ছৈয়দুল আজম হযরত হাফেজ খাজা হাকীম শাহ মোহাম্মদ বজলুর রহমান মহাজেরে মক্কী
( রহ:) এর প্রধান খলীীফা গাজীয়ে দ্বীনে মিল্লাত হযরততুলহাজ্ব আল্লামা শায়খ হযরত মোহাম্মদ আব্দদুল জলীল শাহ ( রহ;) এর ৫৭ তম সালানা বার্ষিক ওরশ মোবারক রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া গ্রামের মজিদাপাড়ায় গত ১৪ ও ১৫ মার্চ মঙ্গলবার, বুধবার ২০২৩ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আনজুমানে জলিলীয়া রহমানিয়া বাংলাদেশের সভাপতি শাহজাদা ছৈয়দ মাওলানা সারোয়ার আজম এর সভাপতিত্বে অনুস্টিত হয়।
উক্ত ওরশ মোবারকের কর্মসূচির মধ্য ছিল ১৪ মার্চ মোশায়েরা মাহফিল, জলিলীয়া রহমানিয়া হাফেজীয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের হামদ,নাত,প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ১ম, ২য়,৩য় স্হান অর্যনকারিদের ১৪ ই মার্চ ১ম দিবসে বাদে এশা নাতে মোস্তাফা (দঃ) মাহফিলে সম্মাননা হিসেবে বিশেষ পুরুস্কার ও অংশগ্রহনকারী সব ছাত্রদের সাধারন পুরুস্কার বিতরন করা হয়।
ঐদিন বাদে এশা হতে নাতে মোস্তাফা (দঃ) মাহফিলে হামদ,নাত,মানকাবাত, মাইজভান্ডারি ও কাওয়ালি পরিবেশিত করেন
শায়ের মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব কাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ শাহ আলম কাদেরি, মুহাম্মাদ সাকিব কাদেরি , মুহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম কাদেরী প্রমুখ।
১৫ মার্চ খতমে কোরআন, খতমে তাহলিল, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, আখেরী মোনাজাত ও তবরুক বিতরণ করা হয়।
ওরশ মাহফিলে প্রধান অতিথী ছিলেন বেতাগী আস্তানা শরীফ’র এর পীরে ত্বরীকত মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ। বিশেষ অতিথী ও অন্যান্যাদের মাঝে আরে উপস্হিত ছিলেন, হাটহাজারী দরবার শরীফের পীরে ত্বরীকত মাওলানা ছৈয়দ আমিনুল হক আলকাদেরী, শাহজাদা ছৈয়দ মোহাম্মদ দিদারুল আজম, মাওলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ডা: মোকতার হোসেন, মাওলানা এফ এম বদরুল ইসলাম, এডভোকেট রেজাউল করিম বাবর, মাওলানা জাফর আহমদ মানিকী, মাওলানা সৈয়দ শামসুদ্দিন নঈমী, ডা: মোহাম্মদ ইউসূফ, মোহাম্মদ হাশেম কন্ট্রাকটার, মাওলানা নাছির উদ্দিন, মাওলানা আলী আকবর, মোহাম্মদ জাকির প্রমুখ।
গাযীয়ে দ্বী’নে মিল্লাত আল্লামা সূফী শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ আব্দুল জলিল (রহঃ)
শাহজাদা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ সারোয়ার আজম
বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি খ্যাত চাটিগাঁ তথা চট্টগামের রাউজান থানার অর্ন্তগত হালদা নদীর কুল ঘেষা কাগতিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন গাযীয়ে দ্বীনে মিল্লাত রাহনুমায়ে শরীয়ত সূফী আল্লামা শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ আব্দূল জলিল (রহঃ)। তাঁহার পিতা হযরত মাওলানা মফিজ উল্লাহ মিরজী রহ. ছিলেন বুযর্গ ব্যক্তি এবং মহিয়ষী মাতাও ছিলেন খুবই ফরহেযগার ,যার প্রমাণ মেলে হুযুর কেবলার মাতা তাঁহার পিতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে তাঁহার পিতা শুদ্ধ করে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে কিনা তা পরীক্ষা নেয়ার পর বিবাহ করেন । এরকম বুযর্গ ব্যক্তিদের মাধ্যমে হুযুর কেবলা দুনিয়াতে ১৩১১ হিজরী ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দ রোজ জুমাবার , সুবহি সাদিক্ব এর সময় এ ধরায় তশরীফ এনে দুনিয়ার বুকে ইবাদত-বন্দেগী,খাওয়া-দাওয়া,আচার-আচরন তথা নিজের জীবন ,পারিবারিক জীবন, রাষ্ট্রিয় জীবন কিভাবে পরিচালিত করতে হয় তা নিজের জীবন পরিচালিত করে রাছুলে পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াছাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন করে মানব সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যান। হুযুর কেবলার পিতৃ বংশ ছিল আরবীয় পুর্বপুরুষ । উনার পৈত্রিক নিবাশ ছিল রাউজান থানার অন্তর্গত কদলপুর,মিরাপাড়ায়। তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা এসেছিলেন কাগতিয়ায় দ্বীনি শিক্ষা দেয়ার জন্যে , সম্ভ্রান্ত বংশীয় পরিবারের (প্রকাশ মনু মিঞাজী বর্তমানে বাঁশখালী স্থায়ী নিবাস) মেয়েকে শাদী করে কাগতিয়ায় বসতি স্থাপন করেন । তিনি শিশু বয়স থেকে অন্যান্য শিশুদের থেকে ব্যতীক্রম ছিলেন,অল্প সময়ে প্রাইমারী শিক্ষা ও উনার মহীয়ষী আম্মাজান থেকে কোরআন তেলোয়াত শিক্ষা নেন । হুজুর কেবলার পড়ালেখার প্রতিভা দেখে তাঁহার পিতা সুদুর দিল্লিতে পাঠিয়ে দেন পড়ালেখার জন্যে , দিল্লি দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে দস্তারবন্দী (দাওরায়ে হাদীছ) করে বাংলাদেশে ফিরে এসে তৌহিদ ও রেছালতের তথা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রচার কার্যে (ওয়াজ মাহফিল) শামিল করেন। উল্লেখ্য যে হুজুর কেবলা দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেও সবসময় ওহাবীদের বিরোদ্ধে কঠোর ছিলেন । পারিবারিক ভরণ-পোষনের জন্য দ্বী’নি ইসলামের খেদমতের পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসা করেছিলেন। তিনি ইবাদত রেয়াজতে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) এর পূর্ণাঙ্গ অনুসারী ছিলেন। হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম যেভাবে সাংসরিক জীবন চালিয়েছেন ঠিক তেমনি ভাবে হুজুর কেবলার জীবন গড়ে তুলতে সক্ষম হন। পরে সময়ের স্বল্পতার কারনে ব্যবসা বন্ধ করে দ্বী’নি ইসলামের খেদমতে বাকী জীবন ব্যয় করেন । সংসারে অভাব অনঠনে পরলেও আল্লাহ ও রাছুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে অল্প উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকতেন। কখনো নিজের অভাব অনঠনের কথা কারো নিকট প্রকাশ করতেননা । বরঞ্চ পরোপকারের জন্য অর্থাৎ গরীব এতিম অনাথ অসহায়দের সাহায্যে হাত প্রসারিত রাখতেন। অভাবের মধ্যে থেকেও অথিথি ব্যতীত একবেলা আহার করেননি। তিনি কোরআন হাদিছ, ফিকাহ ইত্যাদির জ্ঞান অর্জন অর্থাৎ জাহেরী জ্ঞান অর্জন করার পর বাতেনী জ্ঞান তথা সিনা-বা-সিনার জ্ঞান আহরণের জন্য বেতাগী দরবার শরীফের মহান পীরে দস্তগীর গৌছে জামান হাফেয হাকীম শাহ্ মুহাম্মদ বজলুর রহমান মহাজেরে মক্বি (রহঃ) ছাহেবের হাতে বায়াত গ্রহণ করে ছূফীবাদের হাতেকড়ি নেন। দুনিয়াবী স্বার্থে কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ অপছন্দ করতেন , দুনীয়াবি লোভ লালসা ত্যাগ করে শুধুম্াত্র আল্লাহ ও তাঁর রাছুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম)এর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কঠিন রেয়াজত করেছেন। যার ফলশ্রæতিতে বেতাগী দরবার থেকে ১৯৪৬ সালে১৩৬৭ হিজরীর ৮ই ছফর তাহাঁর পীরছাহেব কেবলা প্র্রথমে খেলাফত দান করে তাঁর ডান পাশে বসিয়েছিলেন। আপন পীরের প্রতি এতই মহব্বত রাকতেন যে আপন পীর মুর্শিদ যা বলতেন তা পালন করার জন্য কখনো কালক্ষেপন বা সময়/ শরীরের অশুস্থতা/বার্দ্বক্য ইত্যাদি চিšতা করতেননা । আপন পীর মুর্শিদ যা বলতেন তা পালন করার জন্য সদা প্র¯তুত থাকতেন । হুজুর কেবলা সবসময়ে ইবাদত রেয়াজত গোপনে করার চেষ্টা করতেন। যাতে কোন অহংকার প্রকাশ না হয়।তিনি যেভাবে চলতেন ঠিক সেভাবে মুরিদান ও মুহিব্বিনদের বলতেন ’ ওয়া ফরজ নামায মছজিদে পড়িবে আর নফল এবাদত গরত (ঘরে) পড়িবে এতেই মঙ্গল’ হুজুর কেবলার যার জন্য দোয়া করতেন আল্লাহপাক তা কবুল করতেন। তিনি চলার পথে সবসময় থলের মধ্যে মিছওয়াক,তছবিহ,দালায়েলুল খায়রাত ,ও একটি লুঙ্গি রাখতেন । হাটঁতে হাঁটতে তিনি কয়েক খতম খতমে খাজেগান শরীফ পাঠ করতেন অর্থাৎ চলতে ফেরতে ইবাদতে মশগুল থাকতেন যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ক্বোরানুল করিমে বলেন হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম)হচ্ছে উত্তম আদর্শ এই উক্তিটি হুজুর কেবলার জীবনে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) আদর্শ পরিস্ফুটিত হয় উদাহারণ স্বরূপ বলা যায় যেমন নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) কম আহারী ,কম ঘুমানো ,নিজের কাজ নিজে করা ,নিজের কাপড় নিজে সেলায় করা ,আতœীয়তা সুদৃঢ় করা যেমন হযরত আলী (রাঃ) কে নিজের মেয়ে সাদী দেয়া ,আল্লাহর পথে স্ব-শরীরে জিহাদ করা ইত্যাদি হুজুরকেবলা ও ঠিক এভাবে নিজের জীবনকে প্রিয় নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) রঙ্গে রাঙ্গীয়েছেন । জিহাদের নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) দাঁত মোবারক শহীদ হওয়ায় কতটুকু কষ্ট অনুভব করেছেন তাও হুজুর কেবলার দিল্লীতে একটি মসজিদ প্রতিষ্টা করাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ হয় ঐ যুদ্ধে হুজুরকেবলা স্ব-শরীরে যোগদান ও নেতৃত্ব দিয়ে বৃটিশ বাহিনীকে পরাস্ত করে মুসলিম কাফেলা জয় লাভ করে ঐ যুদ্ধে তিনি বৃটিশ বাহিনীর গোলায় আঘাত প্রাপ্ত হন। এছাড়াও হুযুর কেবলা উত্তর রাউজানে রায়দীঘির পাড়ে মুসলমানদের কবরস্থান হিন্দুরা রাস্তা তৈরী করতে চাইলে আশ-পাশের মুসলিম পল্লী থেকে এর প্রতিবাদ করে এক পর্যায়ে এটি যুদ্ধে রূপ নেয় ঐ যুদ্ধে হুযুর কেবলা কাগতিয়া হতে ৮/১০ জনের মুজাহিদ কাফেলা নিয়ে শরীক হন। ঠিক এভাবে প্রতি গর্হিত তথা ইসলামী শরীয়তের বিপরীত কাজকে ঘৃনা করতেন। এবং অন্যায়-জুলুম ও অত্যাচারের বিরূদ্ধে সবসময় সেচ্ছার থাকতেন। এভাবে প্রতিটি কর্মে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামের আদর্শ তাঁর জীবনে পরিস্ফুটিত হয়েছে। শুধু তাই নয়,শিশু অবস্থায় নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) পুত্র ইন্তিকালে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম)এর কি কষ্ট অনুভব করেছেন তাও হুজুর কেবলার নিজ পুত্র (দুইবছর ছয় মাস বয়সি) ইন্তিকাল হওয়াতে সেই কষ্ট ও অনুভব করেছিলেন । এক কথায় বলতে গেলে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) এর কদম-বাকদম ভাবে চলেছেন। যুরকানী ৪র্থ খন্ডে উল্লেখ রয়েছে হুজুর নবীয়ে পাক (দরূদ)বলেন আল্লাহ তা’আলা আমাকে ফরমায়াছেন যদি আপনি চান আমি মক্কার প্রস্তরময় ভূমিকে স্বর্ণময় বানিয়ে দেব। আমি আরজ করলাম ,হে আল্লাহ না বরং আমি এটাই চাই যে , একদিন পরিতৃপ্ত থাকব আরেকদিন ভুখা থাকব। যখন ভুখা থাকব ,তোমার সমীপে ক্রন্দন ও মিনতি করব এবং মনে প্রানে তোমাকে স্বরণ করব আর যখন পরিতৃপ্ত থাকব , তোমার কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা করব। পকৃত পক্ষে এটায় হচ্ছে হুজুর নবী ( দরূদ) এর ছুন্নত । তিনিও ঠিক এভাবে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করেছেন,তিনি সমসাময়িক সব সময় বলতেন পেঠের চার ভাগের দূই ভাগ খাবার আর এক ভাগ পানি আর এক ভাগ খালি রাখবে তাতে এবাদতে অলসতা আসবেনা । এ নিয়মে তিনি সবসময় চলতেন । তাঁর কখনো উপাধির প্রতি মোহ ছিলনা, হজ্ব করে আসার পর উনার এক মুরিদ হুজুর কেবলাকে বলেন হাজি রূমাল কাঁেধ জড়াতে , তিনি বলেন আমাকে কি হাজী সাহেবের টাইটেল দিতে হবে ? অর্থাৎ নিজেকে সবসময় গোপন করে রাখার চেষ্টা করতেন । হুযুর কেবলার পীর-মুর্শিদ কারামত প্রকাশ করা অপছন্দ করতেন তাই তিনি কারামত প্রকাশিত হোক এটা থেকে নিজেকে বাচিঁয়ে রাখার চেষ্টা করতেন। তবুও কারামত প্রকাশ হয়েযেত ,যেমন ঘরে আহার না থাকলেও মেহমানদের আহার করানো, দোয়া করে বৃষ্টি বন্ধ করা , মহুুর্তে স্থান ত্যাগ করা অন্য যায়গায় একই সময়ে উপস্থিত হওয়া কঠিন মৃত্যু যন্ত্রনায় (ছাখরাতের সময়) মুরিদানকে সাহায্য করা অসংখ্য কারামত প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সবসময় হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম কে অনুসরণ করতেন, হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম যে ভাবে জীবন নির্বাহ করেছেন ঠিক সেভাবে নিজের জীবন নির্বাহ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি কখনো উচ্চ আওয়াজে কথা বলতেন না , নিম্নস্বরে কথা বলা পছন্দ করতেন । কথা বলার সময় তিনি কখনো অট্টহাসি করতেন না, কম আহার করতে ভালবাসতেন। তিনি মুজতাহিবিত দাওয়াত (দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করতেন) ছিলেন। আল্লাহপাকের এবাদত বন্দেগীতে কখনো অলসতা করতে দেখা যায়নি বরঞ্চ দেখা গেছে গভীর রাত পর্যন্ত বিনিদ্রায় যাপন করে আল্লাহ এবাদত করেছেন ,এ রকম অনাড়ম্বর জীবন যাপনকারী পীর মাশায়েখ খুঁেজ পাওয়া বর্তমানে খুবই কঠিন। তিনি সমসাময়িক আলেমদের অনুকরনীয় ব্যক্তি ছিলেন। মুসলিম সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় হতে রক্ষা করে আল্লাহ তাঁর রাছুল (সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর সন্তুষ্টিজনক চরিত্রদ্বারা চরিত্রবান করা যায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাহফিল সেমিনার করে মানুষকে পরিশুদ্ধ করে হেদায়াতের পথ দেখিয়েছেন।মানুষের কল্যানে প্রতিষ্টা করেন প্রতি বুধবার (বাদে এ’শা) সাপ্তাহিক মাহফিল খতমে খাজেগানে রহমানিয়া ,যা অদ্যবিধি প্রচলিত রযেছে। বর্তমানে ও হুজুর কেবলার দরবারে এবং মাহফিলে যারা উপস্থিত হচ্ছেন তারা উপকৃত হচ্ছেন। তিনি ১৯৬৫ খৃষ্টাব্দ সালে হজ্ব ব্রত পালন করেন এবং ২২শে জিলক্বদ ১৩৮৯ হিজরী ১৯৬৬ খৃষ্টাব্দ রোজ বুধবার বিকাল বেলা অর্থাৎ আছরের সময় ইন্তিকাল করেন ।(ইন্নালিল্লাহে ………রাজেউন) পরের দিন বৃহ¯পতিবার দিনের বেলায় কুতুবে জামান শাহ মুহ্ম্দা জিল্লুররহমান (রহঃ) এর স্বপ্ন অনুযায়ী হুজুর কেবলার দাপন স¤পন্ন করা হয় । হুজুর কেবলার বার্ষিক ওরছ মোবারক ১লা চৈত্র মোতাবেক ১৫ই মার্চ ২০২৩ ইংরেজী বুধবার সারাদিন ব্যপী ধর্মীয় অনুষ্টানাদি তথা খতমে কোরআন, খতমে তাহলিল ,খতমে গাউছিয়া রহমানিয়া,খতমে খাজেগানে রহমানিয়া ও হজুর কেবলার জীবনী আলোচনা পরিশেষে বাদে আছর পীরে ত্বরিকত মাওলানা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্ ম.জি.আ ছাহেব আখেরী মুনাযতের পর তবরুক বিতরণ করা হয়। এতে সকল মুরিদান ও মুহিব্বিনদের সবান্ধবে উপস্থিত হয়ে হুযুর কেবলার রুহানী ফয়েয হাসিল করার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
লেখক – প্রাবন্ধিক ও গবেষক
ছৈয়দুল আজম হযরত হাফেজ খাজা হাকীম শাহ মোহাম্মদ বজলুর রহমান মহাজেরে মক্কী
( রহ:) এর প্রধান খলীীফা গাজীয়ে দ্বীনে মিল্লাত হযরততুলহাজ্ব আল্লামা শায়খ হযরত মোহাম্মদ আব্দদুল জলীল শাহ ( রহ;) এর ৫৭ তম সালানা বার্ষিক ওরশ মোবারক রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া গ্রামের মজিদাপাড়ায় আগামী ১৪ ও ১৫ মার্চ মঙ্গলবার, বুধবার ২০২৩ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে অনুস্টিত হবে।
উক্ত ওরশ মোবারকের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ১৪ মার্চ মোশায়েরা মাহফিল, ১৫ মার্চ খতমে কোরআন, খতমে তাহলিল, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, আখেরী মোনাজাত ও তবরুক বিতরণ। এতে সকলকে উপস্হিত থাকার জন্য আনজুমানে জলিলীয়া রহমানিয়া বাংলাদেশের সভাপতি শাহজাদা ছৈয়দ মাওলানা সারোয়ার আজম বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
- আনজুমানে বেতাগীয়া মুহাম্মদীয়া দরবার শরীফের উদ্যোগে কচুখাইন হযরত কেবলা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ছাহেব ( রহ:) ‘র এর ৪৬ তম বার্ষিক ইছালে ছওয়াব মাহফিল, মুরিদান ও ভক্তবৃন্দের ৫১ তম মহান ভ্রাতৃ সম্মেলন উপলক্ষে ফাতেহা শরীফ আগামী ১১ মার্চ ২০২৩ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইস্হ মুহাম্মদীয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে অনুস্টিত হবে।
এতে কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শনিবার বাদে ফজর পবিত্র খতমে কোরআন, বাদে এশা হইতে সারারাতবাপী মিলাদ মাহফিল, খতমে খাজেগান ও ত্বরিকতের আলোচনা।
রবিবার বাদে ফজর আখেরী মোনাজাত ও তবরুক বিতরণ।
উক্ত অনুস্টানে হুজুর কেবলার শাহজাদা মোহাম্মদ হোসাইন শাহ সকলকে যথাসময়ে উপস্হিত থাকার জন্য সবিনয় আহবান জানিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা ১১ টায় নগরীর বায়েজীদ লিংক রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁনের সভাপতিত্বে ও আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেফাজুতুল মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধার কণ্যা মারজিয়া রিজিয়া প্রিয়া, এডভোকেট এরশাদুল আজম, সাংবাদিক এস.এম.পিন্টু, আব্দুল মতিন চৌধুরী রিপন, মো. মাহবুব রহমান, মো. জাহিদ চৌধুরী, মো. গোলাম সরোয়ার, মো. আফছার ও পলাশসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আহসান উদ্দিন খাঁন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণই বাঙ্গালী জাতির মুক্তির মহাকাব্য। এই ভাষণ শুনেই সে সময় আমাদের মতো সাহসী তরুণ ও যুবকেরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। সাতই মার্চের ভাষণ শুনলেই যে কেউ বুঝতে পারবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নি:সন্দেহে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাধ্যমে গণমানুষের মানবাধিকারের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। তাই যার যার অবস্থান থেকে সংগঠিতভাবে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর যে দিকনির্দেশনা ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সুষ্ঠুভাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সুলতানুল আরেফিন হযরত কালু শাহ ( রহ:) এর ২৯ তম পবিত্র বার্ষিক ফাতেহা শরীফ আগামী ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৩ রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধূরীহাটের খুইল্লা মিয়া সূফির বাড়ীতে অনুস্টিত হবে।
অনুস্টানে কর্মসূচির মাঝে আছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, মিলাদ মাহফিল, খতমে খাজেগান, আখেরী মুনাজাত ও তবরুক বিতরণ।
উক্ত ফাতেহা শরীফে সংশ্লিস্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্হিত থাকার জন্য পরিচালনা কমিটির পক্ষে মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছেন।
অমর ২১ ফেব্রুয়ারী মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এড ভিশন বাংলাদেশ কতৃক আয়োজিত মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসাবে পূর্বের ন্যায় নগরীর বিভিন্ন মোড়ে বৃক্ষ রোপণ এবং পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আজ বিকেল ৩ ঘটিকায় আরম্ভ হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী সার্বিক সহযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে বৃক্ষ বিশেষ ভূমিকা রাখে । পরিবেশ ভারসাম্য ও জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষের বিভিন্ন উপাদানের উপর আমাদের সামগ্রিক জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে।এ্যাড ভিশনের এমন উদ্যাগকে আমি সাধুবাধ জানায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা চসিক মেয়র এম.রেজাউল করিম চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতার কারণে নগর বাসী বৃক্ষ রোপণের উৎসাহিত বোধ করবে। বৃক্ষের প্রতি নগর পিতার এমন চিন্তা চেতনা এই চট্টগ্রামকে প্রকৃতির নতুন মাত্রা দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করি, তাই চলুন সকলে মিলে গাছাই – পরিবেশ বাচাাঁই।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সাজেদুল করিম মিল্টন,এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সংগীত শিল্পী মাসুদ রানা,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স.ম জিয়াউর রহমান, সহ সভাপতি মোঃ হাসান মুরাদ,আবদুল মান্নান রানা,এম এ হাশেম,মোঃ জসিম উদ্দিন, আসিফ ইকবাল, আয়েশা সিদ্দিকা,নিশিতা বড়ুয়া নিশি,মোঃ মোস্তফা, মোঃ শিহাব,মোঃ নিজাম, ইয়াছির আরফাত রিকু প্রমুখ।
বোয়ালখালী পৌরসভা পূর্বগোমদণ্ডীতে ৬ই ফাল্গুন ১৯শে ফেব্রুযারী২৩ রবিবার হযরত শাহসূফি মাওলানা সৈয়দ মানজি শাহ্ (রহঃ) এর ৩১তম বার্ষিক পবিত্র প্রধান ওরশ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে আল্লাহ রাসুল মহান অলিগনের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা সম্পন্ন অনুষ্ঠিত হয়। মাজার শরীফের
খাদেম আল সিরাজ ভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি পাড়া আহসান উল্লাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন আল কাদেরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম নোমানি ছাহেব, মাওলানা আলী আকবর রিজভী ছাহেব, মরমি শিল্পী রাসেল হায়দার ও তার দল,
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন
মোঃ নুরুল আলম, মোঃ নুরুল ইসলাম, আবু সৈয়দ, মোঃ ইছাক সওদাগর, আবদুসবুর, মোঃ শহিদুল্লাহ, আবদুল গফুর, মোঃ রশীদুল্লাহ, মোঃ নুরুন্নবী, আবদুল লতিফ, মোঃ রাজা মিয়া, দৌলত খান, মোঃ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম রিয়াদ।
ওরশ শরীফ অনুষ্টানে কর্মসূচি ছিল
খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, সামা জিকির মাহফিল, ফাতেহা শরীফ, তবররুক বিতরণ আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সবার জন্য দোয়া কামনা করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
পটিয়া উপজেলায় ছনহরা ইউনিয়ননের উত্তর ছনহরা গ্রামে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী, ৪ টা ফাল্গুন, শুক্রবার ২০২৩ গাজী ভান্ডার ছনহরাভী শাহী পাক দরবার শরীফে হযরত শাহসূফি মাওলানা খাজা ছৈয়দ গাজী শাহ ছনহরাভী আল মাইজভান্ডারী (রহ:) এর ৫৩ তম বার্ষিক ওরশ শরীফে দিনরাতব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্ব দিয়ে
মাজার ও ওরশ শরীফের প্রতিস্টাতা গাজী মোহাম্মদ আবুল কাসেম ফকির ছনহরাভী আস ছৈয়দী এর সভাপতিত্বে অনুস্টিত হয়।
ওরশ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী ( ম: জি: আ:)। প্রধান অতিথী ছিলেন ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ দৌলতী।
বিশেষ বক্তা ছিলেন হযরত মাওলানা ওসমান গণি সিকদার আলকাদেরী। অনুস্টানে মাহফিলে ছেমা পরিবেশন করেন মরমী শিল্পী ছৈয়দ মুহাম্মদ এরফান।
এতে অতিথী ও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্হিত ছিলেন বিশিস্ট আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ নাছের, মোহাম্মদ ইসলাম, গাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ছনহরাভী, গাজী মোহাম্মদ নূর হোসেন ছনহরাভী , গাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ছনহরাভী, গাজী হোসেন জেবল হোসেন ছনহরাভীর, লেখক ও সংগঠক নুর মোহাম্মদ, বেলাল হোসেন আমীরি, সৈয়দ মোহাম্মদ আরাফাত প্রমুখ।
ওরশ শরীফে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবারের মোন্তাজেম গাজী মোহাম্মদ আবদুল খালেক ছনহরাভী আস ছৈয়দী।
নিজস্ব প্রতিবেদক -মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি, অবমননা ও অসম্মানের অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ তুলেছেন রণাঙ্গনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ (ক্যাপ্টেন) আহমেদ কবির ভুঁইয়া’র সন্তান রফিক উদ্দীন বাবুল। তিনি খুলশী ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট।
রফিক উদ্দীন বাবুল আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু অবমননাই করেননি তিনি ২ লক্ষ টাকা ঘুষও দাবি করেছেন।
গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি, রোববার দুপুরে নগরীর ফয়েসলেক এলাকায় অবস্থিত খুলশী ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রফিক উদ্দীন বাবুল এ অভিযোগ তুলেন।
তিনি বলেন, খুলশী ক্লাবের সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজ চলাকালীন সময় বিনা নোটিশে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় পাহাড় কাটার অভিযোগে দিনমজুর ৬ শ্রমিককে আটক করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে সরজমিনে তদন্তের অনুরোধ জানালে আটককৃত শ্রমিকদের ছাড়তে সংস্থার এক পরিদর্শকের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শহীদ পরিবারকে নিয়ে কটুক্তিও করেন।
তিনি আরো বলেন, কার্যত খুলশীক্লাবের নিজস্ব জায়গায় কোন পাহাড় নেই। জায়গার মাঝখানে শুধুমাত্র একটা টিলা আছে। আমরা টিলা ঠিক রেখে পাশে হাটার জন্য একটা ওয়াকওয়ের কাজ করছিলাম। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে আমরা তাদের সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করি। তারা আমাদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিতে শ্রমিকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে রণাঙ্গনের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দীন ও চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন খুলশী ক্লাব লিমিটেডের সদস্য সুজা উদ্দীন আহমেদ,লায়ন মাওলানা মোহাম্মদ ইউচুপ ,মীর কাশেম চৌধুরীসহ ক্লাবের সদস্যরা।