রীয়া বাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আদালতের আইন অবজ্ঞা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর পাহারাদার কল্যাণ সমিতি।
আজ ২৬ জুন (রবিবার) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর পাহারাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনোয়ার আলী রানা লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, উচ্চ আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে ওয়াচম্যান নিয়োগের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে শ্রম অসন্তোষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দর মেরিনকন্ট্রাক্টর পাহারাদার কল্যাণ সমিতি এ অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসচেতনতা ও বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের মাধ্যমে স্মারকলিপি থেকে শুরু করে সার্বিক গণ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মনোয়ার আলী রানা, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ জামাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক খায়রুজ্জামান বাবু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলী হোসেন মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক আলী আকবর, নির্বাহী সদস্য মুজিবুল হক ও রতন কুমার সিংহ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, এ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্চ আদালতের রায়কে বারবার কার্যকর না করে চট্টগ্রাম বন্দরে দেশী-বিদেশী জাহাজের ওয়াচম্যান/পাহারাদার অবৈধভাবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু কতিপয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বে-আইনিভাবে অর্থ বাণিজ্য করতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে অবমাননা করছে। বন্দরের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা ও সর্বোচ্চ আদালতের আইনকে পদদলিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জরুরীভাবে আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, এ একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত দেশী-বিদেশী জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা এই জরুরী সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করি স্বল্পতম সময়ে আপনাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করছি। সাথে সাথে সারাদেশের মানুষ মনে করে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গরীব নিরীহ অসহায় মানুষ যখন অধিকার বঞ্চিত হয় তখন গণমাধ্যমের কাছে যাওয়াই তাদের শেষ ভরসা। আমরাও এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, আপনাদের মাধ্যমে সদয় অবগতি এবং দেশবাসী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জানাচ্ছি যে, চট্টগ্রাম বন্দর জন্মলগ্ন থেকে প্রাইভেট ঠিকাদারের মাধ্যমে ওয়াচম্যান পাহারাদার, ডক শ্রমিক, মার্চেন্ট শ্রমিক, লাইশিং আনলাইশিং শ্রমিক, ক্রেন অপারেটর, স্টাফসুপার ভাইজার, ফোরম্যান, মার্কম্যান, জেনারেল ভেন্ডর শ্রমিক, এষ্ট্রা হাউস গ্যাং নিয়োগ দান করিয়া আসতেছে। যাহা বর্তমানেও চলমান আছে। কিন্তুু বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে শুধুমাত্র নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আমাদের বৈধ সংগঠনের সদস্য ওয়াচম্যান/পাহারাদার নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেছে। আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ওয়াচম্যান নিয়োগকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর পাহারাদার কল্যাণ সমিতি রেজি: নম্বর: চট্ট-২৬৩৭, পিসি রোড, নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম; এর সাথে ২০০৮ সাল থেকে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা দাখিল করে অত্র কল্যাণ সমিতি সাং- তারিখ০৭/১১/২০০৮ যার নম্বর ৮৫৩১/২০০৮, এর পর থেকে শুরু হয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ওয়াচম্যানদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, মাননীয় হাইকোর্ট অত্র কল্যাণ সমিতির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। ২৪/১১/২০০৯ইং তারিখ সে সময় তৎকালীন মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্টের রায় কার্যকর করার জন্য একটি ডি.ইউ লেটার প্রদানকরেন মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়কে। মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন, আমরা এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে আপীল করেছি।যার স্মারক মামলা নম্বর: ২২৬/২০১০, আপীল চলাকালীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অবৈধ অর্থ লেনদেন করে ও উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে কিছু লোক নিয়োগ করে। যার প্রতিবেদন তখনকার পত্র-পত্রিকায় লিখা আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের করা উচ্চ আদালতের মাননীয় সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানী হয়ে আপীল খারিজ করে।মাননীয় হাইকোর্টের রায় কল্যাণ সমিতির পক্ষে বহাল রাখেন। যার তারিখ: ১৬/০২/২০১২ইং অত্র রায়ের পরে শুরু হয় বন্দর কর্তৃপক্ষের রায় কার্য্যকর না করার তালবাহানা। আবারো তৎকালীন মহানগর আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীমাননীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়। চেয়ারম্যান পাল্টা চিঠি দিয়ে জানান, মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হয়েছে।যার মামলানম্বর: ৫৬/২০১২ তারিখ: ২৬/০৫/২০১৬ইং। তাও রায় কার্য্যকরের সময়সীমা পার হওয়ার পরকর্তৃপক্ষ রায় কার্য্যকর না করায় আমরাচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ ৬ (ছয়) জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করি।যার রিটপিটিশন নম্বর: ৩০৯/২০১২তারিখ: ১৬/১০/২০১২ইং দাখিল করিলে মাননীয় হাইকোর্টের বেঞ্চে ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুল নিশি জারি করেন। যা এখনও চলমান আছে। সেসময় গরীব-মেহনতি মানুষের পরম বন্ধু আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা-সেমিনার ও অনশন ধর্মঘট পালন করিলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে বৈঠক করে তৎকালীন চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে সফল আলোচনার পর একটি তিনশত টাকার স্ট্যাম্প-এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়, তারিখ: ১৯/১০/২০১৪ইং। অদ্যাবধি পর্যন্ত চুক্তি মোতাবেক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন কাজ বাস্তবায়ন করেনি। এর পর আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। এর পর ফাইলটি একেবারেই বন্ধ রাখেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে রিভিউ মামলায় পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানী শেষে মহামান্য আদালত বন্দরের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে উচ্চ আদালতে রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে আদালত অবমাননা মামলার দোহাই দিয়ে উচ্চ আদালতের রায়কে না মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েআবারো অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বহিরাগত অদক্ষ ওয়াচম্যান/ পাহারাদার নিয়োগ দেওয়ার নামে অর্থ বাণিজ্য করছে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দেশে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বারবার অবমাননা করে তাদের হীন-স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অদক্ষ ওয়াচম্যান/ পাহারাদার নিয়োগ করে দেশে-বিদেশে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মান ক্ষুন্ন করিতেছে। ফলশ্রুতিতে দক্ষ ওয়াচম্যান/ পাহারাদারগণ বহুদিন যাবৎ অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করিতেছে। এই ব্যাপারে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্রের মানষকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ (৭৬) গুরুতর অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১২নং কার্ডিওলজি ওয়ার্ডের ডা. ফজলে রাব্বি মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ২২ জুন বুধবার সকালে বুকে ব্যাথা ও নিউমোনিয়াজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের অধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। তারা অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। একইসাথে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার সুচিকিৎসার ব্যাপারে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ও কার্ডিওলজি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধানের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, প্রাকৃতিক কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত ও সহজ করার জোর দাবী জানান।
মো. বাবু চৌধুরী-
চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডের কদম রসুল বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কেমিক্যাল বিস্ফোরনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহত স্বজনদের মাঝে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে মালিকপক্ষ ও সরকারি উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে নিহতরা পেয়েছেন-১৫ লক্ষ টাকা করে, আহতরা(অঙ্গহানী) পেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা করে।
বিএম ডিপো কর্মকর্তাদের যাঁরা নিহত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই পেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা করে এবং যাঁরা আহত(অঙ্গহানী) হয়েছেন তারা পেয়েছেন ৬ লক্ষ টাকা করে
যাঁরা নূন্যতম আহত হয়েছেন তাঁরা পেয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা করে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন
বলেছেন, যারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে, যারা দেশে থাকা অনুপযুক্ত মনে করেছে, যারা মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধী সরকার তাদেরকে আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত অর্থপাচারকে আরো বেগবান করবে, সমাজ থেকে ন্যায়-নীতি ও আইনের শাসন বিতাড়িত হয়ে পড়বে। কোন অপরাধীকে সরকার ঘোষণা দিয়ে
অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংবিধান বা আইনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। এসবের মধ্য দিয়ে সরকারের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
আজ ১১ জুন শনিবার বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম জেএসডি আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করার প্রয়োজনে জেএসডি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সরকার এবং শাসন পদ্ধতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সরকার’এর দাবি উত্থাপন করেছে। গণআন্দোলন গণজাগরণ ছাড়া বিদ্যমান সংকট উত্তরণে বিকল্প নাই।জেএসডি চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত
সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.জবিউল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ছরোয়ার আজম আরজু,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মন্টু,মুজতবা কামাল,সফিউল আলম খোকন, অধ্যাপক ইসহাক উদ্দিন চৌধুরী,সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, কমরেড আলমগীর হোসেন,মোহাম্মদ ইয়াকুব, সৈয়দ তারেকুল আনোয়ার, স ম ইউসুফ,ডা. লুসি খান,সোহরাব জাব্বার চৌধুরী,আবদুল মালেক গাজী,আমান উল্ল্যাহ,সুমিতা দেবী প্রমুখ।
.
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’
ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২০ হাজার শিশু- সিভিল সার্জন।
সারাদেশের ন্যায় আগামী ১২ জুন রোববার থেকে ১৫ জুন বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামেও অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২২। ঐ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ জন শিশুকে একটি করে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯১ হাজার ৮৬২ জন শিশু খাবে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫১৩ জন শিশু খাবে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ)। ২০২১ সালের ১১-১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮’শ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ।
এ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা আজ ৯ জুন ২০২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দার চৌধুরী ও ডিএসএমও (যক্ষা) ডা. প্রমিতি কর্মকার।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী এ ক্যাম্পেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা বর্তমান সময়ে খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণ সম্ভব হবে। সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধানসহ হাত ধোয়ার বিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাসপূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার থেতে দিতে হবে। চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিতব্য সকল জাতীয় কর্মসূচীসমূহ শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপাওে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, মসজিদ-মন্দির-উপাসনালয়, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড ও নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও মাইকিং করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এ কর্মসূচী সফল করতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ড, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮’শ কেন্দ্র, বিমান বন্দর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে ১২-১৫ জুন তারিখে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৩৯ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৩৬ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৬৮৬ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৫৩ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫০৯ জন সিএইচসিপি ও ৮২ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দায়িত্বে নিয়োজিত থধাকবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে বার্ন ইউনিট সহ অন্যান্য ইউনিট এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের তদারকির জন্য গভীর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ছুটে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। উনার নির্দেশে আহতদের চিকিৎসা ও সেবার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ছুটে যান কাউন্সিলারবৃন্দ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেচ্ছাসেবকবৃন্দ ও চিকিৎসকবৃন্দ।
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপনে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সএর কর্মীদের প্রতি তিনি ধন্যবাদ জানান। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে পুরোদমে। চট্টগ্রামের যে সকল নেতাকর্মী ও আশেপাশের যারা রক্ত দিয়ে ঔষধ দিয়ে আহতদের সাহায্য করছেন, তাদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনের পর জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে বেসরকারি খাতে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। বর্তমান এ লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞে মুখর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাগর উপকূল। চালুর পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
দেশি-বিদেশি প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক দিনরাত ব্যস্ত এমন কর্মযজ্ঞে। প্রথম চুল্লির কাজ শেষে চলছে দ্বিতীয় চুল্লির কাজ। আগামী ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে প্রাথমিক উৎপাদন শুরুর লক্ষ্য কর্তৃপক্ষের। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান জানালেন, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উপকূলবর্তী ৬শ একর জায়গায় নির্মিত বেসরকারি খাতে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
সম্প্রতি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিকানা এস আলম গ্রুপের। বাকি ৩০ শতাংশের মালিকানা চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের।
চট্টগ্রামে এনজিও কর্মকর্তার সন্ধানের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তা শাহাদাতের পরিবার। সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তা শাহাদাতের ভগ্নিপতি আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন বলেন, গত ২৪ মে রাতে রহস্যজনক ভাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের রওশন হাট থেকে নিখোঁজ হন বেসরকারী ক্ষুদ্র ঋন প্রদানকারী সংস্থা প্রত্যাশীর ফিল্ড অফিসার শাহাদাত। তিনি বলেন নিখোঁজের দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট দিয়ে বলা হয় ম্যানেজার আমাকে বাঁচতে দিলনা। ম্যানেজারের কাছে শাহাদাত দুই লাখ টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় জীবন দিতে হল তাঁকে। এ নিয়ে ২৫ মে চন্দনাইশ থানায় জিডি করা হলেও এখনো হদিস মিলেনি নিখোঁজ শাহাদাতের। জিডি করার পর পুলিশ দু একদিন তৎপরতা দেখালেও এর পর রহস্যজনক কারনে নিরব হয়ে যায়। বর্তমানে শাহাদাত বেঁচে আছে নাকি মৃত তাও নিশ্চিত নয় তার পরিবার। নিখো্জ শাহাদাত ফটিকছড়ি ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউপির বালুখালী গ্রামের বদিউল আলমের বড় ছেলে। শাহাদাত নিখোঁজের পর ম্যানেজারের অসংলগ্ন কথা বার্তায় মনে হয় এর পিছনে তার হাত রয়েছে। নিখোঁজ শাহাদাতের ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর শাহাদাতের ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলটিও প্রত্যাশী অফিসে ছিল এবং চলতি মাসের বেতনও পাওনা রয়েছে। সুমন বলেন নিখো্জ হওয়ার কথা মোবাইল ফোনে ম্যানেজার তাদেরকে ২৪ মে রাতে জানান। পরদিন ২৫ মে তারা চন্দনাইশ প্রত্যাশী অফিসে গেলে তখন ম্যানেজার বলেছিলেন শাহাদাতের কাছে তারা কোন টাকা পয়সা পাওনা নেই। মাঠ পর্যায়ে কোন সদস্যের সাথে কোন ধরনের ঝামেলাও ছিলনা শাহাদাতের। থানায় দায়ের করা জিডিতেও কোন ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে উল্লেখ করেনি প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুদিন পর শাহাদাতের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট দেয়ার পর ম্যানেজারের কথার ধরন পাল্টে যায়। ম্যানেজার বলেন শাহাদাতের কাছে প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকা পাওয়ার কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। এতে করে আমাদের ধারনা ম্যানেজারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ম্যানেজার আতাঁত করে শাহাদাতকে গুম করিয়েছে। গত তিন বছর ধরে প্রত্যাশী এনজিওতে চাকুরী করে আসছিল শাহাদাত। এদিকে নিখোঁজের পর ৮ দিন অতিবাহিত হলেও শাহাদাতের কোন হদিস না পাওয়ায় সন্তানের শোকে বাকরুদ্ধ শাহাদাতের মা বাবা। তাদের দাবী ফেসবুক স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করলেই বেরিয়ে আসবে তার নিখোঁজের মুল রহস্য।
এসময় শাহাদাতের পিতা বদিউল আলম তাঁর ছেলেকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। এসময় শাহাদাতের ভাই রিয়াদ উদ্দিন সাইমুন, মা ফাতেমা আক্তার, নিখোঁজ শাহাদাতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
আজ ২৯ মে রবিবার, বেলা ১২টয় হাটহাজারী পার্বতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিযে সন্মেলনের সূচনা হয়।
এদিকে, ঊনিশ বছর পর সন্মেলন পেয়ে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি আগত কর্মীদের চোখে মূখে এক প্রকার আনন্দের ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে।
সন্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাইফুর রহমান সোহাগ, সহ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মিন্টু, উপ- প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক দেলোযার শাহজাদাসহ উত্তর জেলার আওতাধীন সাত উপজেলা সভাপতি সম্পাদক বৃন্দ।
এছাড়াও সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইন্জিনিযার মোশাররফ হোনেন এমপি, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এম এ সালাম, সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, দিদারুল আলম এমপি, খদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্টিত এ সন্মেলনের যৌথ সঞ্চালনা করেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান। সভার শুরুতে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন টিভি ও বেতারের শিল্পীরা। স্মরণকালের বৃহত্তম এ সন্মেলনে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বপন। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন নিযাজ মোর্শেদ এলিট, প্রফেসর ড. ধীমান চন্দ্র বড়ুয়া, শহীদুল হক রাসেল প্রমূখ।
শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার
কোনও বিকল্প নেই-বিভাগীয় কমিশনার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও মেধামননে খেলাধূলার কোনও বিকল্প নেই। আজকের খেলোয়ারেরাই একদিন আর্ন্তজাতিক ক্রীড়াবিদ হবে। আনন্দ-বিনোদন ছাড়া কারও জীবন পরিপূর্ণ হয় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের নির্দেশনায় এসব পিছিয়ে থাকা শিশুদেরকে পড়ালেখা ও আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি স্বাবলম্বী করতে সমাজসেবা অধিদফতর ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সমাজের অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী হিজড়া ভাতাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখেছেন।
আজ ২৯ মে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাজসেবার বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এর পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানার (উপ-সচিব) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারূফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা ওেমাস্তাকুর রহিম খান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুল আলম (চট্টগ্রাম), ফরিদুল আলম (কক্সবাজার), মিল্টন মুহুরী (বান্দরবান), মোঃ ওমর ফারুক (রাঙ্গামাটি), মোঃ মনিরুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি), মোঃ নজরুল ইসলাম পাটোয়ারি (নোয়াখালী), সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (ফেনী), নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি (লক্ষীপুর), জেড.এম মিজানুর রহমান (কুমিল্লা), আবদুল কাইয়ুম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রজত শুভ্র সরকার (চাঁদপুর) ও বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ প্রমূখ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবার কার্যালয়ের অধীন ১১ জেলার ১৮টি প্রতিষ্ঠান, সরকারী শিশু পরিবার, পিএইচটি সেন্টার, সম্মিলিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও ছোটমনি নিবাসের ৬৩৩ জন নিবাসী আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। তিনি খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। ২০’র দশকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মল আনন্দ বয়ে আনবে ও পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।