বিশ্বশান্তি কামনায় বর্ণাঢ্য শান্তি_শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত।
শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সার্বিক ব্যবস্হাপনায় এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে,সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বিশ্বশান্তি কামনায় শান্তি শোভাযাত্রা ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার চত্বর থেকে সকাল ৯.৩০ টায় শুরু হয়। শান্তি শোভা যাত্রার শুভ উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মাননীয় উপ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া,মহাসচিব সুদীপ বড়ুয়া,বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-যুব এর সভাপতি কর আইনজীবী জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া,সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া,বৌদ্ধ সমিতি মহিলার সভাপতি পূরবী বড়ুয়া,সাধারন সম্পাদক অধ্যাপিকা ববি বড়ুয়া, সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক শিমুল বড়ুয়া,প্রধান সমন্বয়কারী বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া,সমন্বয়কারী সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, অর্থ সম্পাদক শিমুল বড়ুয়া,আওয়ামীলীগ নেতা টিংকু বড়ুয়া প্রমুখ বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করে বৌদ্ধ সমিতি-যুব এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সপু বড়ুয়া। শান্তি শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার থেকে এনায়েত বাজার-জবলী রোড- নিউমার্কেট-কোতোয়ালি-লালদীঘির পাড়-আন্দরকিল্লা -মোমিন রোড় হয়ে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে এসে শেষ হয়। শান্তি শোভাযাত্রায় হাজার হাজার বৌদ্ধ নর-নারী,বিভিন্ন বৌদ্ধ ও যুব সংগঠন নিজস্ব ব্যানার,ফেস্টুন,বৌদ্ধ শিল্পকলা শোভিত সামগ্রী নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নার্সদের দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নার্স দিবস ২০২২। প্রতিপাদ্য বিষয়-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী নার্স নেতৃত্বের বিকল্প নেই-বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং খাতে বিনিয়োগ বাড়ান ও নার্সদের অধিকার সংরক্ষণ করুন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির মূল লক্ষ উদ্দেশ্য হচ্ছে চিকিৎসা পেশার সাথে সম্পৃক্ত সর্বস্তরের ডাক্তারকে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত করা যাতে করে রোগী ও ডাক্তার উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় এ জন্য প্রতিটি স্বাস্থ্য রিলেটিভি সকল দিবসে ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে পালন করা হয়। আজকে বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন,মহিয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের সেবায় নার্সদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। আর সমাজে নার্সিং পেশাকে মানুষের কাছে একটি আদর্শ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একজন নার্স কোন রোগীর সাথে ভাল আচরণ করলে তার রোগ অর্ধেক ভাল হয়ে যায়। এ জন্য মানব সেবায় নিয়োজিত সকল নার্সদের রোগীদের সাথে ভাল আচরণ করতে। সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নার্সদের দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি ।
ডা.মাজেদ আরো বলেন নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, তাদের সেবা ছাড়া কোনো রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন। আজ সেই পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। নার্সরা করোনার সময়ও নিজের জীবনের কথা ভুলে শুধু অসহায়দের পাশে থেকেছেন। সেবা করতে গিয়ে করোনার সময় প্রাণও হারিয়েছেন বহু নার্স।আমাদের নার্সরা অদূর ভবিষ্যতেও নার্সিং পেশার রূপকার ইতালিয়ান নার্স ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মতো সেবা দিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। ’
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরে তথ্য মতে, সারাদেশে নিবন্ধিত নার্সের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৫১৭ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত নার্সের সংখ্যা ৪২ হাজার ৩৩০ জন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৪২৯টি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ১৩টি বিএসসি নার্সিং কলেজ, ৪৪টি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও একটি সরকারি পোস্টগ্যাজুয়েট কলেজ রয়েছে। আর বাংলাদেশে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৯৯৭ জন নিবন্ধিত চিকিৎসকের বিপরীতে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন মাত্র ৭৬ হাজার ৫১৭ জন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকের অনুপাতে বর্তমানে নার্স থাকা উচিত ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৯১ জন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বর্তমানে দেশে চিকিৎসকের অনুপাতে নার্সের ঘাটতি ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৭৪ জন। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সের সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার ৩৩০ জন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল তাই জরুরি ভিত্তিতে দেশের স্বাস্থ্যখাতে নার্স সংকট সমাধানে সরকারিভাবে নার্স নিয়োগের জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে এবং নার্সদের বিদ্যমান সকল সমস্যা সমাধানে সরকারকে জরুরি উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানাচ্ছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
নার্সিং পেশাকে মানুষের কাছে একটি আদর্শ
পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্তকরেন বক্তারাা।
চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নার্সিং কর্মকর্তাদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২২ উপলক্ষে আজ ১২ মে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ণাঢ্য র্যালি, বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন, আলোচনা সভা, অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা ও কেক কেটে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র ২০২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-“স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী নার্স নেতৃত্বের বিকল্প নেই-বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং খাতে বিনিয়োগ বাড়ান ও নার্সদের অধিকার সংরক্ষণ করুন”। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও সিনিয়র স্টাফ নার্স দীপ্তি ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মোঃ আব্দুর রব, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থো) ডা. অজয় দাশ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, কনসালট্যান্ট (নাক, কান, গলা) ডা. মিনহাজুল হক, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. মৌমিতা দাশ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র স্টাফ নার্স তপন চন্দ্র দে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নাসিং কর্মকর্তা রাশেদুল আলম, সিনিয়র নাসিং কর্মকর্তা চায়না রানী শীল, বিদায়ী সেবা তত্ত¡াবধায়ক রোকেয়া বেগম ও নবীন নার্স মোঃ আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে সেবা তত্ত¡াবধায়ক রোকেয়া বেগম, নাসিং সুপারভাইজার গীতা চৌধুরী, নাসিং সুপারভাইজার শ্যামলী সাহা ও সহকারী নার্স রূপন দাশকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর পর আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র ২০২তম জন্মবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন-শান্তির পায়রা উড়িয়ে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২২ ও বর্ণাঢ্য র্যালির শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। র্যালিটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতালে এসে শেষ হয়। র্যালিতে অতিথিবৃন্দরাসহ সকল নার্সিং সুপারভাইজার ও অন্যান্য নার্সিং কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজ সংস্কারক ও পরিসংখ্যানবিদ মহিয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের সেবায় নার্সদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, নার্সদের কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। নার্সদের কঠিন পরিশ্রম ও তাদের সেবা ছাড়া কোনো রোগীর সুস্থ হয়ে উঠা কঠিন। আজ সেই মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। সমাজে নার্সিং পেশাকে মানুষের কাছে একটি আদর্শ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনবল সংকট থাকা সত্তে¡ও দফায় দফায় চিকিৎসক-নার্স নিয়োগের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্য সেবা তৃণমুলে পৌঁছে দিয়েছে। মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার আমাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। তাই যতটুকু পেয়েছি তার প্রতিদানের জন্য টিম জেনারেল হাসপাতালকে দিনরাত কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, একজন নার্স কোন রোগীর সাথে ভাল আচরণ করলে তার রোগ অর্ধেক ভাল হয়ে যায়। এ জন্য মানব সেবায় নিয়োজিত সকল নার্সদেরকে রোগীদের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে। সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নার্সদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবসময় রোগীর পাশে থাকতে হবে। রোগীর সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে নিজের অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ১৮২০ সালে ১২মে ইতালির এর আভিজাত পরিবারে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর জন্মদিনটি ইন্টারনেশনাল নার্সেস ডে হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ডার্বিশায়ার থেকে ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন ফ্লোরেন্স। সেই সময় লন্ডনের হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কারণে কোনও সেবিকা সে সময় কাজ করতেন না। সে সময় নার্সিং পেশাকে সামাজিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হত না । তা সত্তে¡ও নাইটিংগেল লড়াই করেন। তিনি ১৮৫১ সালে নার্সের প্রশিক্ষণ নিতে জার্মানিতে যান। তারপর তিনি নজে ১৮৬০ সালে নার্সিংকে সম্পূর্ণ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্থাপন করেন নাইটিংগেল ট্রেনিং স্কুল। তারপর ১৮৬৭ সালে নিউইয়র্কে চালু হয় উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ।
এভাবে একে জন সমক্ষে আসতে শুরু করে এই পেশার গুরুত্ব। ভারতেও তাঁরই প্রচেষ্টায় এই পেশার খ্যাতি বাড়তে থাকে। ১৮৮৩ সালে তাঁর এই কাজের জন্য তিনি রয়েল রেডক্রস সম্মান লাভ করেন। একের পর এক সম্মান পান ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। তারপর ১৮৬০ সালে লন্ডনে বিশ্বে প্রথম তৈরি হয় নার্সিং শেখানোর স্কুল। যে স্কুল নির্মাণে তাঁর ভূমিকা ছিল বিস্তর। যুগ যুগ ধরে সেবিকাদের পরিশ্রম চাক্ষুস করেছেন সকলে। শেষে করোনার সময়ও নিজের প্রাণের কথা ভুলে শুধু অসহায়দের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সেবা করতে গিয়ে করোনার সময় প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। আজ সেই পরিশ্রম ও সেই পরিশ্রমী মানুষদের সম্মান জানানের দিন। সকল সেবিকাদের পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা জানাতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে এ দিনটি। যুগ যুগ ধরে সেবিকাদের পরিশ্রম চাক্ষুস করেছেন সকলে। শেষে করোনার সময়ও নিজের প্রাণের কথা ভুলে শুধু অসহায়দের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সেবা করতে গিয়ে করোনার সময় প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। আজ সেই পরিশ্রম ও সেই পরিশ্রমী মানুষদের সম্মান জানানের দিন। ###
পটিয়ায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামাররি করায় আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমান নামে দুই ভাইকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গত সোমবার বিকালে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ এ রায় দেন। আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমান পটিয়া থানার উত্তর গোবিন্দারখীল এলাকার মৃত আব্দুস ছত্তারের ছেলে। মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদী শামসুল আলম ও আসামীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৪/ ৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রসহ বাদীর বসত ভিটায় প্রবেশ করে, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও হুমকি প্রদর্শন করে। এতে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শামসুল আলম বাদি হয়ে সি.আর. মামলা-৩৪৭/১৫ দায়ের করলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিচারিক আদালত রায় প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী এডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, বাদী শামসুল আলমের দায়ের করা মামলায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত (পটিয়া) ৩২৩ ও ৪২৭ ধারায় আসামী আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমানকে ২ মাসের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা আপন দুই ভাই।
বাদামতলী মোড়ে সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিলের সাহসীকতায় মোবাইল ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক।
গতকাল ১০ মে (মঙ্গলবার) আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকায় বাদামতলী মোড়ে ডিউটি চলাকালীন সময়ে ছিনতাইকারী কর্তৃক বাস থেকে মোবাইল ছিনতাই করার সময় দৃষ্টিগোচর হয় সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিলের। তৎক্ষণাৎ তিনি সাহসিকতার সাথে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌঁড়ে মোবাইল ছিনতাইকারীকে ছিনতাইকৃত মোবাইলসহ হাতে নাতে আটক করতে সক্ষম হন।
পরবর্তীতে তিনি আটককৃত ছিনতাইকারীকে ডবলমুরিং থানায় সোপর্দ করেন এবং উদ্ধারকৃত মোবাইল মোবাইলের মালিককে বুঝিয়ে দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম সার্জেন্ট ইব্রাহীম খলিলকে দায়িত্বশীল ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কৃত করেন এবং পরবর্তীতে আরো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ নোয়াপাড়া কচুখাইন ( প্রস্তাবিত) শাখা’র ব্যবস্হাপনায় ঈদ পূনর্মিলণী ও তাওয়াল্লেদে গাউছিয়া, মাহফিল ও ফাতেহা শরীফ সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস শুক্কুর সওদাগর এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহির আহমদ এর সঞ্চালনায় তাহার হাজী চান মিয়া সওদাগরের বাড়ীস্হ বাসভবনে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুখাইন গ্রামে গত ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার অনুস্টিত হয়।
অনুস্টানে অতিঘী ছিলেন মাদ্রাসা এ গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর কৃতি শিক্ষার্থী শায়ের মাওলানা মোহাম্মদ মাসূদ পারভেজ, সমাজসেবক নূর আহমদ মাইজভান্ডারী, মুহাম্মদীয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মোহাম্মদ হাসান, কচুখাইন শাহী দরবারের শাহজাদা মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ।
এতে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন বিশ্ববন্ধনের ব্যবস্হাপনা সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আবু বক্কর, হাফেজ মোহাম্মদ শাহাদাৎ, মোহাম্মদ শফি,সমাজসেবক মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল আবছার, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন নয়ন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ বাদল, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ মনসুর, মোহাম্মদ খোরশেদ, মোহাম্মদ মোরশেদ, মোহাম্মদ আকতার, বেলাল হোসেন, মোহাম্মদ সোলেমান প্রমুখ।
অনুস্টানে বক্তারা বলেন, ঈদ সহ নানান ধর্মীয়,সামাজিক, পারিবারি আচার অনুস্টানের দ্বারা ভ্রাতুত্বের বন্ধন ও পরস্পর সম্প্রীতির পরিবেশ সৃস্টি হয়। আর ত্বরিকত চর্চার ফলে মানুষ নিজেকে পরিশুদ্ব করার মাধ্বমে আল্লাহ – রাসূল (সা:) নীতি, আদর্শে নিজেকে সদা নিবেদিত রাখতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী ১৫ দিনের ব্যক্তিগত সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।
আজ ১০ মে মঙ্গলবার সড়ক পথে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাবেন।
সেখান থেকে দুপুর তিনটা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।
১১ মে মালয়েশিয়া পৌঁছে তিনি সেখানে থাকা তার কন্যার কুয়ালালামপুরের বাসায় ২৫ মে পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এরপর ২৫ মে দুপুরে কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
তোর সোনা দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত,মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ।
তুই পড়বি ঈদের নামায রে মন যেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত-দুশমন হাত মিলাও হাতে
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোযা নিত্য উপবাসী
সেই গরীব এতিম মিসকিনে দে যা কিছু মফিদ।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শিরনী তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হযরত, হয় মনে উমীদ।
তোরে মারল ছুঁড়ে, জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ। ”
✍️ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশিষ্ট সফল ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াপাড়া এলাকার কৃতিসন্তান, মোহাম্মদ আবদুন নবী সারাং এর সন্তান, সমাজ সেবক ও আলোকিত ব্যক্তিত্ব জনাব আলহাজ্ব আবদুল হালিম সিআইপি।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার কতৃক সি,আই,পি অর্জন করার বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করেন। তথ্যমতে তিনি নোয়াপাড়া ইতিহাসে প্রথম সি আই পি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি অনেকবছর ধরে বসবাস করছেন। মোটর ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং তিনি যথেস্ট দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। দেশে, বিদেশে তিনি একজন পরিচিত, সফল ব্যক্তিত্ব।
আলহাজ্ব আবদুল হালিম এর এই অর্জনে তাহাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাউজানের মাননীয় সাংসদ রেলপথ মন্ত্রণালয় সংশ্লিস্ট সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব এবিএম ফজলে করিম চৌধূরী এমপি, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, রাউজান প্রেসক্লাবের প্রতিস্টাতা সভাপতি সাংবাদিক মিলন বড়ুয়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্াপক ( শিশু স্বাস্হৃ) ডা: কামাল হোসেন জুয়েল, ডা: এম আল হারুনুর রশীদ, ব্যাংকার ও সমাজসেবক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মুকুট, সংগঠক ও সমাজসেবক এম খালেদ মাহমুদ, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, লেখক ও ফ্রিলান্স সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহীন চৌধূরী, সাংবাদিক মাহমুদ হায়দার জীবন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারের ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখে বিএনপি নামক দলটি নানা ষড়যন্ত্রের জাল পাতছে। তারা সকালে বলেন এক কথা, আবার বিকেলে বলেন আরেক কথা। বিগত নির্বাচনগুলোতে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছেই বিএনপি আস্থা হারিয়েছে। রমজান মাসে মাঠ গরম করার জন্য তারা আবারো আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। তাদের এই মিথ্যাচার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মত। কিন্তু দেশের মানুষ বোকা নয়। তাদের মন ভুলানো মিথ্যা কথা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। মানুষ হানাহানি, বোমাবাজি, গাড়িতে আগুন চাই না। মানুষ সুখে শান্তিতে উন্নত আধুনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে চায়। মানুষের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে বিএনপির কোন কর্মকাণ্ড নেই। তাদের চিন্তা শুধু নিজেদেরকে নিয়ে। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যাচারের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে বিএনপিকে পদক দেওয়া উচিত।
গতকাল শুক্রবার ২৯ এপ্রিল বিকেলে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বশিরুজ্জামান চত্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর ও আষ্ণলিক শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন- সড়ক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের একটি অংশ দেশে দীর্ঘকাক যাবদ সাধারণ শ্রমিক-মালিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই চিহ্নিত নৈরাজ্য সৃষ্টিকারূ পেশাদার চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে নিজেদের মধ্যে বিবাধে না জড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর ও আষ্ণলিক কমিটির উদ্যোগে মহান মে দিবস ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম আষ্ণলিক কমিটির সভাপতি এম জসিম উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো নুরুল আমিন এর সষ্ণালনায় শ্রমিক সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সফল মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফর আলী বলেন- সকল শ্রেণী-পেশার শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য প্রচলিত শ্রম আইন ও বিধিমালায় শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৎইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সড়ক পরিবহনে দির্ঘদিন ধরে দখলদারিত্বে থাকা জাতীয় ভিত্তিক এক শ্রমিক ফেডারেশনের অপনেতৃত্বের বলয়ে পরিবহন শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বষ্ণিত। সড়ক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শ্রম স্বার্থ পরিপহ্নী কর্মকান্ডে জরিত নেতৃত্বকে বিতারিত করতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ঐক্যবদ্ধ থেকে বেসিক ইউনিয়নকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। বিশেষ অথিতি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা তিমির বরন চৌধুরীর, মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুবা আহসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ অন্তর্ভুক্ত বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব মো মিরন হোসেন মিলন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো আলমগীর, চট্টগ্রাম জেলা মটর চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো ইমরান মিয়া, মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা মো ওমর মিয়া, আকবরশাহ্ থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো রবিউল হোসেন জাহাঙ্গীর, তামাকুমন্ডি লেইন দোকান কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো বখতিয়ার, টৈরীবাজার হকার সমিতির সাধারন সম্পাদক মো লোকমান হাকিম, আষ্ণলিক কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন রুবেল, প্রচার সম্পাদক মো বেলাল হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক মো মোশারফ হোসেন খাঁন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো মিজানুর রহমান জয়,বক্তব্য রাখেন নগর পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি মো বেলাল হোসেন, কার্যকরী সভাপতি মো আলী আকবর, সহ-সভাপতি মো নাছির উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো বেলাল হোসেন লিটন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো আবু তাহের, প্রচার সম্পাদক মো রবিউল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো আব্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম নাছির উদ্দীন, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মো জিয়া, সড়ক বিষয়ক সম্পাদক মো বেলাল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো নজরুল ইসলাম রানা, কার্যকরী সদস্য মো আক্তার হোসেন সোহান, মো হাছান মাহবুব, উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মো রফিক, দক্ষিণ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো আমজাদ, বাকলিয়া থানা হকার লীগের সভাপতি মো এরশাদ, বাকলিয়া থানা মৎস্য শিকারী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো আহমদ উল্লাহ কালু, সাধারণ সম্পাদক মো গোলাম রাব্বানী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ হাটহাজারী উপজেলা শাখা সভাপতি মো জাভেদ, সাধারণ সম্পাদক মো আনিছ, চান্দগাঁও থানা শাখা সভাপতি মো মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মো খোকন প্রমুখ।