চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (চৌধুরী ফরিদ) করোনায় আক্রান্ত। যিনি অনেক বেশী সচেতন ছিলেন করোনার ব্যাপারে আজ তিনিই আক্রান্ত হলেন। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
নীচে তার আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস
পরম দয়ালু, অফুরন্ত রহমতের ভান্ডার মহান আল্লাহর উপর আস্তা, বিশ্বাস এবং ভরসা রেখে করোনাকে জয় করার সংগ্রাম শুরু করলাম ইনশাহ্ আল্লাহ। আমার সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আমি এবং আমার স্ত্রী ও ৩ অবুজ শিশু সন্তানের জন্য আপনারা হৃদয় থেকে দোয়া ও আশির্বাদ করবেন। একই সাথে আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু আজ এ রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্যও আপনারা দোয়া – আশির্বাদ করবেন। করোনা ভাইরাস চট্টগ্রামে আক্রান্ত হবার আগ থেকে আমি ক্লাবে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে খুবই -খুবই সতর্ক ছিলাম। মাক্স, পিপিই, হ্যান্ড গ্ল্যাবস সব সময় ছিল। এসব নিয়ে আমার অনেক সহযোদ্ধা সাংবাদিক বন্ধুরা কত টিপ্পনীও দিয়েছে। তারপর মহান অল্লাহর ইচ্ছা এবং হকুম এর বাইরে নয়।
বিশেষ অনুরোধ, আমার দ্বিতীয় আবাসস্থল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধেয় সকল সাংবাদিক বন্ধুসহ পেশাগত জীবনে কিংবা চলার পথে কারো মনে কোন দু:খ দিয়ে থাকলে বা দু:খ পেয়ে থাকলে আপনারা অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।
ইতি
আপনাদের প্রিয় চৌধুরী ফরিদ। ২৭ মে ২০২০
করোনাভাইরাস সম্পর্কে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম জানা গেলেও আজ অবধি এই ভাইরাস এবং এর ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর মহামারি সামাল দিতে হচ্ছে বিশ্বকে। যদিও অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়। তবে বিশ্বের দেশে দেশে অনেকে মানুষ মারা যাচ্ছে এই রোগে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসটি কীভাবে মানব দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে সেই বিষয়ে মোটামুটি একটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড–১৯ ভাইরাসটি প্রাথমিক লালনকাল:
এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। মানব শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করে ভাইরাসটি। এই করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, যা মানুষের নিশ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর নিজের মুখে হাত দিলে।
শুরুতে এটি গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শক্তি সঞ্চয় করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে কেউ অসুস্থ হবেনা তবে কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দিতে পারে বা দিবে না।
প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ের স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা হবে পাঁচদিন।
সাধারণ অসুখ : অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস সাধারণ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি সাধারণ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় শরীরে কিছু একটা ভাল নেই। এই কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে।
তবে অনেকেরই কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না।
এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে।
তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে।
গুরুতর অসুখ: এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তবে তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়। যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়ায় তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়।
লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, “রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যাওয়া শুরু হয়। কীভাবে এটি ঘটছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না।”
ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হওয়াকে আমরা নিউমোনিয়া বলি। আমাদের মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসের ছোট টিউবগুলোয় যদি যাওয়া যেত, তাহলে আমরা হয়তো শেষপর্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের বায়ুথলিতে গিয়ে পৌঁছতাম। এই থলিগুলোতেই রক্তে অক্সিজেন যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কিন্তু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র থলিগুলো পানি দিয়ে ভর্তি হতে শুরু করে এবং ফলস্বরুপ শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি করা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যার মত উপসর্গ তৈরি করে। কিছু মানুষের শ্বাস নিতে তখন ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন হয়। চীন থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, এই ধাপে ১৪% মানুষ আক্রান্ত হয়।
জটিল রোগ: এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬% করোনাআক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অসক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূল সমস্যাটা হয়, এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে।
রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি, এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
ডাক্তার ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, “ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে, একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেইল করে।” এ পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভাইরাসের সাথে পেরে না ওঠে তাহলে তা শরীরের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে।
এ পর্যায়ে আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে ইসিএমও বা এক্সট্রা-কোর্পোরেয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি কৃত্রিম ফুসফুস দ্বারা টিউবের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে নিয়ে সেই রক্ত অক্সিজেনপূর্ণ করে আবার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দু’জন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, যদিও তারা দু’জনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন।
প্রথম মৃত্যু: প্রথম যিনি মারা গিয়েছিলেন, ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, এবং ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান।
দ্বিতীয় মৃত্যু: দ্বিতীয় ৬৯ বছর বয়সী যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। তাকেও একটি ইসিএমও মেশিনের সহায়তা দেয়া হয়, কিন্তু তবুও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তীব্র নিউমোনিয়া ও সেপটিক শকে মারা যান তিনি।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের যে অনুষ্ঠান মালা, সভা সেমিনার হয়েছে তাকে শুধু অনুষ্ঠানের জন্য অনুষ্ঠান হিসাবে নিলে হবে না। আগামী দিনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসম্প্রদায়িক সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার অনুষ্ঠান হতে হবে।
আগামী দিনের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে আজকের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অঙ্গিকার হতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে ভালবেসে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সমর্থ হব।
মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে এবং এর হাত থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে তবেই স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠান স্বার্থক হবে।
স্বাধীন দেশে প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং একটি উন্নত জীবন পাবে এটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। আজকে আমরা একটি লাল- সবুজ পতাকা পেয়েছি। একটা দেশ পেয়েছি, একটা জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদাকে আরো উন্নত করা -সেটাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য। মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার আদায়ে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি যে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেটাই ’৭১ সালে তার নেতৃত্বে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করার মধ্যদিয়ে একটি সফল পরিণতি লাভ করে। দিবসে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য এক যোগে কাজ করবো তাহলে আমাদের প্রকৃত বিজয় সাধিত হবে।
এক শোকবাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতরাতে রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এ পর্যন্ত অন্তত: ৭৮ জনের মৃত্যু এবং অসংখ্য মানুষ আগুনে পুড়ে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। সরকারে উদাসীনতার কারণে এধরণের মর্মস্পর্শী ঘটনার বারবার পুণরাবৃত্তি ঘটছে-যা কোনক্রমেই কাম্য হতে পারে না। বিএনপি মহাসচিব নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই চিকিৎসক ও দেশের মানুষের প্রতি আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
দিনদিন বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। কি দেশে বা বিদেশে, সব জায়গায় গানিতিক হারে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। একের পরে এক ধর্ষণের ঘটনা শুনে আতকে উঠছে সাধারণ মানুষ। বয়স্ক থেকে শুরু করে আড়াই বছরের শিশুও ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সভ্যতার লেবাসে আবৃত আমাদের আধুনিক এই সমাজে। সামাজিক অবক্ষয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিরাপত্তাহীনতার অভাব আর মানুষের মনুষ্যহীনতার কারণে ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে বয়স্ক মহিলা, স্কুল ছাত্রী থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও। অনেকে মেয়েদের অশালীন আর অবাধ চলাফেরাকে দায়ী করলেও এই পর্যন্ত যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সবই নিরাপত্তাহীনতা জনিত কারন এবং বিকৃতমন-মানসিকতা। আশ্চর্য হলেও সত্য যে ৮ বছরের মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার হয়ে বিচার না পাওয়া এবং তার বাবার রেল লাইনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা আমাদের সভ্যসমাজের অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উটছে। এই সামাজিক অবক্ষ থেকে বের হওয়ার রাস্তা আমাদেরকে বের করতে হবে।
এক শ্রেণীর মানুষ ধর্ষণের জন্য দায়ী করছেন শুধুই নারীদের। মূলত ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষরাই যার ভুক্ত ভোগী কিন্তু ধর্ষণের স্বীকার নারীগন। ধর্ষণের জন্য দায়ী ধর্ষক, তাদের মস্তিষ্ক বিকৃতির জন্য বড় মাধ্যম হিসেবে র্বতমানে কাজ করছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার। মানুষ যা করতে চায় তা করতে দেয়ার অবাধ স্বাধীনতা, অশালীন কাজকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার করতে বাঁধা না দেয়া, মাদকের গণ হারে ব্যবহার, অপসংস্কৃতির চর্চা, ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকা ইত্যাদি অনেকাংশে ধর্ষণের জন্য দায়ী। নারীর পোশাকই যদি ধর্ষণের জন্য একক ভাবে দায়ী হত তাহলে রাস্তায় চলাফেরা করা নারীদের সম্ভব হত না। মুলত সামাজিক ভাবে দুর্বল নারীগণ বারবার ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে। সমাজ, প্রশাসন ও আমাদের সবাইকে এক হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কাজ করতে হবে তবেই ধর্ষণ রোধকরা যাবে। একদল অসুস্থ মানুষ যেমন ধর্ষণের দিকে ছুটছে তাদের মস্তিষ্কের অবক্ষয় রোধে আমাদের কেও এগিয়ে আসতে হবে। মাদক সেবন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার, অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, মস্তিষ্ক বিকৃতির সকল পন্থা রোধে এগিয়ে আসতে হবে সাথে সাথে নিরাপত্তা বিষয়টিও জোরদার করতে হবে ধর্ষণ প্রতিরোধে।
নারী বা পুরুষ সবাই যার যার নীতি থেকে সরে আসলে এ ব্যাপারটির সমাধান আসবে না, শুধুই তর্ক বাড়বে আর তর্কের আড়ালে ধর্ষণের ঘটনা কে ঠেকানো যাবে না বরঞ্চ তা বেড়েই চলবে। নারী যদি শালীন ভাবে চলাচল করে তবে তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত হয়। সাথে সাথে পারিবাকি ও সামাজি ভাবে সচেতনতা এবং মন-মানসিকতার পরিবর্তন ধর্ষণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রা থাকতে পারে। একইসঙ্গে ওই সময়ে এক থেকে দু’টি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দীর্ঘমেয়াদি প‚র্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার আবহাওয়া অধিদফতরে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও জানান, এ মাসের প্রথমার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। কিন্তু মাসের শেষার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে।
ডিসেম্বর মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-প‚র্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান আহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক। এ মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় ঘন বা মাঝারি কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র মাঝারি বা হালকা ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ডিসেম্বর মাসে দেশের প্রধান নদীগুলোর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেও দীর্ঘ মেয়াদি প‚র্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু অন্য বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। নভেম্বর মাসে ৩ থেকে ৪ দিন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা থাকলেও রংপুর ও খুলনা বিভাগে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। রোববার বাংলা বর্ষপঞ্জির ১৮ অগ্রহায়ণ। কাগজে-কলমে শীত শুরু হবে আরও ১২ দিন পর। কিন্তু এক প্রকৃতিতে বলতে গেলে পুরো দমেই শীতের আমেজ। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ঢাকায় সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঝামেলার শেষ নেই! চেনা এই শব্দগুলো ঘুরেফিরে সবার মুখেই শোনা যায়। রোজকার জীবনে বিবিধ সমস্যায় জর্জরিত কমবেশি সকলেই। কিন্তু কেন? উত্তরের সন্ধানে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা শুরু করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। ‘দ্য কনভারসেশন’ পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। হার্ভার্ডের দলটির পর্যবেক্ষণ, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, একটানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, খুব অল্পতেই ভয় পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে বেশি।
গবেষক ডেভিড লেভারি জানান, তারা প্রথমে নিজেরা এলাকা ধরে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করেছেন। তার পর ওই সব এলাকার নজরদারি কমিটির (যাঁরা এলাকায় কোনো রকম অপরাধমূলক কাজকর্ম চলছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ রাখে) সঙ্গে কথা বলে দেখেন। তুলনা করে দেখেছেন তাদের পর্যবেক্ষণ সঠিক কি না। নজরদারি কমিটির কাজের ধরন পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেন, এলাকায় অপরাধ কমলে তারা অনেকটাই নিশ্চিন্ত। কিংবা অপরাধী ধরা পড়লে স্বস্তির আমেজ। আবার কোনো এলাকায় একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে চললে, কমিটির উদ্বেগও তুঙ্গে। প্রতি মুহূর্তে তারা ভয়ে রয়েছে, এ বার কী হবে।
গবেষক দলটি তিন ধরনের মানুষকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এক দলের জীবন সত্যিই কঠিন, দ্বিতীয়টি তুলনায় সহজ দল, তৃতীয় দলের জীবন আরওই কম সমস্যা-জর্জরিত। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে একই প্রবণতা, জীবনে যখনই কেউ বিপদে পড়েছেন, আরও বড় বিপদের আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ সময় আতঙ্কে লোকজন দৌড়ে বাড়ির ভেতর থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। ভূমিকম্পের সময় নিজেকে রক্ষা করতে অবলম্বন করা যেতে পারে নিচের উপায়গুলো
যদি ভবনের ভেতরে থাকেন, তবে হাঁটু ও হাতের ওপর ভর দিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। ধসেপড়া জিনিসপত্র থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মাথা ও গলা হাত দিয়ে ঢেকে রাখুন। কম্পন না থামা পর্যন্ত যে কোনো শক্ত জিনিস ধরে রাখুন।
যদি বিছানায় থাকেন, সেখানেই শুয়ে থাকুন এবং বালিশ দিয়ে মাথা ও গলা ঢেকে রাখুন।
যদি বাইরে থাকেন, তবে ভবন, রাস্তার লাইট ও বিদ্যুতের তার থেকে দূরে সরে দাঁড়ান।
যদি গাড়িতে থাকেন, তবে গাড়ি থামান এবং গাড়ির ভেতরেই থাকুন।
দলনেতা তখন ই সফল হবেন যখন তিনি নিজের অধিকারে যথেষ্ট পরিমানে স্বাধীন , ক্ষমতাসম্পন্ন এবং প্রভাবশালী হন। ব্যক্তিজীবনে সন্তোষ লাভেরও সম্ভবত এটি একটি পথ, কারন স্বাধীনতা ও দায়িত্ব ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হওয়ার একমাত্র ভিত্তি । নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দৃঢ় করতে নিজেকে শিক্ষিত ও পারদর্শী করে তুলতে হয় । জ্ঞান তথা শিক্ষা একটি অবিসম্বাদিত সম্পদ। জ্ঞান যত আধুনিক হবে স্বাধীনতা তত শক্তিশালী হবে। কারন জ্ঞান এর কেউ ভাগ ও নিতে পারে না, অপহরনও করতে পারে না। চারদিকে কি ঘটে সে দিকে ও ওয়াকিলহাব থাকতে হয়। নেতৃত্ব দেয়া মানে আসলে নিজেকে ক্রমাগত শিক্ষিত করে তোলা । ব্যক্তিগত দায়িত্ব বহনের প্রবল আগ্রহ নিজের মধ্যে জাগিয়ে তোলা ও জরুরি একটা বিষয়। নিজেকে বিচার করার সময় কঠোর থাকা জরুরি । কোনভাবে ই নিজেকে ছাড় দেয়া যাবে না। দলনেতার এমন ব্যক্তিত্ব থাকতেই হবে। অধিনস্তদের কাজ আরও ভালো করে করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা দলনেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত । কর্মীদের উজ্জীবিত করার সক্ষমতা নেতার থাকতে হয় । মানুষ তার সামাজিক আত্ম অহং এর তৃপ্তি চায় । কর্মক্ষেত্রে আত্ম প্রত্যয়ের ও প্রয়োজন থাকে ।
আজ (মঙ্গলবার) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব (ক্রিস্টমাস) শুভ বড়দিন।
খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন, যিশু ঈশ্বরের পুত্র। দুই হাজার বছর আগে এই দিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারীমাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব চার্চ ও তারকা হোটেল ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ও পরিবারগুলোতে নানা ধরনের কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক স্বপন রোজারিও জানিয়েছেন, সোমবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিনবাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।