মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। ফটিকছড়ি হতে-
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ বছর মেয়াদী গোল্ডেন ভিসা লাভ করলেন ফটিকছড়ি ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৩ নং ওয়ার্ডস্থ বিল্লাল মাঝির বাড়ি নিবাসী মৃত তোফায়েল আহমেদ এর বড় ছেলে আবুধাবি সেন্ড মেরিন হোটেলের স্বত্বাধিকারী জনাব সালাউদ্দীন মইনদ্দীনের বড় ছেলে মোহাম্মদ তানভির আহমেদ আনাস । সে আমিরাত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মেধাবী শিক্ষার্থী ক্যাটাগরীতে এ ভিসা লাভ করেন। গোন্ডেন ভিসা লাভকারী তানভীর আবুধাবিতে এইচ এস সি ও এস এস সি সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করে বর্তমানে আবুধাবি ইউনিভার্সিটি’তে কম্পিউটার সায়েন্স (আই টি) তে অধ্যয়নরত আছেন।
এই ব্যাপারে তার পিতার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই আমার জন্য গর্বের বিষয় কারণ প্রতিযোগিতার এই দেশে আমার ছেলেকে আমিরাত হুকুমত যে সন্মান দিয়েছেন তা আমি ও আমার পরিবারকে আনন্দিত করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যবসায়ী মানুষ সারাদিন বাইরে থাকি। ছোটকাল থেকে তার মা তাকে স্কুলে আনা নেওয়া সহ যাবতীয় দেখাশুনা করেছেন তাই তার মায়ের আনন্দটা আরোও একটু বেশি।
দেশ বিদেশের সকলের কাছে তিনি তার সন্তান ও পরিবারের জন্য দোয়া চেয়েছেন। আনাস যাতে ভবিষ্যৎ এ আরো ভালো রেজাল্ট করে দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত হতে পারে এই কামনা করেন। আনাসের পরিবারের তার শিক্ষক, স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা, তার শুভাকাঙ্ক্ষী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মোস্তাফা কামাল পাশা ঃ বঙ্গোপাসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোচার আপডেট। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) সৃষ্টি যাহা ১৩ থেকে ১৬ ই মে এর মধ্যে সরাসরি বাংলাদেশের উপকুলে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ৮ থেকে ৯ ই মে এর মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে ১০ ই মে এর মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ও ১১ ই মে পুর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ % সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে ১০মে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) সৃষ্টির।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাষ অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) ১৪ ই মে মধ্যরাতের পরে থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে স্থলভাগে আঘাত করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) স্থল ভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha) যে স্থানে (দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগর) উৎপত্তি হওয়ার কথা নির্দেশ করতেছে ও যে পথে ( উত্তর-পূর্ব দিকে) অগ্রসর হওয়ার কথা নির্দেশ করতেছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল তাতে করে এই ঘূর্ণিঝড়টির কারণে সবচেয়ে বড় হুমকি হবে জলোচ্ছ্বাস। ১৪ ই মে (চাঁদ এর ৮১% অন্ধকার থাকবে) সন্ধ্যার পর থেকে যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থাল ভাগে আঘাত হানা শুরু করে তবে কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো। ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি ও স্থাল ভাগে আঘাত করার সময় যদি মাত্রা ৩ দিন পিছিয়ে ১৭/১৮ তারিখ হয়ে তবে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কারণ ১৮মে আমাবস্যার রাত।
মনে রাখা দরকার পুরো এপ্রিল মাস উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোন লঘু চাপ/ নিম্নচাপ/ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় নি। ফলে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রের পানিতে। ফলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোচা খুবই শক্তিশালী হবে। মে মাসের ৩ তারিখের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ % ও মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০% নিশ্চিত হওয়ার যাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোচা ঠিক কোন শক্তিতে উপকূলে আঘাত হনতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা মোটামুটি নিশ্চিত যে এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে জামালখানের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান।
সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন হোসেন দুলাল, দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান জীবক বড়ুয়া, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম ও প্রতিনিধি ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সোহেল সরওয়ার, টিভি ইউনিটের ডেপুটি চিফ তৌহিদুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আহবমান কাল ধরে শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রাম চলে আসছে। শ্রমিক শ্রেণির এই সংগ্রাম চলবেই। শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন করতে পারলেই মালিকপক্ষ সফল। শ্রমিক শেণি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে মালিকপক্ষ বিভাজন তৈরি করতে পারবে না।
জীবনধারণে সাংবাদিকদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যুগে যুগে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে আসছে। ঐক্যের মধ্যে আলাদা শক্তি আছে। ঐক্য, সহমর্মিতা অধিকার আদায়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
আলোচনা সভায় মে দিবস নিয়ে আবৃত্তি সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জের সদস্যরা বৃন্দ আবৃত্তি ‘ক্ষুধা’ পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, সিইউজের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মঞ্জু, যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, নির্বাহী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ ও মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, সিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশ, সিইউজের সদস্য দেব প্রসাদ দাশ দেবু, মাখন লাল সরকার, পঙ্কজ দস্তিদার, সুভাষ কারণ, রোকসারুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন, তাপস বড়ুয়া রুমু, প্রদীপ কুমার শীল, মিহির কে চক্রবর্তী, মোহাম্মদ ফারুক, তুষার দেব, সান্টু কুমার দাশ, সাইদুল আজাদ, আবুল ফজল বাবুল, গোলাম মর্ত্তুজা, সুবল বড়ুয়া, রাহুল দাশ নয়ন, চম্পক চক্রবর্তী, যীশু রায় চৌধুরী, শাহরিয়ার হাসান, বিষু রায় চৌধুরী, কাজী মুনজুরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম চৌধুরী, আহসান হাবিবুল আলম, মো. ফরিদ উদ্দিন, রনি দাশ, সহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সুরেশ কুমার দাশ, আজিজুল কদির, আবদুল হান্নান কাজল, বিশ্বজিৎ পাল, গোলাম সরওয়ার, চৌধুরী আহসান খুররম, অনুপম বড়ুয়া, কাঁকন দেব, কাউসার আলম, শফিকুল ইসলাম, হাসান উল্লাহ, কমল দাশ, শিহাব জিসান অনিক, শরীফুল ইসলাম রুকন, বাচ্চু বড়ুয়া, রুমন ভট্টাচার্য, ইমরান এমি, আসাদুজ্জামান লিমন, বাংলা টিভির রিপোর্টার বিপ্লব দে প্রমুখ।
ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি বিকাশ সম্পর্কিত সামাজিক সংগঠন ইসলামী সংস্কৃতি পরিষদ-এর আত্মপ্রকাশ ও অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুসলমানদের স্বকীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইহুদীদের অব্যাহত ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুসলিমদের কুরআন হাদীসের সঠিক জ্ঞান আহরণ ও তার পরিপূর্ণ আমল করতে হবে।
বাংলাদেশে বিবাহ প্রথায় ইসলামী রীতি-নীতি ভূলুণ্ঠিত। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। ইসলামে ভণ্ডামি, কপটতার স্থান নেই। ইসলামী সংস্কৃতির নামে চলমান অনৈসলামিক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলামী সংস্কৃতি পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
২৯ এপ্রিল শনিবার বিকেলে মুরাদপুরস্থ জামান এক্সক্লুসিভ হলরুমে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম এর সভাপতিত্বে এবং অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলী আক্কাছ নূরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা মূফতী সৈয়্যদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ছরওয়ার, সহ-সভাপতি মাওলানা ফজলুল কবীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জহুরুল আনোয়ার,সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসহাব উদ্দীন মজিদী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস শাকুর, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মালেক, দাওয়াহ্ সম্পাদক মাওলানা ইকবাল হোসাইন আলক্বাদেরী, শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক মাওলানা জমির হোসাইন আলক্বাদেরী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যাপক ইশতিয়াক রেজা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার পারভেজ তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা আবদুল আজিজ রজভী, নির্বাহী সদস্য মাওলানা শরফুদ্দীন ক্বাদেরী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম চিশতী, মাওলানা নাছির উদ্দিন ক্বাদেরী, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আবদুল আউয়াল ফুরকানী, সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, মাওলানা সরওয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট সুলতান জাহাঙ্গীর, সদস্য দিদারুল ইসলাম দিপু, জাহাঙ্গীর আলম, খোরশেদ আলম ফারুকী ও মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ নুমান প্রমুখ।
ইসলামী সংস্কৃতি পরিষদের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করানো করানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষে করে দেশ, জাতি, মাযহাব, মিল্লাত ও বিশ্ব মুসলিমের সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দুআ-মুনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা মুফতী সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেখতে পাচ্ছে বিদেশিদের ধারে ধারে ধর্ণা দিয়ে ও হাত-পা মালিশ করে কোন লাভ হয় নাই। যারা ভরসা করেছিল তারাও দেখতে পাচ্ছে বিএনপির ওপর কোন ভরসা নাই। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোলা ব্যাঙের মত আওয়াজ তুলছে মাত্র।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবদের বড় একটা গলা আছে, অন্য কোন কিছু নেই। ব্যাঙ প্রাণী ছোট, কিন্তু আওয়াজটা খুব বড়। যখন বর্ষাকালে চারিদিকে পানিতে ডুবে যায় তখন ব্যাঙ প্রচণ্ড আওয়াজ করে। আসলে বিএনপির অবস্থাও হয়েছে কোলা ব্যাঙের মত।
রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় মিডিয়াকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই মিডিয়ার ব্যাপ্তি ঘটলেও আমরা সবসময় দেখতে পাই গণমাধ্যমে আজকে যে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটি সঠিকভাবে পরিস্ফূটিত হয় না। কোন খারাপ সংবাদ হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন ‘গুড নিউজ ইজ নো নিউজ, বেড নিউজ ইজ গুড নিউজ’ এটি সমীচিন নয় বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মিডিয়ার ওপর আক্রমণ। আমি মনে করি মিডিয়ার ওপর আক্রমণ করা সমীচিন নয়। মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড হতাশা থেকে এই কথাগুলো বলেছেন। আজকে বাংলাদেশে যেভাবে স্বস্তির ঈদযাত্রা হয়েছে, মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে বিশ^ মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে এটি সত্যিই উদাহরণ। একটু অস্বস্তি ছিল গরমের কারণে। এই গরমের কারণে বিএনপি নেতাদের মাথাখারাপ হয়েছে কিনা আমি জানি না।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গাণিতিক বৃদ্ধি ঘটেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশে সাড়ে চারশ’ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন ১২ শ ৬০ টির বেশি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ’৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রাটাও শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। ২০০৯ সালে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৪৭ টির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তৎমধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে। লাইসেন্সপ্রাপÍদের অনেকেই খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল সেগুলোতে জার্নালিজম থেকে পাশ করে বের হওয়া আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকুরির একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আজকে সারা পৃথিবী প্রশংসা করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের। করোনা মহামারি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রেও নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপ বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে পঞ্চম এবং উপ-মহাদেশে প্রথম। করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সেটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে প্রশংসা হয়েছে। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে তাদের রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীনদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশংসার ফুলঝুড়ি বয়ে যায়নি, এটিই বাস্তবতা।
তথ্যমন্ত্রী ও ইতিপূর্বে দীর্ঘ সাতবছর দলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের সংসারটা সাংবাদিকদের সাথেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারা পৃথিবীতে বিএনপির পেইড এজেন্ট আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তারা সারা পৃথিবী থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে বিভিন্ন জনের কাছে এ কাজের জন্য টাকা পাঠান সেই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। কাকে কত টাকা দেওয়ার কথা ছিল, টাকা না দেয়ায় সে গোস্বা করেছে। এগুলোতেও যখন কাজ হচ্ছে না তাই মিডিয়ার ওপর চড়াও হয়েছে বিএনপি। মিডিয়া চাইলেও সরকারের বিরুদ্ধে অনেকক্ষেত্রে খারাপ সংবাদ পাচ্ছে না বলে পরিবেশিত হচ্ছে না।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিদ্যমান সংকট নিরসনে জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই বলে, আলোচনা ইফতার ও দোয়া মাহফিলে মন্তব্য করেন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল(জেএসডি) চট্টগ্রাম।
গতকাল ১৭ ই এপ্রিল ২০২৩ সোমবার বিকাল ৪ টায় নগরীর স্টেশন রোডস্থ হোটেল প্যারামাউন্ট ইন্টারন্যাশনাল এর হলরুমে চট্টগ্রাম মহানগর জেএসডির আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর জেএসডির আহ্বায়ক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এবং মহানগর জেএসডির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জবিউল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসার ইসহাক উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল বাতেন বিপ্লব নাগরিক ঐক্যের প্রতিনিধি, মুন্না চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে আরো আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রফিকুল ইসলাম মাস্টার, আব্দুল মালেক গাজী, সোলায়মান খান, নুরুল আরশাদ চৌধুরী আসু, মশিউর রহমান খান, তাজুল ইসলাম, এস এম ইউসুফ, মোহাম্মদ ইয়াকুব, শফিউল আলম খোকন, এসএম কামাল উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ মুবিন, এডভোকেট সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সোহেলসহ আরো অনেকে।
বক্তারা স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলক ও সাবেক ডাকসুর ভিপি আ.স.ম. আব্দুর রবের ১০ দফা যেমন উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার অবসান, নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন, প্রাদেশিক সরকার গঠন, সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ গঠন, রাষ্ট্রযন্ত্র মেরামত, অংশীদারিত্ব মূলক শ্বাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার গঠন করার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রমজান মাস নিয়ে কটাক্ষ করলেন, চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আকতার।
ফেসবুকে তিনি পবিত্র রমজান মাসের আরবি উচ্চারণ ‘রমাদান’-কে কটাক্ষ করে পোস্ট দিয়েছেন। তার জেরে বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
আজ ১৬ এপ্রিল (রবিবার) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, সেলিনা আক্তার শেলীর উক্ত পোস্টের কারণে অসংখ্য মানুষ পোস্টের মন্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানায়। আপনার পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভিতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্দর এলাকায় এর প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ আয়োজনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানিসহ সরকারকে অস্থিতিশীল ও বিভ্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
আপনার এমন কর্মকান্ড ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট-২০১৮ এর ২৮ ও ৩১ ধারা মোতাবেক দন্ডযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ। এছাড়া চবক চাকুরী প্রবিধানমালা-১৯৯১ এর ৩৯ (খ) মোতাবেক সুস্পষ্ট অসদাচরণ এবং গুরুদন্ডযোগ্য অপরাধ। এ প্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় সামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাকে চাকুরী হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীর মন্তব্য জানতে তার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি কল ধরেননি ।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আখতারের পদে কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) মর্জিনা খানমকে নিজ দায়িত্বের পাশপাশি অধ্যক্ষের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা করা হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস, ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা মাননীয় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব ড. আজিজ আহমদ ভূঞা মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মাননীয় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমী মহোদয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সকল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহোদয়গন এবং জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে কর্মরত সকল পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ।
অনুষ্টানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষাধিক শহীদের প্রাণ ও ২ লক্ষাধিক মা- বোনের সম্ভ্রম আত্মত্যাগ, যুদ্ধাপরাধীদপর বিচারে বিচার বিভাগের অবদান এবং স্বাধীনতা রক্ষায় স্বাধীন বিচার বিভাগের ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।
আজ বাংলাদেশে শুরু হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। এসময় খাদ্যাভ্যাসে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধনী-গরীব প্রতিটি ঘরে বাহারি আয়োজনের ফলে সারা দিন রোজা পালন শেষে ইফতারে অনেকেই বেশি বেশি খেয়ে ফেলে। রাতের খাবারে কমবেশি সকলে পরিমাণ মতো খেলেও সারা দিন না খেয়ে থাকতে হবে এই ভেবে অনেকেই সেহরিতে অধিক পরিমাণে কাবার গ্রহণ করে।তাছাড়া ইফতার ও সেহরিতে বেশির ভাগ রাখা হয় মুখরোচক ও ভাজাপোড়া খাবার, যাহা মোটেও রোজাদারের জন্য কাম্য নয়। কিন্তু এ সময় খাদ্য তালিকায় মুখরোচক ভাজাপোড়া নয় বরং পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে এবং আহার করতে হবে পরিমিত। শরীরের চাহিদার থেকে খাবারের পরিমাণ কোন অবস্থাতেই কম বা বেশি হাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
মূলত একজন রোজাদার ইফতার ও সেহরিতে কি খাবেন তা নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের উপর। সেহরি ও ইফতারে সহজে ও তাড়াতাড়ি হজম হয় এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সকল রোজাদারের জন্য ইফতারিতে খেজুর, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, চনাবুট, এবং ফরমালিন মুক্ত মৌসুমি ফল থাকতে হবে। রুচি অনুযায়ী বাসার রান্না করা নাস্তা খেতে পারেন। প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল আহার করা উচিত। ইফতার ও সেহরি সময়ের মধ্যে অন্তত পক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে, তবে একবারে নয়, থেমে থেমে।
এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণ মতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাওয়া যাবে। সেহরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খাওয়া যাবে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে। যাদের দুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাঁরা সেহরির পর এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খেতে হবে যা হজমে সহায়ক হবে।
ইফতার ও সেহরিতে এনার্জি ড্রিংক, কার্বনেটেড ড্রিংক এবং সোডা জাতীয় পানীয় বর্জন করা উচিত । কারণ এগুলো এসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। পারত পক্ষে বাইরের অর্থাৎ দোকানের তৈরি ইফতার না খাওয়াই ভালো। তেহারি বা হালিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে বদহজম হতে পারে। অনেকেই সেহরি খেতে চান না। শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখেন কিন্তু কখনোই শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখা যাবে না। অধিক তেল, অধিক ঝাল, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার সেহরিতে খাওয়া একদম উচিত নয়। সুগার ড্রিংক, চা ও কফি যতটা সম্ভব কম পান করতে হবে। রান্নার সময় খাবারে ডালডার পরিবর্তে সয়াবিন তেল ব্যবহার করতে হবে তবে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে। অতিরিক্ত লবণ ও লবণাক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্থায়ী কার্যালয় পাচ্ছে রাউজান প্রেস ক্লাব ; ফজলে করিম এমপির সাথে নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা।
রাউজান প্রতিনিধি
রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন রাউজানের সুনাম বৃদ্ধিতে সকলে একযোগে কাজ করতে হবে। এতে সাংবাদিকদের ভুমিকা আরো বেশি রাখতে হবে। এসময় তিনি রাউজানের সাংবাদিকদের প্রকৃত সংগঠন রাউজান প্রেস ক্লাবকে স্থায়ী কার্যালয় ও নির্মাণ কাজে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
গতকাল (২৩.০৩.২৩ইং) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-মরক্কো সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি মনোনীত হওয়ায় নগরীর পাথরঘাটাস্থ ইকবাল ভিলায় রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক সরোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বের উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি জাহেদুল আলম, সাবেক সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস.এম ইউসুফ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন মিঞাজি, সহ সভাপতি এ.এম মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. দিদারুল আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহানগীর সিরাজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রবি, অর্থ সম্পাদক কেএম বাহাউদ্দীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক একে বাবর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ ইরফাত হোসেন চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ, মিলন বড়ুয়া প্রমুখ।