পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ নোয়াপাড়া কচুখাইন ( প্রস্তাবিত) শাখা’র ব্যবস্হাপনায় ঈদসামগ্রী প্রদান ও ইফতার অনুস্টান সংগঠনের ধর্মীয় সম্পাদক মাওলানা জাকের হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহির আহমদ এর সঞ্চালনায় রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কচুখাইন গ্রামে সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের বাসভবনে ২৭ রমজান, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার অনুস্টিত হয়।
অনুস্টানে প্রধান অতিঘী ছিলেন কদলপুর নক্সবন্দীয়া দরবার শরীফের শাহজাদা কাজী মাওলানা মোহাম্মদ মমতাজুল হক।
এতে অতিথী ও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন রাউজান প্রেসক্লাবের সহ – সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নেওয়াজ, মাওলানা মোহাম্মদ আমীর হোসেন মাইজভান্ডারী, বিশ্ববন্ধনের ব্যবস্হাপনা সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, চট্টবাংলা টিভির অঞ্জন দাশ, সমাজসেবক মোহাম্মদ ছালামত আলী, মোহাম্মদ আবদুল হক, ভিডিও এডিটর সঞ্জীব বড়ুয়া, মোহাম্মদ ইফতেখার ইফতি, মোহাম্মদ নাঈম, বিশ্বজিৎ চোধূরী, মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ আবুল কালাম, নূর খান, মোহাম্মদ বখতেয়ার, মেহাম্মদ কালাম প্রমুখ।
অনুস্টানে বক্তারা বলেন, রমজান ও ঈদের শিক্ষাকে জীবনে ধারণ করে আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রে শান্তি প্রতিস্টা করা সহজ। নিজেকে সত্য, হক পথে রেখে আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে হক দরবার এবং ত্বরীকতের পথ প্রদর্শকগণ।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ এবং পেশা সুরক্ষায় নিবেদিত সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আজ ১৩ এপ্রিল (বুধবার) চিটাগাং ক্লাব মিলনায়তনে উক্ত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ এবং পেশা সুরক্ষায় নিবেদিত সম্মিলিত পরিষদের আহবায়ক মো: হাবিব উল্লাহ ডন, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, এন.এ.সি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী রিয়াজ রহমানসহ নগরীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের উপস্থিতিতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার
মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
সম্মিলিত পরিষদের আহবায়ক মো: হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, পবিত্র কোরআন নাযিলের এই মাসে বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারেন। সিয়াম সাধনার এই মাসে রোজাদারদের প্রতি আল্লাহ তা’য়ালা অশেষ রহমত ও বরকত দান করেন।
এন.এ.সি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী বলেন, সারাদিন উপবাস থাকার ফলে শরীর ও আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় এবং পাশবিকতার প্রাবল্য হ্রাস পায়। মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয়, অন্তর বিগলিত হয় মহান প্রভুর কৃতজ্ঞতায়। মাহে রমজান হলো মানবিক কল্যাণবোধে উজ্জীবিত হওয়ার এক রাজপথ।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোজাদার সারাদিন উপবাস থাকে বলে অভাবী, অন্নহীন এবং দরিদ্র মানুষের কষ্ট বুঝতে পারে। ফলে গরিবদের প্রতি সহানুভুতি সৃষ্টি হয়। যাকাত ও সদকাতুল ফিতর পরিশোধের মাধ্যমে যেমন দ্বীনি দায়িত্ব পালন করা হয় তেমনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য লাঘবে এই যাকাত যথেষ্ট গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী রিয়াজ রহমান বলেন, রমজানে যেখানে ব্যবসায়ীদের উদার হওয়ার কথা, পণ্যমূল্য কমিয়ে রাখার কথা, সেখানে অনেকেই বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে, যা শুধু ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতেই অনৈতিক নয় প্রচলিত আইনেও অপরাধ। অসাধু ব্যবসায়ী আর এসব কালোবাজারিদের ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির অসদুদ্দেশ্যে মুসলমানদের লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে আগুনের পাহাড়ে উঠিয়ে শাস্তি দেবেন।’
মানবাধিকার কমিশন – চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অবাস্তবায়ননুমোদন
গত ৯ নভেম্বর শনিবার মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন – চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অনুমোদন প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় সংগঠনের সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য দেলোয়ার খান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে – আগামী ২ বছরের জন্য ” মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন – চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি অনুমোদন প্রদান করা হয়।
বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ কর্মী লায়ন শারমিন সুলতানা মৌ কে সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক সংগ্রামী ” মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী কে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যেগে নগরীর নন্দনকানস্থ পুলিশ প্লাজার সামনে সংগঠনের সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু মনসুরের সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আবু শামা, সংগঠনের সহ সভাপতি মানিক হাওলাদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাহ, ফারুক শিকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল হাশেম, রুদ্র সরকার জয়,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছিন মোল্লা,সহ দপ্তর সম্পাদক অর্ণব দাশ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ একাত্তরের বীর শহিদদের যাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে তাঁদের কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরন করা হয়।আলোচনা সভা শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধান্জলী নিবেদন করা হয়।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকি উপলক্ষে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ৩নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের উদ্যেগে পশ্চিম শাকপুরা সাধারণ পাঠাগার এন্ড ক্লাব প্রাঙ্গনে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া মাহফিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শাকপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জাকের হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃআবু শামা,শাকপুরা ৩নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মনজুর হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল হাশেম,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু মনসুর,তরুন আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম খোকন,শহীদুল ইসলাম সোহেল, মনিরুল ইসলাম,এরশাদ হোসেন,আসাদুজ্জামান নয়ন,মোঃহারুন,নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ এমরান,বাবুল রিফাতুল ইসলাম, আবদুর রহিম,সহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দোয়া মাহফিলে ১৫ই আগস্টের কালরাত্রীতে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নির্মম ভাবে শহীদ হওয়া হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাংগালী, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারে শহীদ হওয়া সকল সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে । সে সময়ে শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়া ও রেডিও’র মাধ্যমে দেশের আম-জনতা দেশ -বিদেশের খবর পেতেন । যদিও রেডিওর সহজলভ্যতা বর্তমান সময়ের মত এত ব্যাপক ও বিস্তৃত ছিল না । তৎকালীন প্রেক্ষাপটের আলোকে রেডিও তথা বেতারকে বর্তমানের স্যাটেলাইট এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে । সে সময়ে বিশেষ করে মফস্বল ও জেলা শহরগুলোতে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে দৈনিক পত্রিকা পৌঁছাতে বিকেল গড়িয়ে যেত । এতদসত্ত্বেও আম-জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়তো দেশ- বিদেশের খবর নিতে । শহর-বন্দর -গ্রাম- গঞ্জের হাট-বাজারগুলোর টি – স্টলে দৈনিক পত্রিকার খবর একজন পড়ত এবং সেখানে উপস্থিত দেশ বিদেশের খবর জানতে আগ্রহী উৎসুক অসংখ্য পাঠকরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করতেন এবং পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদ এর আলোকে নিজেদের মতো বিচার-বিশ্লেষণ করতেন । দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রদ্ধেয় মরহুম জনাব তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, প্রয়াত জনাব নির্মল সেন , চারণ সাংবাদিক খ্যাত মরহুম জনাব মোনাজাতউদ্দিন , বিবিসি বাংলা বিভাগের তৎকালীন দায়িত্বরত মরহুম জনাব আতাউস সামাদ , মরহুম এম আখতার মুকুল সহ আরো অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিকের নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হতো সমগ্র বাংলাদেশে ।
সময়ের বিবর্তনে আকাশ সংস্কৃতির প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বিশ্বব্যাপী আবির্ভাব ঘটে স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের , স্বাধীন বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে তার ঢেউও । এরই ধারাবাহিকতায় ৯০ দশকের একেবারে শেষের দিকে বিপুল বিস্ময় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আবির্ভাব ঘটে স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের । একুশে টিভি ও এটিএন বাংলা রীতিমতো সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় । এরই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই, এনটিভি, চ্যানেল ওয়ান, মাই টিভি, সিএসবি নিউজ , ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, এটিএন নিউজ, সময় টিভি সহ আরো অনেক স্যাটেলাইট গণমাধ্যম এর আবির্ভাব ঘটে । উক্ত স্যাটেলাইট গণমাধ্যমসমূহ ব্যাপক সাড়া ফেলে জনমানসের হৃদয়ে ।
বর্তমানে চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর সাথে সাথে প্রযুক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতায় ( ফেসবুক ,টুইটার, মেসেঞ্জার , হোয়াটসঅ্যাপ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ও ব্যাপকভাবে আবির্ভাব ঘটে অনলাইন গণমাধ্যমের। ” মুহুর্তের খবর মুহূর্তের মধ্যে” জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে রীতিমতো বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে গণমাধ্যম জগতে এই অনলাইন গণমাধ্যম । কাজের আধিক্য ও যান্ত্রিক জীবনের ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জনগণের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই অনলাইন গণমাধ্যম এর । স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের সাথে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশে বেশকিছু অনলাইন গণমাধ্যম ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আস্থা অর্জন করে নিয়েছে জনগণের হৃদয়ে । তবে সঠিক নীতিমালা ও স্বচ্ছ জবাবদিহিতার অভাবে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থের পাশাপাশি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে । এছাড়া রুচি ও মানহীন সংবাদ পরিবেশন, যাচাই-বাছাই বিহীন সংবাদ প্রকাশ ও দুষ্কৃতিকারীদের শিরস্ত্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । তবে এদের সংখ্যা মুষ্টিমেয় । এই মুষ্ঠিমেয় সংখ্যাধিক্যের কারণে জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে না । ইতিমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন গণমাধ্যমকে নীতিমালায় আনার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এরই ধারাবাহিকতায় , সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অসংখ্য অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করেছে এবং তা বর্তমানে যাচাই বাছাই এবং প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে । এতদসত্ত্বেও ঈর্ষাপরায়ণতা অথবা ব্যক্তি বিদ্বেষের কারণে সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইট গণমাধ্যম ঢালাওভাবে অনলাইন গণমাধ্যম এর প্রতি ব্যাপক বিষেদাগার করেছে , যা অনভিপ্রেত । কারণ অনলাইন গণমাধ্যমগুলো নীতিমালায় আসার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তারা যথাযথ কাগজপত্র জমা তথা পরীক্ষা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ে, যেভাবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণে । অনলাইন গণমাধ্যমগুলো পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি ……. ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার আগে এই ধরনের ঢালাও বিষাদাগার কাম্য নয় মোটেও । এছাড়া কতিপয় গণমাধ্যমকর্মী একে অপরকে বারিধারা, উত্তর ধারা ও মূলধারা বলে কটাক্ষ করে থাকে । যা সত্যিই দৃষ্টিকটু ও লজ্জাজনক । গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তবে অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয় । কোলের বাচ্চা শিশু যখন মল-মূত্র ত্যাগ করে তখন সে বাচ্চার কাপড় পরিবর্তন করা হয় , শিশু বাচ্চাটিকে ফেলে দেওয়া হয় না । ঠিক তেমনি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না । দৃষ্টিকটু ও লোক হাসানো কাঁদা ছোড়াছুড়ির অবসান ঘটিয়ে স্যাটেলাইট ও অনলাইন গণমাধ্যম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ সাধারণ জনগণের ।
তানভীর আহমেদ
( গণমাধ্যমকর্মী )
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :-কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদ,কক্সবাজার জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. আশীষ বড়ুয়ার মাতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখা। এক শোক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখার সকল বিজ্ঞ সদস্যদের পক্ষে গভীর শোক, পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা এবং তাঁহার পারলৌকিক শান্তি কামনা করেছেন।
শোক বার্তাতে জানা হয়,মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা, বড়ুয়া পাড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক বাবু সুকলাল বড়ুয়ার সহধর্মীনি সুচন্দা বড়ুয়া (৬২) আজ ১৮/০৭/২০২১ খ্রি. সকাল ১০.০০ মি. শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৪ পূত্র সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। আগামী কাল মহেশখালীর কালারমারছড়া উত্তর নলবিলা বড়ুয়া পাড়াস্থ নিজ বাড়ীতে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৪ ঘটিকায় বড়ুয়া পাড়া শ্মশানে অন্তষ্টিক্রিয়া অনুষ্টিত হবে। তাঁহার মহাপ্রয়াণে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখার সকল বিজ্ঞ সদস্যদের পক্ষে গভীর শোক, পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা এবং তাঁহার পারলৌকিক শান্তি কামনা করেছেন। আহবায়ক- এডঃ অনিল কান্তি বড়ুয়া সদস্য সচিব- এডঃ বাপপী শর্মা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখা
বাকলিয়ায়_ছাত্রলীগের_প্রতিবাদ_সমাবেশ
সারাদেশব্যাপী উগ্রবাদী হেফাজতের জঙ্গী হামলায় সাধারণ মানুষকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা,অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ১৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া ছাত্রলীগের উদ্যেগে ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি গোলামুর রহমান চৌধুরী রিজানের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ১৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়ার সম্মানিত কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, চট্রগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বখতেয়ার ফারুক, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ,চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবু মনসুর,সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল হাশেম, চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক কায়ছার আহমেদ রাজু, সদস্য মোঃ সালাউদ্দীন , মোঃ নয়ন বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুল ইসলাম আজাদ সহ নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা হেফাজত ইসলামের নারকীয় তান্ডব লীলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।আগামীতে হেফাজত ইসলামে যদি কোন রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালিত করে ছাত্রলীগের কর্মীরা রাজপথেই তা প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
হাটহাজারীতে হাধুরখীল নবচেতনা যুব গোষ্ঠীর আয়োজনে নুর উদ্দিন চৌধুরী নিজামের স্বরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হযেছে।
সম্প্রতি হাটহাজারীর কাটির হাট হাধুরখীল নবচেতনা যুব গোষ্ঠী, আশির দশকের জামাত-শিবির বিরোধী আন্দোলন ও মজিব রণাঙ্গনের সূর্য সৈনিক, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম নুর উদ্দিন চৌধুরী নিজামের স্মরণ সভা এবং দোয়া মাহফিল আযোজন করেছে। স্মরণ সভাটি অত্র এলাকার তাজবীদুল কুরআন হাফিজিয়া ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয।
ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মানিকের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মরহুমের বড় ভাই সেলিম উদ্দিন চৌধুরী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার বদরুল আলম চৌধুরী, মাওলানা বশির আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, মুহিব্বুল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ শাহজাহান ইরফান চৌধুরি
বক্তাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বখতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার, ধলই ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্রাহা দুলাল, ধলই ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর জামান সি পি আই, সাবেক চেয়ারম্যান এম আবুল মনসুর, কর্নেল শওকত, ওসমান পিএসসি (অবঃ) প্রমুখ।
স্মরণ সভা শেষে মরহুমের রুহের আত্মার মাগফেরাত এর উদ্দেশ্যে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে ” সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি গনতন্ত্রের মানসকন্যা বিশ্বনেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ৭৪ তম জন্মদিন পালন ও আলোচনা সভা গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম নগরীর সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সংগ্রামী সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু মনসুর এর পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনৈতিক Mofizur Rahman, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা কমান্ডার আলহাজ্ব ফজল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামিলীগ নেতা রোটারিয়ান গোলাম আকবর চৌধুরী,আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব জমির উদ্দিন মানিক,সাবেক ছাত্রনেতা পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ এর সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি যথাক্রমে আবদুল মজিদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল, বোরহান উদ্দীন কাজল, ইন্জিনিয়ার হোসাইন মুরাদ, মানিক হাওলাদার, লায়ন শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাহ, ফারুক সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল হাশেম, রুদ্র সরকার জয়,মোঃ মহিউদ্দিন খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব ওমর সিদ্দিক, মহিলা সম্পাদিকা কাওসার পারভীন রুবী, প্রচার সম্পাদক রাফসান বিন নুর, ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক মোঃ মনসুর আলী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ এয়াসিন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন সেলিম, মোঃ আবদুল মান্নান,মোশাররফ হোসেন, অর্নব দাশ, মোঃ ইমতিয়াজ, আওয়ামিলীগ নেতা বদি আলম, লেয়াকত আলী জসিম সহ প্রমুখ।।।
সভায় প্রধান অতিথি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা যারা ধারন করবে তাদের ধারা অর্জিত হবে একটি সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের রোড মডেলে, বর্তমান প্রজন্ম জঙ্গিবাদ নির্মুলে সচেষ্ট থাকবেন, মাদক সেবন করা থেকে বিরত থেকে দেশ গঠনে আত্ব নিয়োগ করতে পারলে তাহলে সার্থকতা আসবে আমাদের,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা সব সময় নিয়োজিত থাকবেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে।
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী বলেন আগামীতে বাংলাদেশে রাষ্টপতি জন্ম নিবে, প্রধান মন্ত্রী জন্মনিবে বহুমাত্রিক নেতার জন্ম হবে কিন্তু নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা জন্ম নিবেনা, তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত থাকা অবস্থায় সন্মানে সন্মানিত করতে হবে সব সময়।
সভা শেষে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।।