
৮। সাহস রাখা, আশাহত না হওয়া, বেশি বেশি এবাদত করা বা নামাজ পড়। কোরআন তেলাওয়াত করা।
কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ আসলে করনীয়
কোভিড নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশে চিকিৎসার যে পদ্ধতি চলছে সব জায়গায়ই এখন আক্রান্তের পরপরই বাসায় চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। স্যোসাল মিডিয়ায় অনেক আলোচনা এসেছে বিভিন্ন দেশের আইসিইউ বিশেষজ্ঞদের। যারা এই বিষয়ে চোখ রাখছেন তারা আশা করি খেয়াল করেছেন। মহামারীর এই সময়ে যখন কেউ আক্রান্ত হয় তখন কে বড় কে ছোট খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন। ধনী- গরিবের পার্থক্য এখানে খুবই কম থাকে। আর হাসপাতালে যখন বেড খালি থাকবেনা তখন আপনি আমি কেউ ই আলাদা কোন হিসাব করতে পারব না। সুতরাং এই সময়ে প্যানিক হলে আপনারই বিপদ।
এবার মূল কথায় আসি। কোভিড আক্রান্ত হলে প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সাহস হারানো যাবে না। আপনি আমি জানি যে আক্রান্তের খুবই সামান্য ৫-৭% হাসপাতালে যাওয়া লাগে। আর তাদের মধ্যে ১-২% আইসিইউ এর দরকার হতে পারে। তাই আপনি আমি সাহস হারালে কেমনে চলবে। সাহস রাখুন।
স্বল্প ও মধ্যম উপসর্গের জন্য বাসায় চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
স্বল্প উপসর্গ সম্পন্ন অবস্থায় সাধারণত কোন চিকিৎসা দরকার হয়না যদি কোন অতিরিক্ত ঝুকির লক্ষন না থাকে।
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল Tab. Napa extend1+1+1
ঠান্ডা বা হালকা কাশির জন্য Tab. Fenofex 120mg/Tab. Fenadin 0+0+1
যাদের পূর্বে থেকেই এলার্জি সমস্যা আছে এবং Monteleukast 10 mg ব্যাবহার করে আসছেন তারা এটা দিনে ১ টি করে চালাতে পারেন।
Tab. Zimax 500mg /Tab. Tridosil 500 mg ১ টি করে সকালে ও রাত্রে ৭ দিন অথবা Cap Doxicap 100mg ১ টি করে সকালে ও রাত্রে ৭ দিন। একই সাথে দুটি এন্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।
Tab.Scabo 6mg / Tab Ivera 6mg এর দুটি ট্যাবলেট একসাথে একবারের জন্য।
যারা শ্বাস কষ্টের জন্য Inhaler ব্যাবহার করে আসছেন । তারা যথারীতি তা ব্যাবহার করে যাবেন আগের নিয়মে। তবে এখন Sapcer নামক একটি যন্ত্র আছে সেটি ব্যাবহার করে Inhaler নিতে হবে।
যাদের কাশি আছে এবং উপরের চিকিৎসায় যাচ্ছে না তারা Bexitrol F 50/100 অথবা Ticamet 100 Inhaler দিনে দুইবার করে ব্যাবহার করতে পারেন।
নেবুলাইজেশন কোন ক্রমেই ব্যাবহার করা যাবেনা । এতে ঘরের অন্য সদস্য আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যায়।
প্রচুর পরিমান পানি বা তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে।
শর্করা জাতীয় খাবার কম খেয়ে টক জাতিয় ফল বেশী খাওয়া যেতে পারে।
হালকা গরম পানিতে লবন দিয়ে গড়্গড়া করা। হালকা গরম ভিনেগার দিয়েও গড়্গড়া করা যায় দিনে ৩-৪ বার • আদা, রং চা চিনি ছাড়া প্রয়োজন মত।
গরম পানির ভাব নেয়া দিনে ২-৩ বার।
মধু, লেবুর হালকা গরম পানি পান করা।
ঘরে অধিকক্ষণ শুয়ে না থেকে হালকা ব্যায়াম করুন।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।
কোভিড ১৯ পজিটিভ রুগী বাসায় কিভাবে ফলোআপ করবে দরকারী জিনিস
১। প্রেসার মাপার যন্ত্র।
২। পালস অক্সিমিটার
৩। থার্মোমিটার
৪। ইনহেলার নেয়ার জন্য একটি ভালো মানের স্পেসার।
৫। স্মার্ট ফোন।
বাসায় পালস অক্সিমিটার না থাকলে কিভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস এর খারাপ হওয়া ফলো আপ করবেনঃ
রথ (ROTH) স্কোরের মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার শ্বাস প্রশ্বাস ভালো আছে না কি হাসপাতালে যেতে হবে।
একবার শ্বাস নিয়ে ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত গুনে যান । স্টপ ওয়াচের মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন। আপনি যদি ৯ এর বেশি গুনতে না পারেন অথবা ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় গুনতে না পারেন তাহলে খারাপ । আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
বাসায় একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কোভিড চিকিৎসার জন্য খুবই সহায়ক । আবার অক্সিজেন সিলিন্ডার সতর্কতার সাথে ব্যাবহার না করলে মারাত্নক খারাপ অবস্থা হতে পারে।
১। অবশ্যই সিলিন্ডার রান্না ঘর থেকে দূরে রাখতে হবে।
২। যে ঘরে সিলিন্ডার থাকবে সেখানে কোন অবস্থায় ধূমপান করা যাবেনা।
৩। কোন ধরনের মশার কয়েল জ্বালানো যাবেনা।
৪। যে কোন ধরনের দায্য পদার্থ থেকে দূরে রাখতে হবে।
হাসপাতালে কি হচ্ছে আর আপনি যেয়ে কি পাবেনঃ
হাসপাতালে প্রথমত অক্সিজেন দিয়েই রাখা হয়। কাছে কোন সাহায্যকারী পাবেন না, আপনি যেই হোন। সাধারণ সেবা এখানে ব্যাহত, কি কারনে এটা ব্যাহত সেটা আপনি আমি ভালোই জানি। আর মৃত্যু ভয় সব জায়গায়ই কাজ করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা দেরিতে হচ্ছে স্টাফ স্বল্পতা, আরো অনেক যৌক্তিক কারনে। সেক্ষেত্রে আপনার মানসিক অবস্থা দূর্বল হয়ে যায়। আপনার নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে থাকেন। মানসিক অবস্থা অটুট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালে যা অতিরিক্ত করা হবে একটি ক্যানুলা । এই রোগের আপডেটেড চিকিতসায় ব্যবহৃত হওয়া কিছু ওষুধ antibiotics, low Molecular wt heparin, fluid. Ramdesivir, Tocilizumab, etc.যেটাও বাসায় করা সম্ভব দক্ষ চিকিৎসকের সাথে ফোনে পরামর্শ করে। বরং সাধারণ বিষয় বা অভ্যাস গুলো যা আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি এনে দিতে পারে সেটা হাসপাতালে পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
কখন হাসপাতালে যাবেন?
১. মারাত্মক দুর্বল হয়ে গেলে
২ .জ্বর বেড়ে যাচ্ছে বা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে।
৩. মারাত্নক ডায়রিয়া হলে ।
৪. শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা পালস অক্সিমিটারের রিডিং অক্সিজেনসহ ৯০ এর নিচে চলে গেলে।
৫. বুকে মারাত্নক চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে।
৬. মুখ বা জিহবা নীল হয়ে গেলে। এই পর্যায়ে সাধারণত খুব কম রুগিই পাওয়া যায়।
আইসিইউ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনাঃ
আইসিইউ তে যে খুব বেশি কিছু করা যায় সেটা ভাবা ভূল। আইসিইউ স্বল্পতা, অপ্রতুল চিকিৎসক স্টাফ, যন্ত্রপাতির অভাব, জনবল সংকট, পরিক্ষা করানোর ঘাটতি, সব মিলিয়ে আইসিইউ তে আমাদের কিছু করার থাকে না। অনেকেই মনে করেন একটা আইসিইউ বেড কত সুবিধা এনে দিতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে এত এত সুবিধা থাকা সত্বেও খুব কম সংখ্যক রুগীকে ফেরাতে পারছে। আমাদের এই অবস্থায় বেশি আশা করা যায় না।
সাহস রাখুন, মনোবল অটুট রাখুন। আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক থাকুন, বাসায় থাকুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে, আপনাকে আল্লাহই রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ সকলকে এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করুন।
লোকটার নাম কুপ্পা পাপ্পালা রাও। তিনি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ভিশাখা পাটনাম জেলার একজন তাল বিক্রেতা।
পাপ্পালা রাও বলেন, ‘মানুষ যখন তাল কেনার সময় আমার সঙ্গে দর-দাম করে তখন আমার খুব হাসি পায়। বেশিরভাগ মানুষ রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি করে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে আমার কাছে আসে। তাদের গায়ে অনেক সুন্দর পোশাক থাকে, মুখে খুব পরিস্কার মাস্ক থাকে। তারা এসে আমার এক জোড়া তালের দাম ৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০ বা ৩০ টাকা দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে ঝগড়া করে!’
পাপ্পালা রাও হাসেন আর মনে মনে চিন্তা করেন, এই গাড়িওয়ালা মানুষগুলো ১০ বা ২০ টাকা বাঁচিয়ে আসলে কী করে?
‘তারা কখনও চিন্তা করেন না যে, এই ১০-২০ টাকা কতটা দামী আমার কাছে। এই ২০ টাকা দিয়ে আমি শহর থেকে গ্রামে আমার বাড়ি ফিরতে পারবো বাস ভাড়া দিয়ে!’
পাপ্পালা রাও এবং তার স্ত্রী কুপ্পা রামা গ্রাম থেকে তাল নিয়ে এসে বিক্রি করেন। সারাজীবন ভর এই কাজই তারা করে এসেছেন। এভাবেই সংসার চালিয়ে এসেছেন। আগে সারাদিনে ১৫০-২০০ টাকা হাতে থাকতো বিক্রির পর। করোনা আসার পর সারাদিনে হাতে ৫০ টাকাও জুটে না।
এতো অল্প টাকায় সংসার কীভাবে চালান জিজ্ঞেস করলে পাপ্পালা রাও বলেন,
‘সংসার তো আমি চালাই না বাবু। আমি তো এই আশায় ঘর থেকে বের হই যাতে আমার রোগ (করোনা) ধরা পড়ে আর আমি মরে যাই।
কিন্তু রোগও আমাদের কপালে জুটে না। ওটাও শুধু পয়সাওয়ালাদের হয়। আমার মতো গরীবদের অপরিস্কার ময়লা শরীরটা ভগবানও নিজের কাছে নিতে চান না!’
বহুদিন আগে থেকেই মানুষের নিম্নাঙ্গে চুলকানির সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর এর কারণটি ঠিক কী, তা নিয়েই বহুদিন ধরে মানুষ বিভ্রান্ত। পুরুষের নিম্নাঙ্গের নানা স্থানে বিভিন্ন সময় তীব্র চুলকানি অপ্রস্তুত করে দেয়। আর এটি খেলাধুলা, কর্মক্ষেত্র কিংবা অন্যান্য স্থানে বেশ সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু কেন এ চুলকানি?এগুলো হলো- – ছত্রাকের আক্রমণ – ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ – ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইট-এর আক্রমণ – এছাড়াও যৌনাঙ্গে উকুন, খোসপাচড়া ও মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়াম এর সংক্রমণ হলে নিম্নাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। – কিছু যৌনরোগ যেমন – সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। – বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙ ওয়ালা টিসুপেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহার করলেও চুলকানি হতে পারে। – ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, একজিমা ও রক্তে কোন রোগ থাকলে ও অন্যান্য কোন রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়। – আঁটো পোশাক ও যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আর্দ্র রাখলে। – অপরিষ্কার থাকলে। প্রতিকার – ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এন্টিফাংগাল বা অ্যান্টিব্যায়োটিক ড্রাগস খেতে হয়। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন তা আর না হয়। প্রতিরোধের উপায় – পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিশ্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। – প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। – ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। – সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও চুলকানি হতে পারে। – দই খান, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। – সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন। – ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। – ওজন কমান। – নিয়মিত গোসল করুন।
ডাঃ মোঃ ইসতিয়াখ আহাম্মেদ-
যৌবনের একটি অবাঞ্ছিত সমস্যার নাম হচ্ছে ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণ যদি দেখা দেয় তাহলে ছেলে বা মেয়েই হোক, কারোরই মনে স্বস্তি থাকেনা,
কোন বয়সে বেশি হয়ঃ ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সে এটি বেশি হয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি হতে দেখা যায়। টিনএজারদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি পরিমাণে এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
শরীরের কোথায় হয়ঃ সাধারণত মুখে যেমন গাল, নাক, থুতনি ও কপালে হতে দেখা যায়। তবে শরীরের উপরের অংশে ও হাতের ওপরের অংশেও হরহামেশাই হতে দেখা যায়।
ব্রণ হওয়ার কারণ সমূহঃ বংশগত প্রভাব একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়ঃসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্হি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্হিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্হিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে ব্লাক হেড, বা হোয়াইট হেড,হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে,
২/মেছতা হওয়ার কারন ও লক্ষন সমূহঃ
ত্বকের যে সমস্ত সমস্যা বেশি দেখা যায় তার মাঝে অন্যতম হলো মেছতা। এর জন্য মেয়েরা খুব দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে। এটি ছেলে মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। তবে তুলনামূলকভাবে মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের হয়ে থাকে,
মেছতা কী ?
আমাদের ত্বকের নীচে মেলানিন নামক এক ধরণের রঞ্জক পদার্থ থাকে। কোন কারণে ত্বকের বিশেষ জায়গায় এটির কার্যক্ষমতা বেশি হলে ত্বকের সেই অংশটি পার্শ্ববতী অংশের চেয়ে বেশি গাঢ় হয়ে যায়। ফলে ওই অংশটি কালো বা বাদামি থেকে হালকা বাদামি দেখায়। একে মেছতা বলে। এটি কোন এলার্জি না। মেছতার জন্য ক্যান্সার বা খারাপ কিছুই হয় না। শুধুমাত্র এটার একটাই ক্ষতি করে আর তা হলো সৌন্দর্যহানি।
মেছতার উপসর্গ কারণ
মেছতার উপসর্গ কী ?
মেছতা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে তবে সাধারণত যেসকল জায়গায় সূর্যের আলো বেশি পড়ে সেই জায়গায় বেশি হয়। মেছতার উপসর্গ একটাই ,তা হলো কালো বা বাদামি রঙের ছোপ বিশেষ করে, গালে, নাকের উপরে, থুতনিতে, উপরের ঠোঁটের উপরের অংশে, গলায়, ঘাড়ে এমনকি হাতেও হতে পারে।
মেছতার কারণ সমূহঃ
০১. প্রোটেকশন ছাড়া অর্থাৎ সানস্ক্রিন বা ছাতা ছাড়া অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে গেলে এটি হয়। সূর্যের আলোই এটির প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
০২. হরমোনের তারতম্য ঘটলে, যেমন গর্ভাবস্থায় এটি হয়ে থাকে।
০৩. হরমোন ওষুধ ব্যবহারে বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে,
০৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে।
০৫. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য ঘটলে।
৩/ ফুঁস্কুড়ি হওয়ার কারন ও লক্ষন,সমূহঃ
ফুঁস্কুড়ি হওয়ার কারন সমূহঃ (১) কোষ্টকাঠিন্য হলে, ( ২) লিভারের দূর্বলতা থাকলে (৩) রক্ত দূষন হলে (৪)অার্সেনিক যুক্ত পানি পান করলে , (৫) প্রশ্রাবে ইনফেকশন হলে,
ফুঁস্কুড়ি হওয়ার লক্ষন সমূহঃ ফুঁস্কুড়ি একধরনের চর্ম রোগ যা বেশির ভাগ মুখ, কপাল,গাল,এবং থুতনিতে হয়ে থাকে, শরীরের অন্যান্য স্থানে এটি কমই হয়ে থাকে, ফুঁস্কুড়ি হলে মুখে গোটা গোটা দাঁগ দেখা দেয়, কোন ব্যাক্তির দাঁগ গুলো বড় হয়ে উঠে,, অাবার কোন ব্যাক্তির দাঁগ গুলো ছোট ছোট অাকারে দেখা দেয়,, ফুঁস্কুড়ির দাঁগ গুলোতে কখনই চুলকানী হয় না,তবে এর দীর্ঘ স্থায়ীত্বার উপর নির্ভর করে দাঁগ গুলো কালো অাকার ধারন করে এবং পেকে দাঁগ গুলো থেতে পূজ বের হয়,,,
লেখাঃ সুভাষ চৌধুরী
বাইরে আজ বৃষ্টি হচ্ছে, জেঠামণিরা গল্পও বলছে, জেঠামণি, টিভিতে দেখেছ? ডিসি, এমপিরা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন, সব ঠিক আছে, ঠিক আছে। সবকিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু তুমি তো দেখছ, কিছুই ঠিক নেই। আমাদের জেলার অবস্থা দেখো, কিছুর কি ঠিক আছে? কোনো প্রস্তুতি কি আছে? ওরা সবাই মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে কেন? ভুল তথ্য দিচ্ছে কেন? সবকিছু ঠিক আছে ঠিক আছে বলে কেন? কিছু তো ঠিক নাই। ছেলেদের গল্পের পর, এবার আমার কথায় আসি।
তবে আজকের আমার কোনো কথা পৃথিবীর কারো জন্য প্রযোজ্য নই। মানুষকে আর ঘরে রাখা যাচ্ছে না। আগের নিয়মেই চলবে সবকিছু। এরকম কথাবার্তা যখন শুনছি। তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, সংক্রমণ ও মৃত্যু শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ সম্পর্কিত একটি মডেল অবশ্যই তাদের হাতে রয়েছে। কিন্তু জনমনে আতংক ছড়াতে পারে, সেই বিবেচনায় এই মডেলটি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে আনছেন না। তার কারণও অবশ্য আছে, এমুহূর্তে পূর্বাভাস দেওয়ার মত যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ নানাভাবে সমস্যায় রয়েছে। যেমন, বিভিন্ন সংকটের মধ্য দিয়ে, একদিন রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কতদিন পর পরীক্ষা করা হচ্ছে? সেই খবর প্রকাশ করা হচ্ছে আরেকদিন। অর্থাৎ মাঝখানের সময়টা কয়দিন সঠিক বলা মুশকিল। তিন, চার, নাহি সপ্তাহ নাহি আরো বেশি। ফলে এর থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা কঠিন। এর পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে আসা অনেক তথ্য উপাত্ত সিস্টেম লসের শিকার হচ্ছে বলে সন্দেহ। তাহলে তো পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলছে। এমনিতে গাণিতিক হিসাব ও পূর্ব অভিজ্ঞতা আমার সীমিত। নেই বললেই চলে। কথাটা সংক্ষেপ বললাম, বুঝে নেবেন। এবার অভিজ্ঞতা হলে পরেরবার দেখা যাবে অনেকটা সেরকম।
আরো দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের আসল চরিত্র এখনও বুঝে উঠতে পারেননি পৃথিবীর কোনো দেশের গবেষকরা। কারণ এই ভাইরাস একেক দেশে একেক রকম আচরণ করছে। তারপর এখন রাজনৈতিক ভাইরাসও যুক্ত হয়েছে। ফলে এক দেশের চেতনা অারেক দেশে প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস যত বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তত বেশি শাসক ও স্বার্থপর মানুষের চেহারা মানুষের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। মুখোশ খুলে যাচ্ছে। এসব মানুষ কীভাবে বছরের পর বছর শুধু নিজেদের স্বার্থ ঠিক রাখতে জনস্বার্থকে অবহেলা করে এসেছেন, এটি এখন দিবালোকের মত পরিস্কার। কাদের ক্ষতি হবে বলে জরুরি পদক্ষেপ নেননি। ক্ষতি হবে জেনেও গোপন রেখেছেন। তারপরও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো ইতিমধ্যে করোনার ব্রিফিং দিতে এসে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। অন্য দেশেও চলছে। ব্যাতিক্রম শুধু জার্মানি আরো দুই একটি দেশ। তাদের দরদী ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছে। আমাদের অবস্থাও ভালো? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। আর অন্যদের কভিড ১৯ এখন আর স্বাস্থ্য সংকট নেই, এটি এখন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকটও।
তবে লকডাউন ছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেসব সামাজিক বিধিনিষেধ রয়েছে, মনে হয়, চলতি বছরের পুরোটা সময়ই সেসব মেনে চলতে হবে। শিগগিরই জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, এ ধরনের প্রত্যাশা একেবারে অবাস্তব। দীর্ঘ মেয়াদে এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার আদর্শ উপায় হবে। যদি ভুল না হয়, রোগটি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর কোনো প্রতিষেধক ওষুধ বের করা আগামী বছরের আগে সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলে মনে হয়। এ রোগটি দেখাও যাচ্ছে না, আবার অদৃশ্যও হচ্ছে না। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, আমরা একটি রোগ নিয়ে কাজ করছি ও বাস করছি। হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যু দূর হয়ে যাবে, জনগণের এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না।
শেষ করছি গৃহবন্দী মানুষের জন্য শুভকামনা করে। যদি ভালোবাসো কাছে এসো, একথা আরো কিছু দিন বলতে পারবেন না। ভালোই যদি বাসো, তবে আরো কিছু দিন দূরেই থাকো।
এবার একটি ভিন্ন ফেইসবুক পোস্ট।
এটা পেয়েছি গতকালের আজাদী পত্রিকায়-
এতদিন যা বুঝলাম। করোনা বেশি ভালো না। তবে তুলনামূলকভাবে খুব যে বেশি খারাপ তা-ও না। যেমনঃ ১. সুগার এবং প্রেসারের মতো জীবন ভর রোগ নই। ২. কিডনি বা ক্যান্সারের মতো কিছু নয়, যাতে ঘটিবাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হবে। ৩. স্ট্রোক নই যে বাকি জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে হবে। ৪. পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের অমুক জায়গায় যাও সমুক জায়গায় যাও ফ্রী উপদেশ বিড়ম্বনা নেই, অযাচিত পরামর্শ নেই। ৬. সরকারি ডাক্তার ও সরকারি হাসপাতালে কোনো খরচাপাতি নেই। ৭. মৃত্যু পরবর্তী ঝামেলা নেই, লোক খাওয়ানোর খরচ নেই, কেউ আসবে না। ৮. সবচাইতে সেরা যা, তা করোনা নিজেই বলছে, এসো, লড়ো, বাঁচো, মাত্র ১৪ দিনের খেলা। ৯. তবে আশার কথা এই, বেশিরভাগ খেলাতে করোনা হেরে যাচ্ছে, প্রায় ৯৪%। তাহলে ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন, যদি সময় হয় গল্প পড়ুন।
গল্পটি নিয়েছি সিনিয়র বিধুভূষণ দাশের পোস্ট থেকে-
হিটলার তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। একদিন ছদ্মবেশে বার্লিনের বিখ্যাত সিনেমা হলে গেলেন এটা দেখার জন্য , তার জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবি সিনেমার পর্দায় ফুটে ওঠার পর দেশের জনগণ কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, দেশের সকল সিনেমা হলে সে সময় সিনেমা শুরুর আগে, ইন্টারভ্যালে এবং সিনেমা শেষ হলে, পর্দায় হিটলারের ছবি ভেসে উঠতো। এবং সকলে উঠে দাঁড়িয়ে, হিটলারের প্রতি সম্মান জানাতো, এটা বাধ্যতামূলক ছিলো।
ফিল্ম শুরু হওয়ার আগে, পর্দায় হিটলারের ছবি ফুটে উঠলো। সকলে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে লাগলো। হিটলার বসে রয়েছেন, কারণ তিনি নিজেই তো হিটলার, নিজেই নিজেকে সম্মান জানাতে যাবেন কেন?
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপরিচিত যুবক হিটলারের হাত ধরে টেনে তুলে বললেন- দাঁড়িয়ে যাও ভাই, নইলে, হারামজাদা হিটলার আর তার পোষা কুত্তারা জানতে পারলে তুমি ভীষণ বিপদে পড়ে যাবে।
এবার মহাভারতের কাহিনি,
হরিশংকর জলদাস এর লেখা থেকে নিয়েছি-
পঞ্চপাণ্ডব চৌদ্দ বছরের বনবাসে তখন। অজ্ঞাতবাস। দুর্যোধনদের হাতে ধরা পড়লে আরও চৌদ্দ বছর। বনে–বনান্তরে ঘুরে ফিরছেন যুধিষ্ঠিররা। তীব্র এক দুপুর। পথক্লান্তিতে ভাইয়েরা তৃষ্ণার্ত। অদূরের সরোবর থেকে জল আনবার দায়িত্ব পড়ল নকুলের ওপর। সময় বয়ে যায়, জল নিয়ে নকুল আর ফেরেন না। এরপর নকুলের সন্ধানে সহদেবকে পাঠালেন যুধিষ্ঠির। সহদেবেরও একই অবস্থা, ফিরে আসেন না। এরপর গেলেন অর্জুন, ভীম। বহুক্ষণ পর চিন্তিত যুধিষ্ঠির পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলেন সরোবরের দিকে। তৃষ্ণার্ত যুধিষ্ঠির আঁজলা ভরে জল খেতে উদ্যত হলে পেছন থেকে বকরূপী ধর্ম বললেন, ‘আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জল খেয়ো না যুধিষ্ঠির। যদি খাও, তোমার ভাইদের মতন অবস্থা হবে তোমার। ওই দেখো, তোমার ভাইদের কী দশা হয়েছে।’
যুধিষ্ঠির ঘাড় ফিরিয়ে দেখলেন, অর্জুনাদি ভাইদের মৃতদেহ জলে ভাসছে। যুধিষ্ঠির বুঝলেন, প্রশ্নকর্তা নিতান্ত বক নন, বকরূপী অন্য কেউ। যুধিষ্ঠির বকের প্রশ্নের উত্তর দিতে সম্মত হলেন। বক জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিমাশ্চর্যম্!’ অর্থাৎ এই পৃথিবীতে সবচেয়ে আশ্চর্যের কী?
যুধিষ্ঠির বললেন, ‘আমাদের চারপাশে, এমনকি নিজ আলয়ে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। দেখছি আমরা। দেখছি আর ভাবছি, যদু–মধু–রাম–শ্যাম মারা গেলেও আমি মারা যাব না। আমি অনন্তকাল বেঁচে থাকব। মানুষের এই যে মূর্খামি, এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা যত বড় হচ্ছে, মানুষের মনে আতঙ্কও তত বাড়ছে। ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষিত থাকাতে আতঙ্কিত মানুষ প্রতিনিয়ত খোঁজ করে চলেছেন কি করা যায়। কি খেলে ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, কমাতে হবে দুশ্চিন্তা। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমাতে ও প্রচুর পানি পান করতে হবে। এসময় কারো মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে তিনি যেন নিজেকে সঙ্গরোধ করে আদা ও লেবু পানি পান করেন। এর পাশাপাশি উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে, যেমন- জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল।
যাদের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নেই তারাও আদা ও লেবু পানি পানে উপকার পাবেন, অর্থাৎ তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আদা ও লেবু পানির সঙ্গে খাঁটি মধু মেশালে আরো বেশি উপকার পাবেন।
করোনাভাইরাসে আদার উপকারিতা: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু, কেমিক্যাল ও নিম্নমানের খাবারও অত্যধিক প্রদাহ সৃষ্টি করে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আর আদার সেই প্রদাহ ও ক্ষতি কমানোর যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। অগণিত মানুষ এই প্রদাহে ভুগছেন। নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণেও প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে, যে কারণে রোগীরা গলায় ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলার ব্যথা হচ্ছে গলার পেছনের অংশে যন্ত্রণাদায়ক প্রদাহ। গলা ব্যথার সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হচ্ছে ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
প্রদাহ প্রশমন করতে খাবার তালিকা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আদার প্রদাহনাশক শক্তি নতুন করোনাভাইস জনিত প্রদাহ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনও কমাতে পারে। অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনে প্রদাহেরও ভূমিকা রয়েছে। প্রদাহের কারণেও পেশি ব্যথা হতে পারে। আপনি হয়তো ইতোমধ্যে জেনেছেন যে, নতুন করোনাভাইসের সংক্রমণের একটি উপসর্গ হচ্ছে পেশি ব্যথা। আদা পানির সঙ্গে খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করলে কাশির প্রকোপও কমবে।
আদাতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে অথবা হৃদরোগের অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে পারেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হৃদপিণ্ডে সমস্যা তৈরি হয় অথবা হৃদরোগের অবস্থা আরো শোচনীয় হতে থাকে। আদার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষতিগ্রস্ততা প্রতিরোধ করতে পারে। একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, আদা কিডনি ফেইলিউর এড়াতে বা ধীর করতে সাহায্য করে। কিডনি রোগীদেরও কোভিড-১৯ জনিত মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকি বেশি। আদা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা এই মহামারিতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে। এছাড়া আদা হৃদরোগের মার্কার আরজিনেস অ্যাক্টিভিটি, খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইড কমাতে পারে। সারকথা হচ্ছে, আদা শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করতে পারে। কোভিড-১৯ সংক্রমণে শ্বাসতন্ত্র নাকাল হয় বলে এসময় আদা খেলে বিশেষ উপকারে আসতে পারে।
করোনাভাইরাসে লেবু পানির উপকারিতা: আদার মতো লেবুতেও প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে। নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণে উর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের অস্বস্তি দূর করতে অথবা গলার ব্যথা কমাতে লেবু পানি একটি কার্যকরী মাধ্যম হতে পারে। লেবুর রস পানে শরীরের পিএইচ বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করোনাভাইসের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যার ফলে শরীরে ভাইরাসটি টিকতে পারে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, কোনোকিছু খেয়ে অথবা পান করে আপনি কোষের পিএইচ পরিবর্তন করতে পারবেন না। আপনার শরীর কঠোরভাবে যেকোনোমূল্যে রক্ত ও কোষের অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে। লেবুর রস নতুন করোনাভাইসকে ধ্বংস করতে পারে না। আপনি লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পান করবেন কোভিড-১৯ এর উপসর্গ প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে।
এমএ হাসান নুরুল্লাহ-বীমা শিল্পের পেশাদার উন্নয়ন কর্মীদের মূল্যায়ন করা এখন সকল কোম্পানির নিতান্তই প্রয়োজন। আজ বীমা কোম্পানি গুলো এতো সম্পদশালী তাতে উন্নয়ন কর্মীদের অবদানই সব চেয়ে বেশি।
আজ এই ক্লান্তি কালে করোনা ভাইরাসে যখন সারা বিশ্ব অসহায় সকল দেশের সকল সেক্টর তাদের কর্মচারিদের আর্থিক সহায়তা বা প্রনোদনা দিচ্ছে। কোন কোন কোম্পানী তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অগ্রীম বেতন-ভাতা সুবিধা দিচ্ছে। সেখানে বীমা শিল্পের কর্তাব্যক্তিরা আজ নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এটা শুধু বীমা কর্মীদের হতাশই করেনা কর্মীদের আস্তাহীনতায় ভবিষ্যতে এই শিল্পের কি অবস্থা হবে এই নিয়ে সবাই সংকীত।
এখন সময় এসেছে আমাদের সিদ্ধান্ত নেবার, দাবী উঠেছে উন্নয়ন কর্মীদের মানসম্মত বেতন কাঠামো করা বা আত্নীয়করন করা। আশা করি এই শিল্পের অভিভাবক আইডিআরএ, বিআইএ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম জরুরি পদক্ষেপ নিবেন। এই মূহুর্তে কর্মীদের বাচিয়ে রাখতে কোম্পানি গুলো বিশেষ প্রনোদনা বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এটার জন্য অফিস খোলার প্রয়োজন নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি অনলাইনে কনফারেন্স করে সিদ্ধান্ত দিতে পারে তা হলে আপনাদের সমস্যা কোথায়। প্লিজ আর দেরি করলে এই শিল্পের বড়ই ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে। প্লিজ এগিয়ে আসুন অন্তত মানবতার জন্য।
রাত সাড়ে ৩ টা। হঠাৎ এক ফোন এল আশরাফ আলী রোড থেকে। প্রসব বেদনা উঠেছে এক মহিলার। সাথে অন্যান্য সমস্যাও। চিকিৎসা নিতে হবে, কিন্তু পাশে ডাক্তার নেই। হাসপাতালে নিতে হবে, কিন্তু রাস্তায় গাড়ি নেই। শেষে ফোন করে টিম কোতোয়ালী কে। কোন এম্বুলেন্স না পেয়ে থানার টহল গাড়িই নিয়ে যান এএসআই আজিজুল ইসলাম ও সুকুমার। সেখানে গিয়েই দেখেন, রোগীর অবস্থা খারাপ। অজ্ঞান অবস্থা প্রায়। এতে কিছুটা ভড়কে যান তারা, অঘটন ঘটলে আবার পুলিশের দোষ ধরে! শেষে এই ‘ঝুঁকি’ মাথায় রেখেই হাসপাতালে ছুটেন। পুলিশকে দেখে একটু আন্তরিকতা বেশি দেখাতে পারে সে চিন্তা থেকে হাসপাতালে দৌড়ঝাপ করলেন নিজেরাই। ডাক্তার ডেকে, নার্স ডেকে নিশ্চিত করলেন তাৎক্ষণিক চিকিৎসার। অবশেষে তাদের সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা হাসিতে রূপ নিল ফুটফুটে বাচ্চার কান্নার শব্দে। প্রায় তিন ঘণ্টার কষ্ট সার্থক হল। মা- মেয়ে দুইজনই সুস্থ আছে। আর হাসিতে আছি আমরা!
ভালবাসা প্রিয় টিম কোতোয়ালী।
“সেবাই পরম ধর্ম” শ্লোগানকে সামনে নিয়ে নগরবাসীর লকডাউনের সময় যারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাই ভুগছেন কিন্তু সব কিছু বন্ধ থাকায় ডাক্তারের কাছে যেতে পারছেন না তাদের লাইভে পরার্মশ দিবেন বিএনপির ডা: শাহাদাত হোসেন।
আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) তিনি বলেন, প্রিয় নগরবাসী অন্যসব সময়ের মতো এই দুঃসময়েও আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। বিএনপির ডা: শাহাদাত হোসেন আরো জানান আমি আপনাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.৩০-৯.৩০ পর্যন্ত লাইভে থাকবো।
তিনি বলেন আপনাদের সেবাই আমি নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আপনারা আপনাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন, আমি সর্বাত্নক চেষ্টা করবো আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।