মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি, আসন্ন দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন এর মিলাদ ও দোয়াঁ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দৌলতখান উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবারের নির্যাতিত কর্মি মোঃ জাকির হোসেন। সদালাপী সচ্ছ মানুষ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তার। পারিবারিক ভাবে ব্যাপক শুনাম রয়েছে তাদের। সমর্থন পাচ্ছে দলিয় সকল নেতা,কর্মী,সমর্থদের তাদের দাবি পরিক্ষিত আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে দল তাদের মুল্যায়ন করবে। ভোলা-২ আসনের মাননীয় সাংসদ জনপ্রিয় নেতা আলী আজম মুকুল এমপি”র বিশ্বস্থ হিসেবে পরিচিত পরিবারটির মুল্যায়ন হবে বলে আশা তাদের। জাকির হোসেন বলছেন মাননীয় সাংসদ প্রিয়নেতা আলী আজম মুকুল এমপি”র একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি।আমি ও আমার পরিবার সবসময় নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন তাই চুড়ান্ত। মানুষের সেবা করতে দল আমাকে সুযোগ দিবে বলে আমার বিশ্বাস । দোয়াঁ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাখেন পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন,৬ নং ওয়ার্ড মন্দির কমিটির সম্পাদক পরিমল স্যার,৬ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সাবেক সভাপতি মোঃ দুলাল, দৌলতখান উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ন- সম্পাদক সাফিজল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাই,৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ দুলাল মোল্ল্যা, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যোবায়ের হোসেন যাবু , পড়ে দোয়াঁ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ-সময় ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত।
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা, ইউনিট ও মহানগর পর্যায়ের ৬৪ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। এতে করে দলে সাংগঠনিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূণ্যতা পূরণে দলের প্রকৃত ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাদের শূণ্যপদে পদায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
গত ২৮ ডিসেম্বর ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা এসএম আলমগীরের শোকসভায় এ তথ্য জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আ জ ম নাছির বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের মহানগর পর্যায় থেকে শুরু করে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের ৬৪ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই নেতাকর্মীরা ছিলেন দলের সম্পদ। ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত দলে ঢুকে পড়েছে। দলের সম্পদ দুঃসময়ের এই নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। আর কাউকে আমরা হারাতে চাই না।
‘ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাকর্মীদের মহানগর থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সঠিক নেতৃত্বের আসনে আনতে পারলে দলের জন্য তা মঙ্গলজনক হবে। এখন করোনাকালের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই ঢেউ প্রতিরোধে প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে।’
সভায় নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দল এক যুগেরও সময়ের কাছাকাছি ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত ঢুকে পড়ায় পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মী কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
‘কারণ এরাই দলের মূল সম্পদ, যারা কখনও আদর্শচ্যুত হতে পারেন না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে চাই এবং নেতৃত্বের আসনে টেনে আনার জন্য নিরলস প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
মাহতাব বলেন, এসএম আলমগীর অকালে ঝরে গেলেন। তিনি সংগঠনের দুঃসময়ের কান্ডারি ছিলেন। তার মতো একজন দলীয় নেতার মৃত্যু আমাদেরকে শোকাহত করেছে। এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সামনের কাতারে আনতে চাই।
জহুরুল আলম জসিম ও এরশাদ মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী আলতাফ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমেদ চৌধুরী, নিয়াজ আহমেদ, মোজাফফর আহমেদ মাসুম, মোহাম্মদ জাহিদ, ফয়েজ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইকবাল চৌধুরী, ওহিদুল আমিন ও মুজিবুর রহমান শরীফ প্রমুখ।
মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি, দৌলতখান পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন দৌলতখান পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মাকছুদুর রহমান বাহার।
আগামী ৩০ জানুয়ারি দৌলতখান পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে তিনি দৌলতখান পৌরসভার ১ নাম্বার প্যানেল মেয়র। তিনি ৬ নং ওয়ার্ডের মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন । মাকছুদুর রহমান বাহার বলেন আমার নেতা ভোলা-২ আসনের জনপ্রিয় সাংসদ আলী আজম মুকুল এমপি “র সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমি সর্বদা প্রস্তত। নেতার যে ভালোবাসা বিশ্বাস আমার উপর রয়েছে তা অক্ষুণ্ণ রাখতে আমি সর্বদা প্রস্তত। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন নেওয়ার সময় ৬ নং ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা সাথে ছিলেন। বিকেল ৪ টায় ৬ নং ওয়ার্ডে তার বাসার সামনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
আজকে দ্বিতীয় দিনের মত চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ও খিরাম এলাকায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে গড়ে ওঠা ৫ টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয় সাথে আরো দুটি ইটভাটাকে ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ (২৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ও খিরাম এলাকায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে গড়ে ওঠা ৫ টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ আফজালুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ, র্যাব-৭ ও ফায়ার সার্ভিসের একট দল অংশ নেন।
উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলো হল ফটিকছড়ি উপজেলার খিরামের মের্সাস খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং, মেহেরুজ্জাহা রহঃ ব্রিকস, মেসার্স এবি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং,শাহ আমানত ব্রিকস, নেক্সাস ব্রিকস। উল্লিখিত ব্রিকস ফিল্ডগুলোর কাঁচা ইট, চুলা ও চিমনি ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী মেসার্স এ বি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা ও মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস ফিল্ডকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান জানান, উচ্ছেদকৃত ইট ভাটা গুলোয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রদত্ত লাইসেন্স নেই, নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র বা অবস্থান নির্ধারণের ছাড়পত্র। সেইসাথে বন বিভাগের ছাড়পত্র ও বিএসটিআইয়ের মানপত্র নেই। ইটভাটাগুলো সরকারী অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে গরে উঠেছে । কৃষি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি নিয়ে ইট উৎপাদিত করে আসছিল। কোন কোন ইটভাটার পঞ্চাশ থেকে একশ মিটারের মাঝেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজকের অভিযানে ৫টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয় এবং দুটি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ আফজালুর ইসলাম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম জুড়ে এ অভিযান চলবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪১ টি ইটভাটা অবৈধ আছে। ফলে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।
মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি, ভোলার দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার।
আজ (২৬ ডিসেম্বর) শনিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জন প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড এ তথ্য জানায়। এ বিষয়ে জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য বৃন্দের প্রতি। এদিকে নৌকা মনোনয়ন পাওয়ার চূড়ান্ত সংবাদ জানামাত্রই দৌলতখান পৌর শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন জাকির হোসেন তালুকদারের সমর্থকরা।
মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি- ভোলা জেলার দৌলতখানে কনকনে শীত চেপে ঘন কুয়াশায় মেখে কাঁপতেছে মানুষ গুলো। তাই কবি মোঃ ছিদ্দিক এর ভাষায়,, চেয়ে দেখি আঁধারের মাখামাখি তুমি আমি কোথায় আছি মাঝ খানে ধোঁয়াশায় রাশিরাশি । শিশির মাখা পৌষের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে। কুয়াশা মাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে নিমগ্ন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন সময় প্রকৃতি দূর করে দেয় শত কষ্টের গ্লানি। প্রকৃতির অপরুপ ছবিতে সাজানো মাকরসার জালে আটকা পরেছে সাহিত্য প্রেমিরা। ভোরবেলা মাঠে ময়দানে ঘুরে দেখা যায়, ভেরের সূর্য। হালকা লালচে রংয়ে দিচ্ছে ঝিলিক। সূর্যের কিরণে মুক্তা মালা চোখে পড়ে। কুয়াশার প্রতিটি কনা মুক্তার মতো জ্বলছে। গ্রীষ্ম আর শীতের মধ্যে হেমন্ত যেন অপরূপ এক সেতুবন্ধন। পৌষের শুরুতে দিনের শেষ থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা ধুসর কুয়াশা জানাচ্ছে কনকনে শীতের বার্তা । মাঠে প্রান্তরে ভোর বেলা শিশির মাখা ধানের ডলা জানায় দিচ্ছে সম্ভাবনার শীত। ভোলা জেলার দৌলতখানে ভোরবেলা দুর্বা ঘাসে শিশির দেখা যায়। কয়েক দিন থেকে ভোরে খুব কুয়াশা পড়েছে তাই শীত শির শির করে দরজায় করা নাড়ছে। প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে কনকনে শীতের বার্তা।শীত মানেই উৎসব।চিরায়ত বাংলায় উথাল পাথাল নেই মন নেই ধন হাহাকার মিলে অতিথি পরায়নতা খেয়েছে যে গিলে সুমিষ্ট খেজুর রস; মাটির হাড়ি পিঠার আমেজে মত্ত কুটুম বাড়ি ভেজানো চিতই পিঠা ফিরনি পায়েস মুড়ি দিয়ে খাওয়া আহা! বড়ই খায়েস এই অভাগা সময়ে তার করি দুরাশাযেন পিঠা আর জামাই মেলা নিয়ে আসে শীতকাল। আবহাওয়া আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এখন শীত পৌষের শুরুতেই কনকনে পড়া শুরু হচ্ছে।তাই বলা চলে, এই কালো এই আলো মাঝে কুয়াশা প্রকৃতির রং চটা আঁধারের ঘন ঘটা সবকিছু ঠিক বুঝি; নেই ভরসা তারপরও ভাল আছি মাঝে ধোঁয়াশা । রাতে কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হয়। তারপরেও বোঝা যায় শীত কনকনে আঁধারের ধোঁয়াশায়।
মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি- ভোলা-২ আসনের জনপ্রিয় সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল দৌলতখানে বিভিন্ন স্থানে দুস্থ – অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত কম্বল বিতরণ কালে এই কথা বলেন।
আজ (২৫ডিসেম্বর) শুক্রবার সন্ধায় ৬ টায় ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপি পৌরসভার ৪,৫ ও ৬,নং ওয়ার্ডে ছিন্নমূল অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এ বিষয়ে সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, চলতি শীত মৌসুমে দুস্থ অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ত্রান তহবিল থেকে কম্বল প্রদান করছেন। তিনি সকলের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া কামনা করেন, যাতে তিনি তার ভিশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনজুর আলম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী নবু সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
করোনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্সটেবল মোঃ জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মৃত্যুবরণ করেন।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে, আজ (২৫ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল ০৬.০৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত পুলিশের কন্সটেবল মোঃ জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তিনি গত ০৬/১২/২০২০ খ্রী. করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন। পরবর্তীতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আই সি ইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রী. শুক্রবার সকাল ০৬০৫ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে অদ্যবধি দক্ষতা ও সুনামের সাথে চাকরি করেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার সাহাপুর গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধি-
আজ আমার মায়ের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬-এর ২৫ ডিসেম্বর আমাদের সবার মায়া ত্যাগ করে তিনি এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। পৃথিবীতে প্রতিটি সন্তানের নিকট মা পরম আরাধ্য। আমার জীবনেও মা সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। মায়ের স্নেহ-আদর আর মমতায় আমি বড় হয়েছি। মায়ের স্নেহরাজি আজও আমার অন্তরে প্রবহমান। মায়ের স্নেহভরা পবিত্র মুখখানি যখনই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, মনে হয়, এখুনি মায়ের কাছে ছুটে যাই। জন্মলগ্ন থেকে পরিণত বয়স পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মা কত যত্ন করে আমাকে গড়ে তুলেছেন। সবসময় আমার মঙ্গল কামনায় নিজকে ব্যাপৃত রেখেছেন। মাকে ছাড়া আমি এক মুহূর্তও থাকতে পারতাম না। শৈশব আর কৈশোরের সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে বুকের ভিতরটা হু-হু করে দু’চোখ সিক্ত হয়। হূদয় দিয়ে অনুভব করি মাতৃত্বভরা মমতাময়ী মায়ের কোমল স্মৃতি। আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭০-এর ২৫ এপ্রিল। আজ থেকে ৪৬ বছর আগের সেদিনে অর্থাৎ ২৫ এপ্রিলে আমার জনসভা ছিল চট্টগ্রামের মিরেরশ্বরাইতে। বাবার মৃত্যু সংবাদ আমার আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে আমাদের প্রিয় নেতা এম এ আজিজকে জানিয়েছিলেন, ‘তোফায়েলের বাবা মৃত্যুবরণ করেছে। ’ মিরেরশ্বরাই’র জনসভায় এম এ আজিজ ভাইসহ যখন সভা করছি, তখন আমার বক্তৃতা শেষে আজিজ ভাই বললেন, আমি যেন অনতিবিলম্বে ভোলা চলে যাই। বিশাল সেই জনসভায় লাখো লোক জমায়েত হয়েছিল। বক্তৃতা শেষে প্রয়াত নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু সাহেবের ভাইয়ের-যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন-গাড়িতে করে চাঁদপুর এবং ২৬ তারিখ সকালবেলা গ্রামের বাড়ি পৌঁছাই। ততক্ষণে বাবার দাফন হয়ে গেছে। বাবার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭০-এর ১৭ এপ্রিল। ভোলায় গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা-বাবা যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত, সেখানে কবর-ফলকে হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি উৎকীর্ণ আছে এভাবে— ‘মা, বাবা চলে গেছেন অনেক আগে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন তোমারই পাশে তুমিও চলে গেলে আমাদের সকলকে কাঁদিয়ে, তবুও তোমরা আছো সর্বক্ষণ আমাদের হৃদয় জুড়ে। মা, প্রতি মুহূর্ত তোমাদের অভাব অনুভব করি। ’ তোমার মনু (তোফায়েল)
ভোলা থেকে জেলা প্রতিনিধি মোঃ ছিদ্দিক- তৃতীয় বারের মত ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল ( ২৩ ডিসেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে তৃতীয় বারের মত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৪ টি দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে।
ভোলার ফায়ারসার্ভিসের একটি টিম ঘন্টার মত চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণ আনে। বাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বাজারের কালিমুল্লার কাপরের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে বাজারে অবস্থিত ইলিশা নৌ-থানার অফিসসহ মুদি, ওষুধ, হার্ডওয়্যার, তেল, হোটেল, কাঠের দোকানসহ বিভিন্ন রকমের ২৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম, ভোলা ফায়ারসার্ভিস এর উপ পরিচালক জাকির হোসেন জানান, আমরা ৫টি ইউনিট এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই।