আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গঠনমূলক সমালোচনা হচ্ছে ‘বিউটি অব ডেমোক্রেসি’ টেলিভিশনের টক-শোগুলো শুনুন, সেখানে সরকারকে কি ভাষায় সমালোচনা করা হয়। আমরা মনে করি এই সমালোচনা থাকতে হবে। সমালোচনা না থাকলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গঠনমূলক সমালোচনা হচ্ছে বিউটি অব ডেমোক্রেসি এবং সেই সমালোচনাকে সমাদৃত করার মানসিকতা থাকতে হয়। তিনি বলেন, এখন দেখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল বেলা কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন, আবার সেটার সাথে প্রতিযোগিতা করে দুপুরে রিজভী আহমেদ আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে আরো কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কিংবা অন্য কেউ আরেকবার বক্তৃতা দিয়ে বলেন, আমাদের কথা বলার কোন অধিকার নাই। বিএনপি নেতারা সারাদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সন্ধ্যায় বলেন আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সহসভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, বিএফইউজে’র সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, তখন যেই পত্রিকা ব্যঙ্গ করে আমার কার্টুন ছাপিয়েছিল প্রথম পাতায়, সেই পত্রিকাকে জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়ার জন্য আমি নিজেই নাম প্রস্তাব করেছিলাম এবং তারা পেয়েছিল। কারণ আমরা মনে করি দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে এবং সেই সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের থাকতে হয়। না হয় বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না। তিনি বলেন, অনেক সমালোচনা হচ্ছে, রাত বারটার পরে যদি টক-শো শোনেন, সবগুলো টক-শো যদি কারো উপসংহারে আসে তাহলে মনে হবে দেশে কোন কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে ব্লুমবার্গ করোনা নিয়ে যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে বলছে করোনা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবগুলো দেশের উপরে বাংলাদেশের অবস্থান এবং পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০ তম। জনবহুল বাংলাদেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিম্ন। যখন ভালো কাজের প্রশংসা হয় না অহেতুক সমালোচনা হয়, তখন কিন্তু যারা ভালো কাজ করেন তারা হতাশ হন। তখন মানুষ ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত হন না। অবশ্যই সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে, এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও দরকার। না হয় রাষ্ট্র সমাজ এগুবে না – বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের যদি কোন একটি স্তম্ভ সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে রাষ্ট্রের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। এটি মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের সাথে যুক্তরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে পারেন সেক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, করোনাকালে সবকিছু যখন বন্ধ হয়ে গেছে তখন সাংবাদিকদের কলম বন্ধ হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি দেশে কিংবা পৃথিবীতে যখন কোন সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন একটি মহল সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সমাজের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করা যায়, ভয়ভীতির সঞ্চার করা যায়, গুজব রটিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা যায় সেজন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এই করোনাকালের শুরুতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু যাতে গুজব রটাতে না পারে ও মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত যত্নশীল ছিল এবং কঠোরভাবে কাজ করেছে। এ কারণে এই করোনাকালে গুজব কিংবা মিথ্যা সংবাদ খুব বেশি কাজে আসেনি। এজন্য গণমাধ্যমের সাথে যুক্তদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তারা বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর ২৮ তম অর্থনীতির দেশ, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর ২৫ তম অর্থনীতির দেশ। পৃথিবীর মাত্র ২২টি দেশ করোনাকালে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে। এই পরিসংখ্যানগুলো জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। কারণ আশাহীন জাতি এগুতে পারে না। কোন জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সেই জাতির মধ্যে আশা থাকতে হয়। জাতিকে আশান্বিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। দেশ সম্পর্কে ভালো রিপোর্টিং হয়, পৃথিবীতে পরিবেশিত হয়। সেগুলো জনগণকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার এবং সেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাধিকার আদায়, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ গঠনে ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যেভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রেও সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে যদি আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ রচনা করতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখানেও সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সব মানুষের কল্যাণেই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব দলমতের মানুষের প্রয়োজনে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, এটি থাকা বাঞ্চনীয়। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রাজনীতি থাকতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক দলাদলির ছোঁয়া চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে লাগেনি। এজন্য আমি প্রেস ক্লাবের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সব জায়গায় রাজনীতিকে এনে সেখানে নিজেদের মধ্যে প্রকট বিভাজন তৈরী করাও সমীচিন নয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আমার বহু দিনের জানাশোনা এবং হৃদয়ের সম্পর্ক। আমার হৃদয়ে আপনাদের স্থান সবসময় ছিল এবং থাকবে, আমি আশা করবো আপনাদের হৃদয়েও আমাকে স্থান দেবেন – সেই আবেদনটুকু রাখলাম -বলেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রফেসর সেলিম উদ্দীন-
এপ্রিল ১৯১৫ সালে ইংল্যান্ড, রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্টেলিয়া, ফ্রান্স সম্মিলিভাবে ইস্তাম্বুল দখলের জন্য তুরস্ক আক্রমন করে। ইতিহাসে এ যুদ্ধ গ্যালিপ্ললি অভিযান নামে পরিচিত। আট মাস ধরে এই যুদ্ধ চলে।মিত্র বাহিনীর হাতে মার খেলেও এক পর্যায়ে যুদ্ধে মিত্র বাহিনী পরাজিত হয়।পরাজিত মিত্র বাহিনীর প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার সৈন্য নিহত হয়। কিন্তু বিজয়ী হলেও অটোমানদেরও প্রায় একই পরিমাণ সৈন্য নিহত হয়।মিত্র বাহিনী চেয়েছিল ইস্তানবুল দখল করতে পারলে ব্লাক সি এবং দারদেনালস স্টেট এবং মর্মর সাগরের এর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবং এই দারদেনালস স্টেট দখল করতে পারলে রাশিয়ার নেভিকে সরাসরি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তাই সর্ব শক্তি দিয়ে মিত্র শক্তি তুরস্ক আক্রমন করে।এই গ্যালিপ্ললি অভিযান মিএ শক্তির জন্য একটি বড় বিপর্যয় হয়।
এটিই ছিল প্রথম মহাযুদ্ধে মুসলমানদের একমাত্র বিজয়।
এ যুদ্ধে ওসমানীয়দের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যে জেনারেল তিনি অসম্ভব বিখ্যাত হয়ে যান। তার নাম মোস্তফা কামাল পাশা । যিনি পরে খলিফা আব্দুল মজিদকে হটিয়ে খেলাফত এর অবসান ঘটান এবং তুরস্কের ক্ষমতা দখল করে আতারতুক (জাতির পিতা) উপাধি গ্রহণ করেন। মোস্তফা কামাল এর উত্থানের মাধ্যমে হযরত আবু বকর (রাঃ) থেকে শুরু হওয়া খেলাফাত এর অবসান ঘটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আতাতুর্ক একজন সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। আঙ্কারায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি মিত্রশক্তির প্রেরিত বাহিনীকে পরাজিত করেন। তার সামরিক অভিযানের ফলে তুরস্ক স্বাধীনতা লাভ করে। আতাতুর্ক এরপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। সাবেক উসমানীয় সাম্রাজ্যকে একটি আধুনিক, পশ্চিমা ও ধর্মনিরপেক্ষ জাতিরাষ্ট্রে রূপান্তর এই সংস্কারের উদ্দেশ্য ছিল। আতাতুর্কের সংস্কার আন্দোলনের মূলনীতির উপর আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠিত। তার মতবাদ কামালবাদ নামে পরিচিত।
ক্ষমতা দখল করে মোস্তফা কামাল ইসলামের বিরুদ্ধে চরম রুদ্র মূর্তি ধারন করেন। তুরস্ককে প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর একে আধুনিকীকরণের নামে কামাল পাশা সুবিধামত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করে। নতুন সরকার ফ্রান্স, সুইডের ও সুইজারল্যান্ডের মত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর প্রতিষ্ঠান ও সংবিধানগুলো পর্যালোচনা করে সেগুলোকে তুরস্কের জন্য গ্রহণ করে। কামালের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনবহিত হওয়ায় জনগণ “আমরা প্রথম খলিফাদের দিনে ফিরে যাচ্ছি” বলে উল্লাস করে। কিন্তু জনগণ তখনো মোস্তফা কামালের আসল রূপ দেখেনি। খেলাফতের চিন্তাভাবনা ও এর নূনতম গন্ধও যাতে পরে খুঁজে পাওয়া না যায় সেজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাতারাতি সম্পূর্ণ বদলে ফেলা হয়। সেক্যুলার স্কুল চালু করা হয়।
১৯২৩ সালে তুরস্কে তিনটি ধারার শিক্ষাব্যবস্থা ছিল। তার মধ্যে মাদরাসা ব্যবস্থা যা আরবি, কুরআন এসবের উপর পরিচালিত, তা বহুল প্রচলিত ছিল। দ্বিতীয় ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল ইদাদি ও সুলতানি। এগুলো তানযিমাত যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ হল কলেজ ও বিদেশী ভাষার সংখ্যালঘু বিদ্যালয়। এখানে ছাত্রদেরকে শিক্ষাদানের জন্য আধুনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হত। পুরনো মাদরাসা ব্যবস্থা আধুনিক করা হয। মোস্তফা কামাল প্রথাগত ইসলামিক শিক্ষাপদ্ধতিকে পরিবর্তন করেন। শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারকে তিনি তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন।কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তার প্রবর্তিত কামালবাদকে স্থায়ীরূপ দিতে হলে তুরস্কের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার মূলে আঘাত হানতে হবে যাতে জনগণ ইসলামী ভাবধারা থেকে চিরদিনের জন্য দূরে সরে যায়।
১৯২৪ সালের গ্রীষ্মে মোস্তফা কামাল তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের জন্য আমেরিকান শিক্ষা সংস্কারক জন ডেওয়েকে আঙ্কারায় আমন্ত্রণ জানান।তার শিক্ষা সংস্কার কার্যক্রমে গণস্বাক্ষরতা বৃদ্ধিকে মূল লক্ষ্য ধরা হয়। নাগরিক সংস্কৃতির বিকাশকে সহযোগীতা করার লক্ষ্যে তিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চান এমন প্রচারণা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়গুলো একটি সাধারণ পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। এটি “শিক্ষার একীভূতকরণ” বলে পরিচিতি পায়।
ইসলামি শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। ধর্মীয় অবকাঠামো গুলোও ধ্বংস করা হয়। শরি’আ কাউন্সিল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ধর্মীয় বৃত্তি প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়। সূফীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়। শরি’আ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে দেশের সকল কাযীকে বরখাস্ত করা হয়।
তুর্কিদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকেও কামাল পাশা সেক্যুলার নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টা করেন :
এ লক্ষ্যে কামাল পাশা যে আদেশ জারি করেন তার সার সংক্ষেপ হলো-
→পাগড়ি বা টুপি পড়া নিষিদ্ধ করা হয়।
→সরকারী ভবনগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।
→হিজরি ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করা হয়।
→১৯৩২ সালে আরবিতে আযান দেয়া নিষিদ্ধ করে তুর্কি ভাষায় আযান চালু করা হয় এবং দেশের হাজার হাজার মাসজিদে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়।
→জুমাবারের পরিবর্তে শনিবার এবং রবিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
সেই সময় তুর্কিদের শিক্ষার হার খুবই কম ছিল। শিক্ষার হার বাড়ানোর অজুহাত দেখিয়ে কামাল পাশা আরবি বর্ণমালার পরিবর্তে ল্যাটিন চালু করলেন। ল্যাটিন বর্ণ চালুর সাথে সাথে আরবি শব্দগুলোর তুর্কি প্রতিশব্দ খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠন করেন।
উসমানী তুর্কী ভাষা নিষিদ্ধ করা ছিল এক সুদূরপ্রসারী চিন্তার বাস্তবায়নের অংশ। এর মাধ্যমে কামাল পাসা নিশ্চিত করেন ভবিষ্যতের প্রজন্ম যেন আর কখনো উসমানীয়দের প্রকৃত ইতিহাস ও উসমানী সভ্যতার শেকড়ের সন্ধান না পায়। এই ভাষাটিকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে উসমানী সভ্যতার সাথে আধুনিক তুরস্কের যোগাযোগের পথ বিচ্ছিন্ন করে দেন কামাল। ফলে ইউরোপের অনুকরণ ছাড়া আর কোন উপায় তাদের সামনে অবশিষ্ট ছিল না।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একশো বছর পরেও এখন তুরস্ক এরদোয়ানের হাত ধরে তার ইসলামী উসমানী ঐতিহ্য আর কামালী সেক্যুলার মডার্নিটি এই দুইয়ের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সর্বশেষ ধর্মনিরপেক্ষকে ভবিষ্যৎ থ্রেট থেকে বাঁচাতে কামাল পাশা সাংবিধানিক ভাবে সেনা বাহিনী এবং বিচার বিভাগে আমূল সংস্কার করেন। সেনা বাহিনীকে তুরুস্কের ধর্মনিরপেক্ষতার রক্ষক করা হয়। এবং সাংবিধানিক ভাবে সেনা বাহিনীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয় যে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য তারা যা ইচ্ছা করতে পারবে। এই ক্ষমতাবলে পরে তুরুস্কের বেশ কয়েকজন প্রাধানমন্ত্রীকে সেনা বাহিনী ফাঁসি দেয়। ১৯৬১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইমরালি দ্বীপে প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরেসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তাঁর অপ রাধ ছিল তিনি প্রকাশ্যে আজান দেয়ার বৈধতা দিয়েছিলেন।
এমনকি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে জেল দেয় ইসলামি কবিতা পড়ার অপরাধে!।
ইসলাম তথা মুসলিমদের উপর কামাল পাশার গৃহীত পদক্ষেপসমুহ কতটা মারাত্নক প্রভাব ফেলেছিল তা সহজেই অনুনেয়। উপমহাদেশে তখন বিখ্যাত খেলাফত আন্দোলন হয় কামাল পাশার এই কর্মকাণ্ডের জন্য।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে পরাজয়ের পর পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষত ইউরোপের বহুকালের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমানী সাম্রাজ্যের উৎখাতের সুবর্ণ সুযোগ আসে তাদের হাতে। ১৯২৩ সালে সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরে সম্পাদিত হওয়া চুক্তিতে তারা তুরস্কের ওপর ইচ্ছা মত এমন অনেক অন্যায় শর্ত চাপিয়ে দেয় যা সুনিশ্চিত করে যে তুরস্ক একশো বছরের মধ্যে তাদের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবেনা, এই চুক্তিই এককভাবে তুরস্ককে ইউরোপের পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করে।
দেখে নেয়া যাক এই চুক্তির শর্তসমূহ।
ওসমানী সাম্রাজ্যের পরিসমাপ্তি : ওসমানী সালতানাতের সব উত্তরাধিকাদেরকে নির্বাসিত করা হয়, কাউকে গুপ্ত হত্যা করা হয়, অনেককে নিখোঁজ করা হয়। তাদের সম্পদ বাজয়াপ্ত করা হয়। এই ভাবে খিলাফতের শেষ চিহ্ন পর্যন্ত মুছে ফেলা হয় তুরস্ক থেকে।
ওসমানী সাম্রাজ্যের বিভাজন এবং নতুন অনেক রাষ্ট্রের আবির্ভাব : ১৫২১ খ্রিস্টাব্দে ওসমানী সালতানাতের আয়তন সর্বোচ্চ হয়, এ সময় তার আয়তন ছিল ৩৪ লক্ষ বর্গ কিমির বেশি। বিভিন্ন সময় কম বেশি হওয়া সাম্রাজ্যের গড় আয়তন ছিল ১৮ লক্ষ বর্গোকিমি। বর্তমান তুরস্কের আয়তন মাত্র ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার বর্গ কিমি। বিশ্বখ্যাত অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর এর থেকে অন্তত ৪০ টি নতুন রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়।
ইসলাম বিরোধী সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা : কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্কে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউরোপ আমেরিকার তাবেদার সেক্যুলার রাষ্ট্র। নিষিদ্ধ করা হয় আরবী চর্চা, বন্ধ করা হয় হাজারো মাদ্রাসা, মসজিদে মসজিদে আজান নিষিদ্ধ করা হয়, হত্যা করা হয় বহু ইমাম, মুয়াজ্জিন, ইসলামী স্কলার এবং আলেমকে। ওসমানী সালতানাতে মূলত দুটি ভাষা প্রচলিত ছিল একটি আরবী অপরটির ফারসি। সাম্রাজ্যের বর্ণমালাকে আবজাদ বলা হতো, যা ওসমানী সাম্রাজ্যের ভাষা বলে পরিচিত ছিল। তাদের রাষ্ট্রীয় ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রচলন করা হয় ল্যাটিন ভাষার। এই ভাবে রাতারাতি একটি জাতিকে ফেলে দেয়া হয় অক্ষরজ্ঞানহীন, পরিচয়হীন একটি অন্ধকার কুপে।
তুরস্কের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা : চুক্তির পরবর্তী একশো বছর তুরস্ক নিজেদের ভূমিতে বা বাইরের কোনো দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণ করতে পারবে না। বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশের অর্থনীতি শুধুমাত্র তেলের ওপর নির্ভরশীল সেখানে তুরস্ককে তেল উত্তোলন করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা হয় ফলে তুরস্ক নিজেদের প্রয়োজনে সব রকম জ্বালানি আমদানি করে বাইরের দেশ থেকে যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নতিতে প্রধান অন্তরক।
বসফোরাস প্রণালীর আন্তর্জাতিকরণ : তুরস্কের অর্থনীতির ওপর আরো একটি বৃহৎ ধাক্কা দেয়া হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সামুদ্রিক পথ বসফরাসের ওপর তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ শেষ করে দেয়ার মাধ্যমে। কৃষ্ণ সাগর এবং ভূমধ্যসাগরের মাঝে সংযোগস্থাপনকারি এই প্রণালীটি এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যেকার বাণিজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রতিদিন তুরস্কের বুকের ওপর থেকে হাজারো জাহাজ পার হলেও তুরস্ক তাদের থেকে এক টাকাও সংগ্রহ করতে পারেনা।
মক্কা ও মদিনার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া : ৪০০ বছর মক্কা এবং মদিনাকে নিয়ন্ত্রণ করা তুর্কি সুলতানরা নিজেদেরকে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বলে অভিহিত করতে গর্ববোধ করতো। ওসমানী সাম্রাজ্য থেকে পৃথক হওয়ার পর ১৯৩২ সালে আমেরিকার তাবেদার সাউদ গোষ্ঠী সৌদি আরবের মসনদে বসার পর মক্কা ও মদিনার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। তুরস্কের বাসিন্দারা আজও হজ এবং ওমরাহ করার সময় মক্কা মদিনায় কেঁদে কেঁদে দোআ করে যে, “ইয়া আল্লাহ, আমাদের ক্ষমা করো, আমাদের ওপর তোমার অসন্তুষ্টি শেষ করো, আমাদেরকে আবার মক্কা মদিনার খাদেমের মর্যাদা ফিরিয়ে দাও। ”তুর্কিরা হজের সময় নিজেদের সঙ্গে এক ধরনের মানচিত্র নিয়ে আসে যাতে মক্কা মদিনার পূর্বের সব পবিত্র স্থাপনার বর্ণনা আছে যার মধ্যে অনেক স্থাপনা সৌদি সরকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। তারা নাম নিয়ে নিয়ে সেই সব জায়গায় সাহাবীদের কবর জিয়ারত করে।
২০২৩ পর তুরস্ক যা করতে পারে : তুরস্ক হয়তো আবারো ফেরাতে পারবেনা ওসমানী সালতানাতের সেই সোনালী দিন গুলো। তবে তারা যে আস্তে আস্তে সেই দিকেই যাবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। তুরস্ক সেই উদ্দেশ্যেই তাদের জনগন সহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে সালতানাতে ওসমানিয়ার গৌরবময় দিনগুলো সম্পর্কে ড্রামা সিরিজ, চলচ্চিত্র ইত্যাদি তৈরির মাধ্যমে অবহিত করছে। তুরস্ক আবার দাবি করতে পারে তাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া ভূখণ্ড গুলো তবে তা উদ্ধার করা এখন এদৌ সহজ কাজ হবেনা বা বলা যেতে পারে এটা একপ্রকার অসম্ভব কাজ। কিন্তু রাসূল (সা.) বলেছেন, “কিয়ামতের আগে একবার খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে।” বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুর্কিরা সেই স্বপ্ন পূরণের সব থেকে সম্ভাবনাময় জাতী।
তুরস্কের বর্তমান অর্থনীতি খুব একটা বৃহৎ আয়তনের নয়। তাদের জিডিপি হলো ৭৪৩ বিলিয়ান ডলার (২০১৯ সালের হিসেব) যা বিশ্বে ১৯তম । কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবল সম্ভাবনাময় দেশ তুরস্ক লুযান চুক্তির পর যে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক অগ্রগতি করবে তা বোঝার জন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইতি মধ্যে তারা গ্রিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভূমধ্যসাগরে তেলের অনুসন্ধান শুরু করেছে। নিজেদের দেশের প্রয়োজনের একটা বড়ো অংশ তারা নিজেদের উত্তোলিত তেল থেকে পূরণ করতে পারলে তাদের বৈদেশিক বানিজ্য ঘাটতি অনেক কমবে এবং তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যা ২০১৯ সালের হিসেব অনুসারে ছিল ১ শতাংশেরও কম তা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তারা নিশ্চিতভাবেই বসফরাসের ওপর নিজেদের অধিকার কায়েমের চেষ্টা করবে এবং এতে বাধা এলেও তারা সফল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আমেরিকা যে তাতে বাধা দেবে তা ভেবেই তারা এখন থেকে চীন রাশিয়া ইরান পাকিস্তানের সঙ্গে মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
তুরস্ক এরদোগানের আমলে আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত মুসলিম বিদ্বেষী সেক্যুলার ছবি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বদান করার ক্ষেত্রে সবার থেকে আগে আছে। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে তুরস্কের ভবিষ্যৎ যে খুব উজ্জ্বল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সব ঠিক ঠাক থাকলে তারা নব বিশ্ব শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এক দশকের মধ্যে এবং এটি নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের জন্য আবার সুখের দিনের বার্তা বহন করে আনবে।
দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতারের হিড়িক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে বলা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার ৪ জুন রাতে সাটুরিয়া থানা পুলিশ তিল্লি গ্রামের বিএনপি নেতার কন্যা ও বিএনপি নেত্রী মাহমুদা পলি আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার এবং গুজব ছড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার চন্দনাইশ উপজেলার ছাত্রদলের নেতা সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতারের হিড়িক চলছে দেশব্যাপী। বর্তমান গণবিরোধী সরকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নারী, পুরুষ নির্বিশেষে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানি করার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী এই করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও কেউ যেন টু শব্দ করতে না পারে। সরকার নিজেদের অবৈধ সত্তা নিয়ে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই সমালোচনাকে যমের মতো ভয় পাচ্ছেন। এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে সরকার হাবুডুবু খাচ্ছে। চারদিকে সীমাহীন ব্যর্থতা, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বাঁধভাঙা পানির স্রোতের মতো দেশের জনগণ আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুর সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের এ দেশে কোনো চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে করোনারোগীদের ভর্তি যেন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘হাসপাতালে আইসিইউ ও অক্সিজেনের অভাবে আক্রান্ত রোগীরা অসহায়ভাবে কাতরাচ্ছেন। রোগীর তুলনায় শয্যা একেবারেই ন্যূনতম। আক্রান্ত মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে রাস্তার মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। চারদিকে ক্ষুধার জ্বালায় কর্মহীন মানুষ হাহাকার করছেন। এক দুর্ভিক্ষের ঘন-ছায়া সারাদেশে বিস্তার লাভ করছে। এই কঠিন দুঃসময় সরকার সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা না করে বরং মিথ্যা অহমিকায় জনগণের কাছে সত্যের অপলাপ করছে।
আর বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মত যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেজন্য আগের মতোই রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগানো হচ্ছে নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে। পলির মতো একজন নারী নেত্রীও গ্রেফতারের হাত থেকে রেহায় পায়নি। এই করোনাকালেও পলি ও সাজ্জাদের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সরকারের এহেন কর্মকাণ্ড অমানবিক ও কাপুরুষোচিত।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমি অবিলম্বে মাহমুদা পলি আক্তার ও ছাত্রদলনেতা সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন এমত অবস্থায় গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়, তাই তারা ত্রাণের দাবিতে রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে সরকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজারও শ্রমিক। এ ঘটনায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মোটর-বাস শ্রমিকরা।আজ রবিবার(১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডারে রওশন ফিলিং স্টেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন শ্রমিকরা। কর্মহীন শ্রমিকদের সঞ্চিত অর্থ শেষ হওয়ায় তারা ত্রাণের জন্য গত এক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তালিকা দিয়ে ত্রাণ দাবি করেন। কিন্তু একমাস ধরে বিলম্ব করছে প্রশাসন। ফলে অনাহারে অর্ধাহারে থাকা শ্রমিকরা বাড়ি থেকে বের হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে খাদ্যের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যয়ে মহাসড়কে শুয়ে পড়েন শ্রমিকরা। এ সময় উভয় পাশে ট্রাকসহ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
কালীগঞ্জ উপজেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, দেড়-২ মাস ধরে ঘরে বসে সঞ্চিত অর্থ আর ঋণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছি। ইউএনও ত্রাণ দিতে চেয়ে শ্রমিকদের তালিকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই তালিকা নেয়ার একমাস অতিবাহিত হলেও ত্রাণের কোনো খবর নেই। তাই বাধ্য হয়ে সবাই মিলে রাস্তায় নেমে এসেছি।কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন জানান, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কথা শুনে ঘটনাস্থালে গিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, শ্রমিকদের তালিকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়েছে। সেখানে যাচাই বাছাই করে ত্রাণ দেয়ার কথা। ত্রাণ আমার দেয়ার সুযোগ নেই, ইউনিয়ন পরিষদই ত্রাণ বিতরণ করবে। ত্রাণের দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভের বিষয়টি তার জানা নেই বলেও বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমতে এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হব বলে আমরা বিশ্বাস করি বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভায়’ স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে করোনাভাইরাস মোকাবেলা কোনোভাবে সম্ভব না। ভয়াবহ দিন আসছে সামনে, আপনারা সবাই একমত হবেন, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে, দেশপ্রেমকে সামনে রেখে, সততাকে সামনে রেখে যদি হ্যান্ডেল করা না যায়, তাহলে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে এমনকি, অনেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছেন।
আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ থেকে সচেতনভাবে কাজ করছি, ভেতরের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় যেকোনো উদ্যোগে যোগ দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দম্ভ, অহংকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অবশ্যই সরকারকেই। কারণ পুরো দায়িত্বটা সরকারের। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটা অবহেলা করছেন। আমি জানি না তারা এটাকে নেগলেট করেছেন কী কারণে। আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমতে আমরা এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দলীয় পরিকল্পনার পাশাপাশি ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় দলের প্রস্তাবনার একটি কপিও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন তিনি।
সভার সূচনা বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ করোনাভাইরাস সংক্রমণকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে তা মোকাবেলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনাদের বক্তব্য আমি সমর্থন করি। জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। এককভাবে এটা সম্ভব না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর, অবশেষে মুক্তি পেলেন। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার এই সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান আজ (২৫ মার্চ) বুধবার বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেয়ার পর পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে এই ছয় মাস গণনা শুরু হবে।
আইনমন্ত্রী জানান দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেগুলো হলো, এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এদিকে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির ঘোষণা আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এতে দল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি বোধ কাজ করছে।
তিনি বলেন, ”সরকারের এই সিদ্ধান্তে দল ও নেতাকর্মীরা যেমন স্বস্তি বোধ করছেন, আবেগ কাজ করছে, পাশাপাশি তাদের মধ্যে একটি আতঙ্কও কাজ করছে এটা ভেবে যে এমন একটা সময়ে তাকে মুক্তির এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনাভাইরাস নিয়ে একটি দুর্যোগ চলছে।’
বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। আজ মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর ডা. শাহাদাত বলেন, ভোট ২ দিন পেছানোর জন্য ইসির কাছে অনুরোধ করেছি। কারণ এর আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন। ছুটির দিনে মানুষ বেড়াতে যায়। এতে করে ভোটার সংখ্যা কম হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ইসিকে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রতি বুথে ১ জন করে সেনাবাহিনী প্রদানের আহবান জানান। ইসিকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপি সেক্রটারি আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবে আলম শামীম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে, তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন, চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মোঃ আবু মনসুর-আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমি জয়ী হলে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি বসবাসযোগ্য, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগরী গড়তে কাজ করবো।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চট্টগ্রামে আগমন উপলক্ষে এ সমাবেশ আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তার মর্যাদা রক্ষা করবো। জহুর আহমদ চৌধুরী, এমএ আজিজ, মহিউদ্দীন চৌধুরীর পথ অনুসরণ করবো।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নির্বাচনে যদি জয়ী হতে পারি তাহলে মানুষের পাশে থাকবো। চট্টগ্রামে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে তা আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবো।
তিনি বলেন, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা ছিলেন তারা সবাই যোগ্য ছিলেন। কিন্তু নেত্রী আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি তার প্রতিদান দেবো।
মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম।
এ সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।